স্কোয়াশে ইতিহাস গড়া দুই সোনার মেয়ে জ্যোৎস্না চিনাপ্পা ও দীপিকা পাল্লিকালের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। ছবি: পিটিআই
সংসদে তাঁর টানা অনুপস্থিতি নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে, সেই সময় সেখান থেকে দু’কিলোমিটার দূরে এ দিন সন্ধ্যায় উপস্থিত হলেন সচিন তেন্ডুলকর। বিজ্ঞানভবনে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের সেই অনুষ্ঠানে সচিন জানালেন, অসুস্থ দাদা-র দেখভালে ব্যস্ত ছিলেন। সেই কারণে সংসদের চলতি অধিবেশনে আসতে পারেননি। কংগ্রেস নেতা তথা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তা রাজীব শুক্ল আবার জানাচ্ছেন, শীঘ্রই সংসদে আসবেন সচিন। তাঁর দাদা অজিত তেন্ডুলকরের সম্প্রতি বাইপাস সার্জারি হয়েছে।
সদ্য সমাপ্ত কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের পদকজয়ীদের সম্মান জানাতে ক্রীড়া মন্ত্রকের অনুষ্ঠানে ছিল চাঁদের হাট। সচিন ছাড়াও অভিনব বিন্দ্রা, সুশীল কুমার, পারুপল্লি কাশ্যপ, সুখেন দে, যোগেশ্বর দত্ত, পি ভি সিন্ধু— কে নেই সেখানে!
অন্ডালের সোনার ছেলে সুখেন দে-কে তো সচিন জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞেস করলেন, “কেমন লাগছে সংবর্ধনা নিতে?” অভিভূত সুখেন বলছিলেন, “ভাবতেই পারিনি সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে কোনও দিন এত কথা বলতে পারব! এর থেকে বড় আর কোনও পুরস্কারই হয় না।”
সুখেন ছাড়াও সচিন প্রশংসায় মুখর ছিলেন ত্রিপুরার বাঙালি জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকারকে নিয়ে। কমনওয়েলথ গেমসে পদকজয়ী প্রথম ভারতীয় মেয়ে জিমন্যাস্টের তখনও যেন সচিন-ঘোর কাটেনি। বললেন, “যেন স্বয়ং ভগবানের সঙ্গে দেখা করলাম। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে?”
পোডিয়ামে তিনি ওঠার পর থেকেই অনুষ্ঠানটি কার্যত সচিন-ময় হয়ে উঠেছিল। সবাই একে একে দেশের একমাত্র খেলোয়াড়-ভারতরত্নকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন। জবাবে সচিন বললেন, “যদি কেউ বলেন, আমার ছেলে ক্রিকেটে ভাল করছে, তা শুনে আমার ভাল লাগে। কিন্তু আমার আরও ভাল লাগে, যে ছেলে বড় মাপের মানুষ। এটা আমি আমার বাবার কাছে শিখেছি। তিনি বলতেন, তুমি ১৫-২০ বছর ধরে খেলে বড় ক্রিকেটার হওয়ার থেকেও আমি বেশি শুনতে চাই, সচিন বড় মাপের মানুষ।”