চেন্নাইকে ফের চ্যাম্পিয়নের মতো দেখাচ্ছে

ধোনির চেন্নাইকে আইপিএল-সাতের মধ্য পথে ঠিক সেই ভয়ঙ্কর চেহারায় দেখাচ্ছে, যে ফর্মের সৌজন্যে তারা আগের ছ’টা আইপিএলে চার বার ফাইনাল খেলেছে, দু’বার ট্রফি তুলেছে। এ বার সিএসকে-র আরও প্রশংসা প্রাপ্য যে-হেতু তারা টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল ২০ ওভারে দু’শোর বেশি রান তোলার পরেও কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের কাছে বিশ্রী হেরে। কিন্তু ক্যাপ্টেন কুল-এর ফ্র্যাঞ্চাইজি টিম সেই মানসিক ধাক্কাও সহজে সামলে তার অধিনায়কের শীতল কাঠিন্যের মতোই অনায়াসে জয়ের পথই শুধু খুঁজে পায়নি, সোমবার কোটলায় করে ফেলল জয়ের ডাবল হ্যাটট্রিক।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৪ ০৩:০২
Share:

ডোয়েন স্মিথের ৭৯ জিতিয়ে দিল চেন্নাইকে।

ধোনির চেন্নাইকে আইপিএল-সাতের মধ্য পথে ঠিক সেই ভয়ঙ্কর চেহারায় দেখাচ্ছে, যে ফর্মের সৌজন্যে তারা আগের ছ’টা আইপিএলে চার বার ফাইনাল খেলেছে, দু’বার ট্রফি তুলেছে। এ বার সিএসকে-র আরও প্রশংসা প্রাপ্য যে-হেতু তারা টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল ২০ ওভারে দু’শোর বেশি রান তোলার পরেও কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের কাছে বিশ্রী হেরে। কিন্তু ক্যাপ্টেন কুল-এর ফ্র্যাঞ্চাইজি টিম সেই মানসিক ধাক্কাও সহজে সামলে তার অধিনায়কের শীতল কাঠিন্যের মতোই অনায়াসে জয়ের পথই শুধু খুঁজে পায়নি, সোমবার কোটলায় করে ফেলল জয়ের ডাবল হ্যাটট্রিক। দিল্লির বড় রান (১৭৮-৫) তাড়া করে চেন্নাই জিতল আট উইকেটে। প্রথম ম্যাচে হারের পরে টানা ছ’টা জয়ের সুবাদে আইপিএলে চেন্নাই-ই এখন পয়েন্ট টেবিলে এক নম্বর। ৭ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। আরও একটা প্লে-অফ কার্যত পকেটে টিম ধোনির। ‘মিস্টার ফিনিশার’ ধোনিই শেষ ওভারে উনাদকটের তিন বলে ১২ রান নিয়ে দলকে জেতান এ দিন।

Advertisement

ঘরের মাঠে টস হেরেও আগে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে দিল্লি যখন তাদের পয়লা নম্বর ডেয়ারডেভিল কেভিন পিটারসেনের এক বলে শূন্যের ধাক্কাও সামলেও প্রতিপক্ষকে প্রায় নয়ের আস্কিংরেটে ১৭৯ রানের টার্গেট দিয়েছিল, তখন যে কোনও সময় রাতের দিল্লিতে বৃষ্টি নামতে পারে এমতাবস্থায় চেন্নাইয়ের সামনে ডাবল আশঙ্কার মেঘ। এক) কঠিন টার্গেট। দুই) এবং সেই কঠিন টার্গেটও তাড়া করতে হবে সম্ভাব্য ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথড মাথায় রেখে। দুটো কাজই ওপেনিং জুটিতেই করলেন ডোয়েন স্মিথ এবং ব্রেন্ডন ম্যাকালাম।


ম্যাচ শেষে সতীর্থকে জড়িয়ে ধরেছেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল।

Advertisement

এ দিনই কেকেআরের গম্ভীর-উথাপ্পা ওপেনিং জুটির মতো গালভরা সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ হয়তো হয়নি চেন্নাইয়ের। আবার তার পরে তাসের ঘরের মতো ধসও হয়নি সিএসকে ইনিংসে। তাই ১২তম ওভারে ৮২ রানে লক্ষ্মীর বলে ম্যাকালাম (৩২) ফিরে গেলেও অপারেশন টেবিলে শল্য চিকিৎসকের নিখুঁত ছুরি-কাঁচি চালানোর মতোই অনায়াসে চেন্নাইকে টার্গেটে পৌঁছে দেন স্মিথ (৫১ বলে ৭৯, ৪X৪, ৮X৬), রায়না (২৭ বলে ৪৭ নঃআঃ), ধোনি (৫ বলে ১২ নঃআঃ)-রা। জলে গেল দিল্লির দীনেশ কার্তিকের ৩৬ বলে ৫১-র ইনিংস, কিংবা লক্ষ্মীরতন শুক্লের বল হাতে সংগ্রাম (৪ ওভারে ১২ ডট বল-সহ ১-৩১)। ম্যাচ শেষে ধোনির গলাতেও প্রতিপক্ষ বাংলা পেসারের প্রশংসা, “আমার দেখা এটা কোটলার অন্যতম সেরা উইকেট। সেখানেও শুক্ল ভাল বল করেছে। তবে আমরা খুব ভাল দলগত ক্রিকেট খেলছি। ডোয়েন ব্রিলিয়ান্ট। রায়নাকে নিশ্চিত দেখিয়েছে যে, শেষ অবধি ব্যাট করবে। আমি শুধু ফিনিশিং টাচ দিয়েছি। আমাদের শুধু দরকার কয়েক জন এমন ফাস্ট বোলার যাদের ডেথে ভাল বল করার ক্ষমতা আছে।”

সোমবার কোটলায়। ছবি পিটিআই/বিসিসিআই

সংক্ষিপ্ত স্কোর
দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ২০ ওভারে ১৭৮-৫।
চেন্নাই সুপার কিংস ১৯.৪ ওভারে ১৮১-২।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন