জকোভিচের কীর্তি আটকে দিতে পারে অ্যান্ডি মারেই

অস্ট্রেলীয় ওপেনের ফাইনালে এমন দু’জন খেলছে যারা মেলবোর্নটাকে দারুণ উপভোগ করে। চার বার এই টুর্নামেন্টটা জিতেছে নোভাক জকোভিচ। পাঁচ বার জিতলে একটা ঐতিহাসিক কীর্তি হবে। কিন্তু কেউ যদি নোভাককে থামাতে পারে, সে হল অ্যান্ডি মারে। এখানে বেশ কয়েক বারই ফাইনালে উঠেছে ও। এই ট্রফিটা জেতার জন্য নিশ্চয়ই বাড়তি খিদে নিয়ে ঝাঁপাবে। মারে-জকোভিচের ম্যাচ দেখতে দেখতে মাঝে মাঝে গুলিয়ে যায়, কোর্টের কোন পাশে কে খেলছে।

Advertisement

বরিস বেকার

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:৫৮
Share:

ট্রফির সঙ্গে জকোভিচের ফারাক এক ম্যাচের। মারের মুখোমুখি হওয়ার আগে বেকারের ক্লাসে।

অস্ট্রেলীয় ওপেনের ফাইনালে এমন দু’জন খেলছে যারা মেলবোর্নটাকে দারুণ উপভোগ করে। চার বার এই টুর্নামেন্টটা জিতেছে নোভাক জকোভিচ। পাঁচ বার জিতলে একটা ঐতিহাসিক কীর্তি হবে। কিন্তু কেউ যদি নোভাককে থামাতে পারে, সে হল অ্যান্ডি মারে। এখানে বেশ কয়েক বারই ফাইনালে উঠেছে ও। এই ট্রফিটা জেতার জন্য নিশ্চয়ই বাড়তি খিদে নিয়ে ঝাঁপাবে।

Advertisement

মারে-জকোভিচের ম্যাচ দেখতে দেখতে মাঝে মাঝে গুলিয়ে যায়, কোর্টের কোন পাশে কে খেলছে। ওদের অল কোর্ট খেলার ধরন এতটাই এক রকম। এত শক্তিশালী ব্যাকহ্যান্ড এই মুহূর্তে কারও নেই, নেই এ রকম কাউন্টার পাঞ্চও। ওদের দু’জনের ম্যাচগুলোয় সাধারণত লম্বা লম্বা র্যালি দেখা যায়। আর অবশ্যই প্রচণ্ড হাড্ডাহাড্ডি হয়। না, ফাইনালে কে ফেভারিট সেটা আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না। কারণ, আমি এই লড়াইয়ে পেশাগত ভাবে এতটাই জড়িয়ে আছি যে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভাবে ব্যাপারটা দেখার উপায় নেই।

তবে এটা দেখে ভাল লাগছে যে মারে ওর ফর্মটা ধরে রাখতে পেরেছে। এটিপি মাস্টার্সে কোয়ালিফাই করার জন্য যে হাফ ডজন টুর্নামেন্টে খেলেছে, তাতে ও ভাল ফর্মেই ছিল। মাস্টার্সেও ভাল খেলেছে। মেলবোর্নে আসার আগে আবু ধাবিতে ওয়ার্ম আপ ম্যাচ বা হপম্যান কাপেও কিন্তু মারে ফর্মে ছিল। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেও মারে শুরুটা ভাল করেছিল। আর দিমিত্রভকে হারানোর পরে আসল মারেকে দেখা গিয়েছে। দুটো গ্র্যান্ড স্ল্যাম ট্রফি জিতেছে। বড় মঞ্চে কী ভাবে খেলতে হয়, ও জানে। আমি কিন্তু ফাইনালে কড়া চ্যালেঞ্জ দেখতে পাচ্ছি মারের কাছ থেকে।

Advertisement

জকোভিচেরও দুর্দান্ত একটা সময় চলছে। অস্ট্রেলীয় ওপেনের আগে থেকেই। এবং টুর্নামেন্টে নেমে সেই ছন্দটা ধরে রাখতে পেরেছে। সেমিফাইনালে ওয়ারিঙ্কার বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইটা ফাইনালের জন্য জকোভিচের প্রয়োজনীয় ওয়ার্ক আউটটা পাইয়ে দিয়েছে। মেলবোর্নের দর্শকদের সামনে খেলতে বরাবর পছন্দ করে জকোভিচ।

শেষে একটা কথা বলতে চাই। রজার ফেডেরার আর রাফায়েল নাদালের বিদায়ের পর টেনিসপ্রেমীরা দেখছি ওদের শোকগাথা লিখে ফেলতে চাইছে। আমি হলে কিন্তু আরও একটু সময় অপেক্ষা করে দেখতাম। যে কেউ একটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে পারে। ফেডেরারেরও সেটাই হয়েছিল। আর নাদাল নিয়ে বলব, খুব কম প্লেয়ারকেই আমি জানি যে সাত মাসে মাত্র সাতটা ম্যাচ খেলে গ্র্যান্ড স্ল্যামে এসে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছতে পারে! আমরা সত্যিই একটা অযৌক্তিক মাণদণ্ডে ফেলে বিচার করি স্প্যানিয়ার্ডকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন