বিশ্বকাপে ব্রাজিল-আর্জেন্তিনার গানের লড়াইয়ের কথা অনেকেই ভোলেননি। ‘‘বল তো ব্রাজিল কেমন লাগে..’’ আর্জেন্তিনার সমর্থকদের যে গানের জবাবও দিয়েছিল ব্রাজিল। যা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছিল। তা এতটাই, যে আর্জেন্তিনার তারকা জাভিয়ের মাসচেরানো বলে দিয়েছিলেন, ‘‘সমর্থকদের বুঝতে হবে এটা ফুটবল, যুদ্ধ নয়।’’
বিশ্বকাপের মতো কোপা আমেরিকার ফাইনালেও মাঠের বাইরে আর্জেন্তিনা বনাম চিলি যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। যার তীব্রতা এতটাই যে আর্জেন্তিনীয় সমর্থকরা গানও বেঁধে ফেলেছেন বিশ্বকাপের স্টাইলে, ‘‘চিলি বলতো কেমন লাগে, সমুদ্রের সামনে এলে...আমরা কিন্তু পুরনো কথা কিছু ভুলিনি...যুদ্ধে বিক্রি করে দিয়েছিলে আমাদের..সাহায্য করেছিলে ব্রিটিশদের..’’। তবে দুটো যুদ্ধের মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। ব্রাজিলের সঙ্গে রেষারেষিটা ফুটবলেই সীমাবদ্ধ। চিলির সঙ্গে লড়াইয়ে জুড়ে আছে ইতিহাসও।
বলা হয় আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে ফকল্যান্ডের যুদ্ধে চিলি সাহায্য করেছিল ব্রিটিশদের। সেই থেকেই অনেক আর্জেন্তিনীয়র কাছে চিলি লাতিন আমেরিকান ‘বিশ্বাসঘাতক’। তা ছাড়া দু’দেশের মধ্যে সীমানা নিয়ে অশান্তিও ছিল। যা ‘ভোলা যায় না’ বলেই আবার ফিরে এসেছে কোপার যুদ্ধে।
কোপা কভার করতে আসা আর্জেন্তিনার সাংবাদিকরাও ফাইনালের আবহে যুদ্ধের গন্ধ পাচ্ছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে দু’দেশের সমর্থকদের মধ্যে বড় গোলমালের। এক আর্জেন্তিনীয় সাংবাদিক বলেছেন, ‘‘চিলি চেয়েছিল ফাইনালে যে কোনও দেশ পড়ুক, আর্জেন্তিনা ছাড়া। মাঠে ৪৮ হাজার দর্শকের মধ্যে চার হাজার হয়তো আর্জেন্তিনার থাকবে। তাই গোলমালের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।’’
ক্ষোভ চিলির সমর্থকরদেরও কম নেই, ‘‘আমরা ১৯৭৮-এর ঘটনা ভুলিনি যে বার সীমানা নিয়ে অশান্তির সময় প্রায় আমাদের দেশে ঢুকে পড়েছিল আর্জেন্তিনা। চিলির মানুষরা তো আর্জেন্তিনীয়দের কাছে হাসির পাত্র। এই অপমান ভোলা যায় না।’’