আইপিএলের শেষ দিককার কয়েকটা ম্যাচ দেখার পর একটা কথা বলে দিতে চাই। কলকাতা নাইট রাইডার্সের গ্রাফটা যেখানে উঠছে, লিগ টেবিলে থাকা এক নম্বরে থাকা কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের দুর্বলতাগুলো সেখানে সামনে উঠে আসছে।
যেমন, অতিরিক্ত বিদেশি ব্যাটসম্যানের উপর নির্ভরতা। সহবাগ-মনন ভোরা বা আমাদের ঋদ্ধি যতই রান করুক না কেন, ম্যাক্সওয়েল-মিলারের ব্যাটই কিন্তু পঞ্জাবের আসল পাওয়ার হাউস। ওদের ব্যাটে যে দিন বল লাগবে, কিছুই অসম্ভব নয়। কিন্তু যে দিন ব্যর্থ হবে, সে দিন বাকিদের পক্ষে বিশাল স্কোর করা কঠিন। মুম্বই ম্যাচে যেমন ম্যাক্সওয়েল ব্যর্থ হওয়ায় বেইলি, মার্শরা চেষ্টা করেও দলকে ১৫৬-র বেশি এনে দিতে পারেনি। তা ছাড়া শেষ কয়েকটা ম্যাচে সহবাগকে কিন্তু বেশ নড়বড়ে দেখিয়েছে।
পঞ্জাবের বোলিংটা কিন্তু মোটেই খুব শক্তিশালী নয়। ডেল স্টেইনের মতো মিচেল জনসনও ‘অ্যাভারেজ’ ফর্মে। কয়েকটা ম্যাচে বাইরে থাকার পর রবিবার জনসন কেন বোলিং শুরু করল না, বুঝলাম না। সম্ভবত ফিটনেসের সমস্যা আছে ওর। অথবা প্লে অফে উঠে যাওয়ায় জনসনের উপর চাপ কমানোর জন্য ওকে বেশি ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু এখনও জনসনকে সে রকম ভয়ঙ্কর লাগেনি। ও বাদে বাকিদের মনে হয় নাইট ব্যাটিংকে চাপে ফেলার ক্ষমতা নেই।
আইপিএল শুরুর দিকে যে ‘ম্যাড ম্যাক্স এফেক্ট’ দেখা যাচ্ছিল, সেটা ক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে। ম্যাক্সওয়েল গত তিনটে ম্যাচেই ব্যর্থ। ফলে মিলারের উপর চাপ পড়ে যাচ্ছে। ম্যাক্সওয়েলের দুবর্লতাগুলোও ধরা পড়ে যাচ্ছে। লেগ স্পিনারের বিরুদ্ধে ও খুব সাবলীল নয়। শর্ট বলেও অস্বস্তিতে পড়ছে। কেকেআরের এক দিক থেকে উমেশ-মর্কেলের আক্রমণ। অন্য দিকে নারিন-সাকিব। এর সঙ্গে যদি পীযূষ চাওলা দলে চলে আসে, তা হলে কিংসের বিদেশি ব্যাটসম্যানরা বেসামাল হয়ে যেতেই পারে। যে দলের ব্যাটিংয়ের স্তম্ভই হল এক অস্ট্রেলিয়ান ও এক দক্ষিণ আফ্রিকান, সেই দলের বিরুদ্ধে ফর্মে থাকা তিনটে স্পিনার নিয়ে খেলতে নামা যে বাড়তি অ্যাডভান্টেজ, সেটা নিশ্চয়ই গম্ভীররা জানে। তাই আশা করছি, চাওলাকে প্রথম এগারোয় দেখতে পাব। ওদের ব্যাটিংকে অল্প রানে বেঁধে রাখার এর চেয়ে ভাল উপায় আর কিছু নেই।
প্রথমে ব্যাট করলে স্কোরবোর্ডে বড় রান তোলার মতো ব্যাটিং কেকেআরের আছে। বিশেষ করে পঞ্জাবের এই বোলিংয়ের বিরুদ্ধে। উথাপ্পা ‘ল অব অ্যাভারেজ’-এর শিকার হলেও গম্ভীর, সাকিব, ইউসুফ, সূর্য, মণীশরা এ ক’দিনে দেখিয়েছে, ওদের উপর ভরসা করা যায়।