‘দাদা’র ক্লাসে। সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে। ছবি: উৎপল সরকার
পাকিস্তানের কোচ হয়ে গেলে তাঁকে ছেড়ে দিতে হলে সিএবি-র আপত্তি নেই। কিন্তু ‘ভিশন ২০২০’ প্রোজেক্টে ওয়াকার ইউনিসকে থাকতে গেলে, চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমাই সিএবি-কে দিতে হবে। আংশিক ভাবে যুক্ত থাকতে পারবেন না, তাঁর সুবিধে মতো শিবিরের দিনক্ষণ বদলও সম্ভব হবে না।
ওয়াকার ইউনিসের পাকিস্তান কোচ হওয়া নিয়ে ইচ্ছাপ্রকাশের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল সিএবি। কর্তাদের বক্তব্য, চুক্তি অনুযায়ী বছরের চল্লিশ দিন ‘ভিশন ২০২০’ প্রোজেক্টের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। ওয়াকার যদি পাকিস্তানের কোচের পদে যোগ দিতে চান, সিএবি আটকাবে না। কিন্তু ওয়াকার যদি দু’টো কাজ একসঙ্গে করতে চান, সিএবি-র সেটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। বলা হচ্ছে, বঙ্গ পেসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য নির্বাচিত তালিকায় যেমন ওয়াকারের নাম ছিল, তেমনই ছিল ব্রেট লি এবং কার্টলে অ্যামব্রোজের। ওয়াকার না থাকলে তখন বাকি দু’জনের সঙ্গে কথাবার্তা বলা হবে।
“বর্ষার সময় যদি ওয়াকার আমাদের প্রোজেক্টের কাজকর্ম করতে চায়, সেটা তো সম্ভব নয়। ক্রিকেট মরসুমেই আমাদের প্রোজেক্টের প্রধান শিবিরগুলো হবে। ওয়াকার পাকিস্তানের কোচ হয়ে গেলে ও নিজেও ওই সময়ে ব্যস্ত থাকবে। যদি ওয়াকার সিএবি প্রোজেক্টের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চায়, তা হলে ওকে শুধু এই দায়িত্বটাই নিতে হবে,” সোমবার বলে দেন সিএবি-র যুগ্ম সচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়। তবে ওয়াকারের সঙ্গে চূড়ান্ত কথাবার্তা যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ই বলবেন, সেটাও বলে দিচ্ছে সিএবি।
এ দিন থেকে ‘ভিশন ২০২০’ প্রোজেক্টে সৌরভের ক্লাসও শুরু হয়ে গেল সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। সিএবি-র প্রথম ও দ্বিতীয় ডিভিশন মিলে আশি জন বঙ্গ ক্রিকেটার শিবিরে উপস্থিত ছিলেন। যাঁদের মধ্যে থেকে প্রাথমিক ভাবে কুড়ি জনকে বাছা হয়েছে। আজ, বাংলার সিনিয়র টিমের ক্রিকেটাররা শিবিরে যাচ্ছেন। শিবিরে উপস্থিত থাকা বাংলা কোচ অশোক মলহোত্র বলে দিচ্ছেন, “এই ক্যাম্প থেকে উঠতিরা যা শিখবে তা ঠিকঠাক প্রয়োগ করতে পারলে অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারেরই ঘুম ভেঙে যাবে। বিশেষ করে যারা বহু দিন ফর্মে নেই। তবে সবার আগে দরকার ব্যাটসম্যানদের মানসিকতার বদল।”