গোয়ায় বদলা নেওয়া হল না লাল-হলুদের

স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়া কি আর্মান্দো কোলাসোর টিমের বড় গাঁট হয়ে উঠছে? ফেড কাপ থেকে আই লিগপর পর দু’ম্যাচের ফলাফলে কিন্তু সে রকমই ইঙ্গিত। স্পোর্টিংয়ের কাছেই হেরে ফেড কাপের গ্রুপ থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল আর্মান্দোর ইস্টবেঙ্গলকে। রবিবার আই লিগের প্রথম ম্যাচে সেই স্পোর্টিংয়ের কাছে আটকে যেতে হল আর্মান্দো বাহিনীকে। দুই বিদেশি নিয়ে খেলেও ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে রীতিমতো কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়ে গেলেন চুকুয়ামার ছেলেরা। অথচ র‌্যান্টি, বার্তোস, সুসাকের মতো বিদেশিদের নিয়েও কিছু করে উঠতে পারল না ইস্টবেঙ্গল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৫২
Share:

কোলাসো। আই লিগেও হোঁচট।

ইস্টবেঙ্গল-১ (র‌্যান্টি)
স্পোর্টিং ক্লুব-১ (কালু)

Advertisement

স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়া কি আর্মান্দো কোলাসোর টিমের বড় গাঁট হয়ে উঠছে?

Advertisement

ফেড কাপ থেকে আই লিগপর পর দু’ম্যাচের ফলাফলে কিন্তু সে রকমই ইঙ্গিত।

স্পোর্টিংয়ের কাছেই হেরে ফেড কাপের গ্রুপ থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল আর্মান্দোর ইস্টবেঙ্গলকে। রবিবার আই লিগের প্রথম ম্যাচে সেই স্পোর্টিংয়ের কাছে আটকে যেতে হল আর্মান্দো বাহিনীকে। দুই বিদেশি নিয়ে খেলেও ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে রীতিমতো কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়ে গেলেন চুকুয়ামার ছেলেরা। অথচ র‌্যান্টি, বার্তোস, সুসাকের মতো বিদেশিদের নিয়েও কিছু করে উঠতে পারল না ইস্টবেঙ্গল।

এ দিন শুভাশিস রায়চৌধুরী যদি বেশ কিছু ভাল সেভ না করতেন, হয়তো এক পয়েন্ট নিয়েও ফিরতে পারত না ইস্টবেঙ্গল। প্রশ্ন হল, ধারে-ভারে অনেক পিছিয়ে থাকা স্পোর্টিংয়ের কাছে কেন বারবার আটকে যাচ্ছে আর্মান্দোর দল? চৌম্বকে যে কারণগুলো উঠে আসছে-

১) স্পোর্টিং ফুটবলারদের গড় বয়স ইস্টবেঙ্গলের ছেলেদের তুলনায় বেশ কম। লাল-হলুদের বেশির ভাগ ফুটবলারই ত্রিশ বা তার ঊর্ধ্বে। যেখানে তারুণ্যই গোয়ান টিমের প্রধান শক্তি। ২) ইস্টবেঙ্গলের বোঝাপড়ার অভাব স্পষ্ট। সেখানে স্পোটির্ং ক্লুব অনেক গঠনমূলক ফুটবল খেলেছে। ৩) স্পোর্টিংয়ে বড় তারকা নেই ঠিকই, কিন্তু সব ফুটবলারই ভীষণ উদ্যমী। তাঁদের পাশে বিতর্কে জেরবার ইস্টবেঙ্গল টিম যেন বিবর্ণ। ৪) গোয়ার মাঠে বারবার এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত সেই লিড ধরে রাখতে পারছেন না আর্মান্দোর ছেলেরা। রক্ষণ এখনও জমাট না বাধায়। সুসাক এ দিনও সে ভাবে নজর কাড়তে পারলেন না। ৫) ইস্টবঙ্গল মাঝমাঠও ছন্দহীন। কোনও গঠনমূলক আক্রমণও তৈরি হচ্ছে না। পাশাপাশি স্পোর্টিংয়ের তরুণ ব্রিগেডের গতি আটকাতে পারছেন না মেহতাব, লোবোরা।

স্পোর্টিংয়ের একমাত্র দুর্বল জায়গা রক্ষণ। অথচ সেই দুর্বলতাকে কাজে লাগাতে পারলেন না র‌্যান্টি-জোয়াকিমরা। একমাত্র ম্যাচের শুরুতে র‌্যান্টির গোলের সময়টুকু ছাড়া।

আইএসএলে কলকাতার আটলেটিকোর ম্যাচ দেখার জন্য গোয়ায় হইচই পড়ে গিয়েছিল। আই লিগে সেখানে কার্যত শূন্য স্টেডিয়ামে খেলতে হল ইস্টবেঙ্গল-স্পোর্টিংকে। তবে তিন পয়েন্টের লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিল গোয়ার টিম। সেখানে লাল-হলুদের লক্ষ্য ছিল, অ্যাওয়ে ম্যাচে পয়েন্ট না হারানোর। এ দিন ডুডু, খাবরা, ডিকা না থাকায় কিছুটা প্রভাব পড়েছে ইস্টবেঙ্গলের খেলায়। কলকাতা লিগে র‌্যান্টি-ডুডু যুগলবন্দি যে ভাবে সাফল্য পেয়েছে, সেটা পূরণ করতে পারলেন না টিমের বাকিরা। তবে র‌্যান্টি যদি ম্যাচের শুরুতে একক কৃতিত্বে গোল না করতেন, তবে আর্মান্দো ব্রিগেড বড় সমস্যায় পড়তেই পারত। এর পর অবশ্য গোলের অনেক সুযোগ তৈরি করেছিল স্পোর্টিং। তবে সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি তারা। কিন্তু ম্যাচ শেষ হওয়ার দশ মিনিট আগে কালু সমতা ফেরান। গোলটি অবশ্য হয় ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণের ভুলে।

এ দিনের ম্যাচ থেকে অবশ্য দু’টি ইতিবাচক দিক খুঁজে পেতেই পারেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। প্রথমত, আই লিগের প্রথম ম্যাচে গোয়া থেকে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে না। যেটা ম্যারাথন লিগে অ্যাডভান্টেজ হতে পারে। দ্বিতীয়ত, ডুডু না থাকলেও র‌্যান্টি গোলের মধ্যে। ডুডু ফিরলে আক্রমণের শক্তি আরও বাড়বে।

শিবির সূত্রের খবর, লম্বা লিগের প্রথম ম্যাচে গোয়া থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে আসতে পেরেই খুশি আর্মান্দো। তবে স্পোর্টিংয়ের মতো মাঝারিমানের টিমের সঙ্গেও এ দিন যে ফুটবলটা খেললেন লোবো-অর্ণবরা তাতে কিন্তু তাঁদের গোয়ান কোচের কপালের ভাঁজ চওড়া হওয়াই স্বাভাবিক!

ইস্টবেঙ্গল: শুভাশিস, দীপক, অর্ণব, সুসাক, সৌমিক, মেহতাব, লোবো (বলজিত্‌), জোয়াকিম (সুখবিন্দর), অবিনাশ (রফিক), বার্তোস, র‌্যান্টি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন