আইসিসির বিচারে জেমস অ্যান্ডারসন নির্দোষ সাব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় কিছুটা ব্যাকফুটে ভারতীয় বোর্ড। রায় নিয়ে অসন্তোষ ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিলেও আবেদন করা নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বোর্ড। বোর্ড সচিব সঞ্জয় পটেল বলেছেন, “আইসিসির অর্ডার দু’এক দিনে পাব। তার পর ব্যাপারটার বিস্তারিত আইনি বিশ্লেষণ হবে। ব্যাপারটা সময়সাপেক্ষ, তাই আবেদন নিয়ে এখনই জল্পনা করাটা ঠিক নয়।”
উল্টো দিকে আবার অ্যান্ডারসনের বিরুদ্ধে সরব হওয়া নিয়ে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে একহাত নিল ব্রিটিশ মিডিয়া। ‘দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ’ যেমন লিখেছে যে, অ্যান্ডারসনের ছাড়া পেয়ে যাওয়া ভারতের জন্য, বিশেষ করে ধোনির জন্য অপমানের। তাদের মতে, অতীত স্লেজিংয়ের ঘটনার জন্য অ্যান্ডারসনের উপর বদলা নিতে ইংরেজ পেসারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিল ভারত। ধোনি এবং ভারতীয় টিমকে ‘সুযোগসন্ধানী’ বলতেও আটকায়নি তারা। দু’দেশের বোর্ড ব্যাপারটা মিটিয়ে নিতে বলার পরেও যে ধোনি পিছু হটেননি, সেটা নাকি তাঁর ব্যক্তিগত রাগের পরিচয়। কোনও কোনও কাগজে এটাও বলা হয়েছে, বিরক্তিকর হওয়ার ‘দোষে’ কোনও প্লেয়ারকে নির্বাসনের শাস্তি দেওয়ানো যায় না। ‘ডেইলি মেল’-এ আবার ঘটনাটাকে সার্কাসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর বক্তব্য, নিজের বোর্ডকে অমান্য করে ধোনি যে সোজা আইসিসির কাছে অ্যান্ডারসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ঘটনাটা শুরু করেন, সেটা যে সময় এবং টাকার অপচয়, সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে আইসিসির রায়।
ভারত অবশ্য এখনও হাল ছাড়ছে না। তাদের সবচেয়ে বেশি অসন্তোষ অ্যান্ডারসন-কাণ্ডে ভিডিও ফুটেজের অভাব। ট্রেন্টব্রিজের ছোট করিডরে আইসিসির দুর্নীতিদমন শাখার ক্যামেরা ছিল না, তাই ঘটনার সত্যতা যাচাই করার উপায় নেই। আইসিসির একটা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে লাঞ্চের পর জাডেজাদের ড্রেসিংরুমের দিকের সিঁড়ি দিয়ে ওঠা, ভারতের ফিজিও ইভান স্পিচলির সিঁড়ি দিয়ে নামা আর ধোনির সিঁড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা। সেই ভিডিও শুনানিতে চালানোও হয়। কিন্তু এই সিঁড়ি আর ড্রেসিংরুমের সিঁড়ির মধ্যে যে ছোট করিডর আছে, সেখানে ক্যামেরা ছিল না। দুই টিমেরই দাবি, ঘটনাটা ওখানে ঘটে। এই করিডর কেন ক্যামেরার আওতায় ছিল না, তা নিয়ে আইসিসির কাছে প্রশ্ন তুলতে পারে ভারতীয় বোর্ড।
আইসিসির ক্যামেরা না হলেও করিডরে একটা ক্যামেরা ছিল। কিন্তু সেটা ঘটনার দিন কেন কাজ করছিল না, তা নিয়েও নাকি প্রশ্ন তুলতে পারে ভারত। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি যা, তাতে এখনই বোর্ডের করণীয় কিছু নেই। নিয়ম অনুযায়ী একমাত্র আইসিসির সিইও ডেভ রিচার্ডসন রায়ের বিরুদ্ধে পাল্টা আবেদন করতে পারেন।
কোহলিকে প্রস্তাব গোয়ার: সচিন তেন্ডুলকর যুক্ত আইএসএলের সঙ্গে। কেরল ব্লাস্টার্সের অন্যতম মালিক তিনি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মালিক হিসাবে কিনেছেন আটলেটিকো দ্য কলকাতা। দুই প্রাক্তনের পর এ বার ফুটবলের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে যুক্ত হতে পারেন বিরাট কোহলিও। গোয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে তাঁকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে খবর। গোয়ার টিমের মালিক হিসেবে ডেম্পো, সালগাওকরের সঙ্গে রয়েছে ভিডিওকনও। কোহলিকে দলের সঙ্গে যুক্ত করার ব্যাপারে তারাই উদ্যোগ নিয়েছে।