ফের ব্যর্থ রুনি। কোস্টারিকা ম্যাচেও গোল শূন্য। ছবি: এএফপি
ইংল্যান্ড-০
কোস্টারিকা-০
কোস্টারিকার সঙ্গে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ড্র করে বড় লজ্জার হাত থেকে রক্ষা পেল ইংল্যান্ড। মঙ্গলবার বেলো হরাইজন্তেতে কোস্টারিকার কাছে হারলে এই প্রথম বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকে কোনও পয়েন্ট না জিতে দেশে ফিরতে হত ইংল্যান্ডকে। কিন্তু এ দিন গোলশূন্য ড্র করায় সেই লজ্জার হাত থেকে বেঁচে গেলেন ওয়েন রুনিরা। এর আগে ইতালি আর উরুগুয়ের কাছে হেরেছিল ইংরেজরা। কিন্তু ব্রায়ান রুইজরা তাদের পরাস্ত করতে না পারায় আপাতত রয় হজসনের টিম এক পয়েন্ট নিশ্চিত করতে সফল।
এই ম্যাচে নামার আগেই নক আউটে যাওয়া নিশ্চিত করে ফেলেছিল কোস্টারিকা। তাই রুনিদের হারালে গ্রুপ শীর্ষে যাওয়ার সুযোগ ছিল রুইজদের। উরুগুয়ে আর ইতালিকে হারিয়ে অঘটন ঘটানো কোস্টারিকা রয় হজসনের টিমের বিরুদ্ধেও মরণ কামড় দেবে, সেটা নিশ্চিত ছিল। কিন্তু ইংল্যান্ড কোচ এ দিন রুইজদের হারাতে তরুণ্যের উপরই ভরসা রেখেছিলেন। পাশাপাশি অধিনায়কত্ব করার দায়িত্ব ছিল ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের উপর। যিনি আবার ব্রাজিল বিশ্বকাপের বয়স্ক ফুটবলারদের তালিকায় সাত নম্বরে (বয়স ৩৬)। অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের এই মিশেলই আটকে দেয় কোস্টারিকাকে। গ্যালারিতে টিমকে উৎসাহ দিতে এ দিন প্রিন্স হ্যারি, ওয়েন রুনির স্ত্রী কলিন ও ছেলে কাইও ছিল।
শুধু রক্ষণই নয় রয় হজসনের টিমের এ দিনের স্ট্র্যাটেজি ছিল ঘর গুছিয়ে আক্রমণ। কিন্তু ল্যাম্পার্ডের ৯৪.৭ শতাংশ সঠিক পাস সত্ত্বেও ড্যানিয়েল স্টারিজ, জ্যাক উইলশেয়াররা গোল পাননি। অবশ্য সুযোগ কম ছিল না। প্রথমার্ধেই বেশ কয়েকটি সুযোগ এসেছিল। কিন্তু কাজের কাজ করতে পারেননি স্টারিজরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও কেস্টারিকার বক্সে লিউক শ-র পাস থেকে গোল করার সুযোগ ছিল স্টারিজের। কিন্তু স্টারিজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি পাসটা। সেই সুযোগে নাভাস তাঁকে আটকে দেন।
ম্যাচের শেষ ১৫ মিনিট কোস্টারিকা আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু ইংল্যান্ডের অনভিজ্ঞ তরুণ দলের ডিফেন্সের বিরুদ্ধে এঁটে উঠতে না পারায় গোল করতে ব্যর্থ হন রুইজরা।