লিওকে পাওয়ায় আরও গোল করব: র্যান্টি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
লিও বার্তোস ইস্টবেঙ্গলে সই করায় তাঁর আরও গোল করতে সুবিধা হবে, বলে দিলেন র্যান্টি মার্টিন্স! তাঁর দাবি, “দলে এক জন ভাল মানের অ্যাটাকিং মিডিও থাকা মানেই স্কোর করতে বাড়তি সুবিধা পাওয়া স্ট্রাইকারদের।” যদিও কিউয়ি ফুটবলারটি সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেন না র্যান্টি। শুধু শুনেছেন, এক জন বিশ্বকাপারকে সই করিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। যিনি অ্যাটাকিং মিডিও। যা শুনে নাইজিরিয়ান গোলমেশিনের প্রতিক্রিয়া, “ইউনাইটেডে যখন কার্লোস হার্নান্ডেজ ছিল, তখন যেমন সুবিধা পেতাম, এ বারও ইস্টবেঙ্গলে মনে হচ্ছে সেই সুবিধাটাই পাব। মাঝমাঠ থেকে বেশি বল বাড়ানোর লোক থাকলে স্ট্রাইকারদের খুব সুবিধা হয়।” সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “আশা করি, লিওর সঙ্গে আমার বোঝাপড়া ভাল হবে। ইস্টবেঙ্গলে সাফল্য এনে দিতে পারব আমরা।” এ বারের লাল-হলুদ টিম নিয়েও র্যান্টি বেশ খুশি। রবিবার সকালে লাল-হলুদের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে মেহতাবরা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেন। ৬-২ জেতে ইস্টবেঙ্গল। এই খেলার ফলাফলকে র্যান্টি অবশ্যই কোনও গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তবু বললেন, “এ ধরনের প্রস্তুতি ম্যাচ আমাদের প্রস্তুতিতে সাহায্য করবে। জুনিয়র-সিনিয়র মিলিয়ে এ বারের দল বেশ ভাল হয়েছে। দেখবেন, এ বার আই লিগে ভাল ফল করবে ইস্টবেঙ্গল।” ১০ অগস্ট থেকে কলকাতা লিগ শুরু হচ্ছে। লাল-হলুদের প্রথম ম্যাচই মহমেডানের সঙ্গে। কিন্তু আইএসএলের জন্য মেহতাব হোসেন, বলজিৎ সাইনি, অভ্র মণ্ডলদের ছেড়ে দিতে হবে। তাই কলকাতা লিগের জন্য দ্বিতীয় দল তৈরি রাখছেন আর্মান্দো কোলাসো। গোয়ান কোচের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে র্যান্টি বললেন, “আমাদের রিজার্ভ বেঞ্চ যথেষ্ট শক্তিশালী। কলকাতা লিগে দ্বিতীয় দল নামলেও সাফল্য পাব।আই লিগ এবং কলকাতা লিগে আলাদা দল খেললে ফুটবলাররা ক্লান্তও হবে না। সব টুর্নামেন্টেই নিজেদের সেরাটা দিতে পারবে।”
মোহনবাগান অ্যাকাডেমির প্রধান কোচ ডগলাস
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
মোহনবাগান-দুর্গাপুর ফুটবল অ্যাকাডেমির প্রধান কোচ হলেন প্রাক্তন ব্রাজিলীয় ফুটবলার ডগলাস ডি’সিলভা। জো পল আনচেরির জায়গায় অ্যাকাডেমির দায়িত্ব নিলেন তিনি। রবিবার মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র বললেন, “ডগলাসের সঙ্গে আমাদের চূড়ান্ত কথাবার্তা হয়ে গিয়েছে। ওর সঙ্গে কত বছরের চুক্তি হবে, সেটা ডগলাস কলকাতায় আসার পরে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।” ডগলাস ৪ অগস্ট শহরে আসছেন। এবং সে দিনই মোহনবাগান কর্তারা তাঁর হাতে সরকারি ভাবে অ্যাকাডেমির দায়িত্ব তুলে দেবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে ডগলাসের যে কোচ হিসাবে এই প্রথম আত্মপ্রকাশ হচ্ছে, তা কিন্তু নয়। সাও পাওলোর এক ক্লাবে প্রধান কোচ হিসাবে তিন বছর কাজ করেছেন তিনি। এ দিন ব্রাজিলে ফোনে যোগাযোগ করা হলে ডগলাস বললেন, “২০০৮-এ আমি ‘এ’ লাইসেন্স করেছিলাম। তার পরে প্লেয়ার হিসাবে খেলার পাশাপাশি কোচিংটাও করতাম। পরে সাও পাওলোর ক্লাবে প্রধান কোচ হই।” তা হলে হঠাৎ ব্রাজিলের ক্লাব-কোচিং ছেড়ে মোহনবাগান অ্যাকাডেমির কোচ হতে রাজি হলেন কেন? তারকা ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের জবাব, “কলকাতাকে কখনও ভুলতে পারিনি। তাই প্রস্তাবটা আসা মাত্র আর দ্বিতীয় বার চিন্তা করিনি। তবে পাকা কথা কলকাতায় গিয়েই হবে।” এ দিকে বাগানে টিডি, কোচ, ফুটবলার সবার কথা বলার উপরই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কর্তারা। ই-মেল করে নতুন নিয়মের কথা সবাইকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। আর কেউ যদি ক্লাবের নিয়ম ভেঙে কথা বলেন, তবে তাঁকে আর্থিক জরিমানা করা হবে। তবে টিডি, কোচ, ফুটবলারদের বেতনের উপর নির্ভর করেই জরিমানার টাকার অঙ্ক ধার্য হবে। যেমন টিডি সুভাষ ভৌমিক প্রথম বার নিয়ম ভাঙলে তাঁকে পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। এর পর থেকে দ্বিতীয়-তৃতীয় বার একই ‘অপরাধে’ জরিমানার টাকার অঙ্ক ধাপে ধাপে বাড়তে থাকবে।