বিশ্বকাপারের চ্যালেঞ্জ

‘গোল করার চেয়ে গোল করাতে বেশি পছন্দ করি’

তাঁর নেওয়া কর্নার কিক থেকেই সতীর্থ ররি ফ্যালন বাহরিনের বিরুদ্ধে গোল করে নিউজিল্যান্ডকে দ্বিতীয় বার বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এ বার ইস্টবেঙ্গল জার্সি গায়ে র্যান্টি মার্টিন্সকে দিয়ে গোলের পর গোল করাতে চান রিচার্ড হ্যাডলির দেশের হয়ে চার বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে খেলা লিও বার্তোস। আর্মান্দো কোলাসোর লাল-হলুদে যিনি আবার আইকন ফুটবলার।

Advertisement

দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৪ ০৩:৩৯
Share:

তাঁর নেওয়া কর্নার কিক থেকেই সতীর্থ ররি ফ্যালন বাহরিনের বিরুদ্ধে গোল করে নিউজিল্যান্ডকে দ্বিতীয় বার বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।

Advertisement

এ বার ইস্টবেঙ্গল জার্সি গায়ে র্যান্টি মার্টিন্সকে দিয়ে গোলের পর গোল করাতে চান রিচার্ড হ্যাডলির দেশের হয়ে চার বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে খেলা লিও বার্তোস। আর্মান্দো কোলাসোর লাল-হলুদে যিনি আবার আইকন ফুটবলার। কিউয়ি মিডফিল্ডার ওয়েলিংটন থেকে ই-মেল সাক্ষাৎকারে বললেন, “গোয়ায় খেলা আমার বন্ধুদের কাছ থেকে র্যান্টির কথা শুনেছি। ওর সঙ্গে খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। আশা রাখি, আমার পাস থেকে ও প্রচুর গোলের বল পাবে। গোল করার চেয়ে গোল করাতেই আমি বেশি পছন্দ করি।”

গোলের সামনে এ রকম ঠিকানা লেখা পাস র্যান্টি তাঁর কলকাতা ইনিংসে পেতেন কার্লোস হার্নান্দেজের পা থেকে। সেই কার্লোসের ক্লাব ওয়েলিংটন ফিনিক্স থেকেই আসছেন বার্তোস। ২০০৮-’০৯ মরসুমে ওই ক্লাবের বর্ষসেরা ফুটবলারও বার্তোস। এ বার কি লাল-হলুদ জার্সি গায়ে গোলের বন্যা বইয়ে দেবেন র্যান্টি? মঙ্গলবার সকালে অনুশীলনের পর লাল-হলুদ তাঁবুতে এই প্রশ্নের সামনে র্যান্টির মুখে হাইভোল্টেজ হাসি, “একে বিশ্বকাপার। তার উপর মিডফিল্ডার। পুরোদস্তুর পেশাদার। সুতরাং আশা তো করতেই পারি।”

Advertisement

দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘এফ’-এ ছিল ইতালি, স্লোভাকিয়া, প্যারাগুয়ে। এই তিন দলের বিরুদ্ধেই প্রথম একাদশে ছিলেন লিও। এই তিন দলের বিরুদ্ধেই কিন্তু ম্যাচ ড্র রেখে ফিরেছিল বার্তোসের দল। মনে দুঃখ এটাই, এ বার ফাইনাল প্লে অফে মেক্সিকোর কাছে আটকে যাওয়ায় পেলের দেশে আর বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া হল না তাঁর। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে লাল-হলুদের নতুন বিদেশি বলছেন, “ভারতে খেলা আমার বন্ধুদের কাছে শুনেছি ফুটবল পাগল ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কথা। জানি গত বছর ওরা এএফসি কাপের সেমিফাইনালে গিয়েছিল।” আক্রমণাত্মক এই মিডিও আরও বলছেন, “আমিও অস্ট্রেলিয়ার ‘এ’ লিগে আট বছর খেলেছি। আই লিগে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ভাল খেলতে চাই। এটা আমার নতুন চ্যালেঞ্জ। দ্রুতই যোগ দেব দলের সঙ্গে।”

রোনাল্ডোর (ব্রাজিলের) ভক্ত। রোনাল্ডোর মতো ড্রিবল করে বিপক্ষ রক্ষণ ভাঙতে পছন্দ করেন। ২০০৬-এ সুইৎজারল্যান্ডে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে খেলেওছেন। তাঁর কথায়, “জীবনের অন্যতম বড় স্বপ্নপূরণ ওই ম্যাচ।”

এই মুহূর্তে র্যান্টি, খাবরাদের নিয়ে প্রাক-মরসুম প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ইস্টবেঙ্গল কোচ। এ দিন ফুটবলারদের এনডিওরেন্স ট্রেনিংয়ের পর সাংবাদিক সম্মেলনে আর্মান্দো কোলাসো বলে গেলেন, “বিশ্বকাপ থেকে তিনটে জিনিস নোটবুকে টুকে রেখেছি। এক, পাসিংয়ের বন্যা বইয়ে দিতে হবে খেলার সময়। দুই, যত বেশি সময় সম্ভব বল নিজেদের দখলে রাখতে হবে। তিন, বিপক্ষকে ফাঁকা জায়গা দেওয়া চলবে না।” এখানেই না থেমে বললেন, “লিও এই তিন জায়গাতেই কাজে লাগবে।”

কিন্তু প্রাক-মরসুম প্রস্তুতিতে না থাকায় কিউয়ি বিশ্বকাপারের ফিটনেস মরসুমের মাঝপথে ভাবাবে না তো? লাল-হলুদ কোচের চটজলদি উত্তর, “পেশাদার ফুটবলার। খেলার মধ্যেই রয়েছে। অসুবিধা হবে না।”

যদি এই কিউয়ি বিশ্বকাপার কার্লোস হার্নান্দেজ বা রোহন রিকেটসের মতো মেজাজি হন? নিজের কোচকে ব্যতিব্যস্ত করায় যাঁরা খ্যাত ভারতীয় ফুটবলে। দ্বিতীয় জনের সঙ্গে আবার গোয়ায় তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে স্বয়ং আর্মান্দোর। লাল-হলুদ কোচের মন্তব্য, “ওদের আর আমাদের ফুটবল পরিকাঠামোয় অনেক তফাত। সেই ব্যাপারটা বোঝাতে হয়। লিও পেশাদার। কোনও চিন্তা নেই।”

অন্য খেলায়

রোটারির উদ্যোগে ২৭ জুলাই দৃষ্টিহীনদের জন্য মোটর র্যালিতে তাঁরা থাকবেন চালকের পথপ্রদর্শক হিসেবে। শুরু সাউথসিটি মল থেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন