গোয়ার দ্বিতীয় গোলের পর আন্দ্রে সান্তোস (ডান দিকে) ও ফকরুদ্দিন আমিরির নাচ। শুক্রবার চেন্নাইয়ে। ছবি: পিটিআই
চেন্নাইয়ান এফসির মতো শেষ চারে যাওয়া নিশ্চিত করে ফেলল এফসি গোয়া।
শুরুর দিকে জিকোর গোয়া টিমের অবস্থা এতটা খারাপ ছিল যে, তারা কিছুতেই ‘লাস্ট বয়’-এর তকমা সরিয়ে লিগ টেবিলের উপরের দিকে উঠতে পারছিল না। আর সেই রোমিও-আমিরিরাই এখন টানা সাত ম্যাচ অপরাজিত থেকে এবং টানা চার ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে উঠল। তাও এক ম্যাচ বাকি থাকতেই। শুক্রবার আইএসএলের লিগ শীর্ষে থাকা চেন্নাইয়ানকে অপ্রত্যাশিত ভাবে ৩-১ হারাল গোয়া।
এ দিন নিজেদের মাঠে মাতেরাজ্জির টিমের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল, যেন জেতার কোনও ইচ্ছেই নেই। জঘন্য রক্ষণ, মাঝমাঠেরও বেহাল দশা। জেজে, বলবন্তরা সবাই একসঙ্গে হতাশ করলেন। নিজেদের মাঠে তাই প্রথম ম্যাচ হেরে গেলেন তাঁরা।
গোয়া শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল। বিরতির আগেই রোমিও এবং সান্তোসের গোলে এগিয়ে যায় তারা। বিরতির পর ব্যবধান বাড়ান স্লেপিচকা। চেন্নাই এ দিন যে ভাবে গোলগুলো হজম করেছে, তাতে হতবাক অনেক ফুটবল বিশেষজ্ঞই। কারণ তিনটে গোলই হয়েছে রক্ষণের ভুলে। তা বলে অবশ্য গোয়ার কৃতিত্বকে ছোট করা যাবে না। ম্যাচের একেবারে শেষের চেন্নাইয়ের মরিস গোল করেন। তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি।
সাত ম্যাচে অর্থাত্ গ্রুপ লিগের প্রথম পর্বের পর গোয়ার পয়েন্ট ছিল মাত্র পাঁচ। সেখান থেকে এই মুহূর্তে ১৩ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। দেরিতে সাফল্যের মুখ দেখলেও এখন জিকোর টিমই আইএসএলের অন্যতম ‘ফেভারিট’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে কলকাতা শুরুটা দুরন্ত করলেও হঠাত্ করেই যেন তাদের পারফরম্যান্সের গ্রাফ নিম্নমুখী। শেষ আট ম্যাচে তারা মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে। বাকি পাঁচ ম্যাচ ড্র করেছে। হেরেছে দু’টিতে। নিট ফল, আইএসএলের তিন নম্বরে (১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট) নেমে গিয়েছে আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের টিম। আর ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে এফসি পুণে সিটি রয়েছে চারে।
পুণের ঠিক পরেই অর্থাত্ পাঁচে রয়েছে কেরল ব্লাস্টার্স (১৩ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট)।
সচিন তেন্ডুলকরের টিমের কাছে এই মুহূর্তে শেষ চারে পৌঁছানোর লড়াই বেশ কঠিন। তবে এ সব নিয়ে বিশেষ আক্ষেপ না করে, বরং আইএসএলের সাফল্য নিয়ে আশাবাদী সচিন। তিনি বলেও দিয়েছেন, “ফুটবলের উন্নতির জন্য শক্ত জমি দরকার। যেখানে জুনিয়াররা নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ পাবে। এই লিগ (আইএসএল) কিন্তু সেই সমস্ত তরুণদের স্বপ্ন পূরণ করতে সাহায্য করছে। আইএসএল যে সাফল্য পাবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এর পর এই টুর্নামেন্ট আরও বড় করে হবে।”