জাবালেতার উৎসব
বলা হচ্ছে আর্জেন্তিনার ফাইনালে ওঠার পিছনে লিও মেসির মতোই ডিফেন্ডারদের কাজটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। গোটা টুর্নামেন্টে আর্জেন্তিনা এখনও পর্যন্ত যে কারণে মাত্র তিনটে গোল খেয়েছে। ডিফেন্ডারদের এই টিমে থাকা পাবলো জাবালেতা বুধবার জয়ের পর মেতে উঠলেন অন্য উৎসবে। আর্জেন রবেনের দুর্ধর্ষ গতি আটকে দেওয়ার অন্যতম কান্ডারি ম্যাচের মধ্যেই চোট পেয়েছিলেন মুখে। ঠোটের কিছুটা অংশ কেটে রক্ত ঝড়ছিল। ব্যান্ডেজ নিয়েই ফের খেলতে নামেন। আর দল জেতার পর ওই অবস্থাতেই মাথায় নীল পরচুলা চাপিয়ে মেতে ওঠেন উৎসবে। মাঠে একপ্রস্থ উৎসবের পর ড্রেসিংরুমে চলে সেলফি তোলার পালা। তবে ম্যান সিটির রাইট ব্যাক আসল উৎসবটা তুলে রেখেছেন ফাইনালের জন্য।
আবেদন বাতিল
সুয়ারেজের নির্বাসনের শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন বাতিল করল ফিফা। বিশ্বকাপে ইতালির জিওর্জিও চিয়েলিনিকে কামড়ে দেওয়ার ঘটনায় উরুগুয়ের তারকাকে চার মাস নির্বাসিত করেছিল ফিফা। বিবৃতিতে ফিফা জানিয়েছে, “অ্যাপিল কমিটি উরুগুয়ে ফুটবল সংস্থা আর সুয়ারেজের আবেদন খারিজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” তবে এই সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত নয়, শর্তসাপেক্ষে কোর্ট অফ আরবিট্রেশন অব স্পোর্টে শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারবেন সুয়ারেজ বা উরুগুয়ে এফএ। তবে শাস্তির খাড়া ঝুলে থাকলেও লিভারপুল থেকে সুয়ারেজের বার্সেলোনায় যাওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে।
হতাশ মোরিনহো
মিরোস্লাভ ক্লোজে বিশ্বকাপে রোনাল্ডোর সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড ভাঙায় হতাশ হোসে মোরিনহো। ব্রাজিলের মাটিতে ব্রাজিলের বিরুদ্ধেই জার্মান তারকার রেকর্ড ভাঙা নিয়ে মোরিনহো বলেন, “ক্লোজে দুরন্ত। ওর বিশ্বকাপে এতগুলো গোল করার ব্যাপারটাকে সম্মান করি। কিন্তু সত্যিটা হল ও এমন একটা প্লেয়ারের রেকর্ড ভেঙেছে যাঁর স্থান আমার কাছে ঠিক মারাদোনার পরেই।” ১৯৯৬-’৯৭ মরসুমে বার্সেলোনায় কোচ ববি রবসনের সহকারী হিসেবে রোনাল্ডোকে আরও কাছ থেকে দেখা মোরিনহো সঙ্গে যোগ করেন, “আমার বিশ্বাস রোনাল্ডো গত দু’দশকে বিশ্বের সেরা প্লেয়ার। অন্তত গত কুড়ি বছরে তো ও রেকর্ডটা খোয়ায়নি।”
আলভেসের ধোঁয়াশা
গত দু’মরসুমে তাঁর ক্লাব সাফল্য পায়নি। বিশ্বকাপে তাঁর দলও সেমিফাইনালে বিশ্রী হারের মুখে পড়েছে। টানা ব্যর্থতায় এ বার আগামী মরসুমে বার্সেলোনাতে খেলা নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন ঝুলিয়ে রাখলেন তিনিব্রাজিলের দানি আলভেজ। ৩১ বছর বয়সি ডিফেন্ডার স্প্যানিশ মিডিয়ায় বলে দেন, “জানি না আগামী মরসুমে কোন ক্লাবে খেলব। বার্সেলোনার কর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে এ ব্যাপারে। গত দু’বছর নিজেকে নিংড়ে দিলেও ক্লাবে খুব একটা সাফল্য আসেনি তাই হতাশ।” তবে স্প্যানিশ ক্লাব চাইলে তিনি বার্সেলোনাতেই খেলতে চান সেটা অবশ্য পরিষ্কার করে দিয়েছেন আলভেজ।
শহরের রাস্তায় বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রস্তুতি। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।