এডে চিডি বলে দিলেন, “ডার্বিতে গোল করে দলকে জেতাতে চাই।”
জেমস মোগার দাবি, “ডার্বির মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করতে চাই।”
উগা ওপারা তো ডার্বি খেলার জন্য নাইজিরিয়া থেকে ফিরেই শুক্রবার সকালে অনুশীলনে নেমে পড়েছেন। বলছেন, “মাঠে নামার সুযোগ পেলে সবকিছুর জবাব দেব।”
আর লাল-হলুদের জাপানি মিডিও সুয়োকাও ছটফট করছেন সেরা পারফরম্যান্স করার জন্য।
আসলে লাল-হলুদের চার বিদেশির সামনে আজ শনিবার ‘অগ্নিপরীক্ষা’!
ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে তীব্র গুঞ্জন, চিডি, মোগা, উগা বা সুয়োকা--- কোনও বিদেশির খেলাতেই খুশি নন ক্লাব কর্তারা। পরের মরসুমে এঁদের রাখা হবে কী না তা নিয়েও চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। স্বভাবতই চার বিদেশি ডার্বিকেই পাখির চোখ করেছেন।
দেশ থেকে দীর্ঘ বিমানযাত্রার পর লাল-হলুদের বিতর্কিত ডিফেন্ডার ওপারাকে বেশ চনমনে দেখাল। আগের মতো খোশমেজাজে কখনও তীব্রস্বরে চিৎকার করছিলেন, কখনও সতীর্থদের সঙ্গে খুনসুটি। প্র্যাকটিসে দেখে মনে হল, চোটের জন্য উগার আগের সেই মুষড়ে পড়া ভাবটাও উধাও। অনেক বেশি ঝরঝরে এবং ফিট। এমনকী, ফেড কাপের পর এই প্রথম দলের সঙ্গে পুরো অনুশীলন করলেন তিনি। আঠারো জনের দলে রাখা হচ্ছে তাঁকে। মাঠে নামাটা নির্ভর করছে কোচের সিদ্ধান্তের উপর। মোহনবাগান ম্যাচ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন তিনি। বলে দিলেন, “মাঠে নামতে দিন। খেলি। তারপর যা বলার বলব।”
কলকাতা লিগের ডার্বিকে গুরুত্ব না দিলেও আই লিগের ফিরতি ডার্বি জিততে মুখিয়ে রয়েছেন কোচ আর্মান্দো। শুক্রবার মহমেডান আবার লিগের দু’নম্বরে থাকা স্পোর্টিং ক্লুবকে হারিয়ে দেওয়ায় ডার্বির চব্বিশ ঘণ্টা আগে বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। আই লিগে ইস্টবেঙ্গলের ভেঙে যাওয়া স্বপ্ন আবার জোড়া লাগার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে সেই স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে ডার্বি জিততেই হবে মেহতাব হোসেন, অর্ণব মণ্ডলদের। সেক্ষেত্রে চার বিদেশিই সেরা বাজি আর্মান্দোর।
আর্মান্দোকে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় রেখেছে চিডি-মোগাদের গোল না পাওয়া। সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা তিনি স্বীকারও করে নিলেন। “প্রচুর সুযোগ পাচ্ছি আমরা। কিন্তু গোল হচ্ছে না। গোল করতে পারছি না বলেই আমরা হারছি বা ড্র করছি।” সে জন্যই এ দিন অনুশীলনে গোয়ান কোচ তাঁর ডিফেন্ডারদের যেমন গোল আটকানোর পথ দেখিয়ে দিলেন, তেমনই গোলের জন্য ছটফট করতে থাকা চিডি-মোগা-সুয়োকাদেরও ধরে ধরে শেখালেন গোল করার স্ট্র্যাটেজি। সেটপিস, কর্নার কিক থেকে গোল--- গোল করার যে সব পথ আছে সবকটিতেই শান দিয়ে নিলেন আর্মান্দো। অনুশীলনের পর মোগা বললেন, “আই লিগের লড়াইয়ে থাকতে হলে ডার্বি জেতাটা খুব দরকার।” চিডি মোহনবাগানকে গুরুত্ব দিলেও নিজের দলকে এগিয়ে রাখছেন। “ডার্বি সব সময় কড়া চ্যালেঞ্জ। তবে ইস্টবেঙ্গলও তৈরি।”
এখন দেখার, প্রত্যাশা পূরণ করে লাল-হলুদের চার বিদেশি ডার্বিতে বাজিমাত করতে পারেন কি না!