জার্মানি আমার।
করিম বেঞ্চারিফা
বায়ার্ন ফুটবলারদের মধ্যে অদ্ভুত একটি বোঝাপড়া রয়েছে। রক্ষণের সঙ্গে মাঝ-মাঠ বা, মাঝ-মাঠের সঙ্গে ফরোয়ার্ডদের বোঝাপড়াটা দুরন্ত। যেটা ওদের পাসিং ফুটবল থেকেই বোঝা যায়। ইন্টারনেটে দেখছিলাম, গত রাতে ১০৭৮ পাস খেলেছে, নিখুঁত পাসের সংখ্যাই ১০০৬। বল পজেশন ৮২ শতাংশ। ভাবা যায়? টিম স্পিরিটটাও দুর্দান্ত। গত বারের থেকেও টিমটাকে ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছে। যার পিছনে অবশ্যই পেপ গুয়ার্দিওলা রয়েছেন। বার্সেলোনার খেলার স্টাইলটা যেন জার্মান শক্তির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পেরেছেন পেপ। এ ছাড়া বায়ার্নের গোলকিপাররা অল টাইম ফেভারিট। অলিভার কানদের যোগ্য উত্তরসূরি ম্যানুয়েল নয়ার। টিমটার মধ্যে কোনও খুঁত দেখছি না।
সুভাষ ভৌমিক
বায়ার্নের সাফল্যের কারণ বলতে গেলে কোনটা দিয়ে শুরু করব, ভাবতে হয়। টিমের ভারসাম্যের কথা বলব, না কোচের প্রশংসা করব? না কি গোলকিপার বা খেলার স্টাইলের! আসলে, এই টিমটা আগাগোড়া ব্যালান্সড। টিমে যেমন রিবেরি, সোয়াইনস্টাইগার, মুলারদের মতো ফুটবলার রয়েছে, তেমনই কোচ গুয়ার্দিওলার ফুটবল মস্তিষ্ক---- দুইয়ের মিশেলে ফুল ফোটাচ্ছে বায়ার্ন। ওরা বল ধরে খেলে। যেটা বার্সেলোনা আগে খেলত। এ ছাড়াও প্রয়োজনে স্ট্র্যাটেজি পরিবর্তন করতেও সময় নেয় না। একই টিম ধরে রাখার চেষ্টা করেছে বলে টিমের মধ্যে বোঝাপড়া দুরন্ত।
বায়ার্ন ফুটবলারদের লিগ জয়ের উচ্ছ্বাস।
সুব্রত ভট্টাচার্য
বায়ার্ন মিউনিখের সাফল্যের সব থেকে বড় কারণ, একই টিম ধরে রাখা। দু’একটা পরিবর্তন ছাড়া মূল টিমটা মোটামুটি একই রয়ে গিয়েছে। আর কোচ পেপ গুয়ার্দিওলাও কিন্তু বায়ার্নের সাফল্যের অন্যতম কারিগর। উনি টিমের মধ্যে সব সময় একটা ব্যালান্স রেখে চলেন। জার্মানির টিমটার মধ্যে একটা হার না মানা মানসিকতাও রয়েছে। আরও একটা ব্যাপার দেখেছি, ওরা বল ধরে যেমন খেলে, তেমন প্রয়োজনে লং বলও খেলতে পারে। এ সবকিছুর সঙ্গে রয়েছে ওদের সাংগঠনিক দিকও। চূড়ান্ত দক্ষতার সঙ্গে ওরা সাংগঠনিক দিকটি সামলায়। প্রয়োজনে প্রাক্তনদেরও ব্যবহার করে।
ডেরেক পেরেরা
বায়ার্নের খেলার মধ্যে একটা চূড়ান্ত শৃঙ্খলা আছে। জার্মান পেশাদারিত্বের শেষ কথা হল বায়ার্ন। ক্লাব প্রেসিডেন্টকে নিয়ে এ রকম তীব্র বিতর্ক হয়ে গেল। কিন্তু কোনও প্রভাব খেলায় পড়েনি। ক্লাব প্রশাসনেও নয়। বায়ার্নে অনেক তারকা রয়েছে। তবু নিজেদের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। বায়ার্নের সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি রয়েছে ওদের কোচের কাছেই। এ ছাড়া তো একই টিম ধরে রাখা, বিভিন্ন পজিশনে সেরা ফুটবলার বাছা— এ সব তো আছেই।
ছবি: এএফপি।