টিম বাছাই নিয়েও সমস্যা বঙ্গ ক্রিকেটে

সিনিয়র টিম নির্বাচন নিয়ে দু’ভাগ হতে বসেছে বঙ্গ ক্রিকেট। বাংলার নির্বাচকরা চান, ইডেনে বাংলার পরের ম্যাচে কয়েক জন জুনিয়রকে খেলাতে। কিন্তু ওই সময়ই আবার জাতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ টুর্নামেন্ট সেমিফাইনাল পড়ে যাওয়ায় জুনিয়রদের ছাড়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০৩:৪৬
Share:

সিনিয়র টিম নির্বাচন নিয়ে দু’ভাগ হতে বসেছে বঙ্গ ক্রিকেট। বাংলার নির্বাচকরা চান, ইডেনে বাংলার পরের ম্যাচে কয়েক জন জুনিয়রকে খেলাতে। কিন্তু ওই সময়ই আবার জাতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ টুর্নামেন্ট সেমিফাইনাল পড়ে যাওয়ায় জুনিয়রদের ছাড়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

আগামী ২৯ জানুয়ারি ইডেনে বাংলা নামবে রেলওয়েজের বিরুদ্ধে। যে ম্যাচে অগ্নিভ পান, ঋত্বিক রায়চৌধুরী, কণিষ্ক শেঠের মতো কিছু জুনিয়রকে খেলাতে চান নির্বাচকেরা। শোনা যাচ্ছে, অন্যতম যুগ্ম-সচিব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও নাকি সেটাই চাইছেন। তাঁদের বক্তব্য, চলতি রঞ্জি মরসুমে বাংলার বর্তমান অবস্থান যা, অবস্থা তার চেয়ে খারাপ হবে না। তাই এখনই টিম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নেওয়া হোক। আগামী ২৭ জানুয়ারির মধ্যে রেলওয়েজ ম্যাচের দল নির্বাচন হয়ে যাবে। তার আগে এক নির্বাচক বলে দিলেন, জুনিয়রদের ডাক পাওয়া প্রায় নিশ্চিত। বলা হচ্ছে, মুম্বই যেমন এ বার জুনিয়রদের নিয়েই টিম করেছে, বাংলাও সেটা করে দেখতে পারে।

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, ওই সময়ই আবার অনূর্ধ্ব ১৯ কোচবিহার ট্রফির ম্যাচ। যে-সে ম্যাচ নয়, সেমিফাইনাল। বহু দিন পর অনূর্ধ্ব ১৯ টিম এত দূর এসেছে। সেমিফাইনালের আগে টিমে অদলবদল করতে চান না জুনিয়র ক্রিকেটের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম-সচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি এ দিন বলে রাখলেন, “সিনিয়র টিমের জন্য যখন অভিমন্যু ঈশ্বরনকে চাওয়া হল, আমি না করিনি। ওকে ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু সেমিফাইনালের আগে টিমের সেরা ক্রিকেটাররা চলে গেলে তো সমস্যা।” সুবীরবাবু আরও জানালেন, এই নিয়ে তিনি সৌরভের সঙ্গে কথা বলবেন। “এত দিন পর কোচবিহার ট্রফির শেষ চারে উঠেছে বাংলা। জুনিয়র ক্রিকেটের কথা ভেবে সৌরভ নিশ্চয়ই কিছু একটা সিদ্ধান্ত নেবে,” বললেন তিনি। যা শুনে এক নির্বাচক বলে দিলেন, জুনিয়রদের তাঁরা খেলাবেনই। তবে বললেন, প্রথম এগারোয় যারা নিশ্চিত তাদেরই শুধু ডাকা হবে। টিমে রেখেও রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হবে না জুনিয়রদের। নির্বাচকেরাও তাঁদের দাবি সৌরভের কাছে রাখবেন।

Advertisement

এ দিকে, এ দিনও গাজিয়াবাদের আউটফিল্ড না শুকনোয় উত্তরপ্রদেশ-বাংলা ম্যাচের একটা বলও হয়নি। যা অবস্থা, তাতে এই ম্যাচ থেকে একের বেশি পয়েন্ট পাওয়ার আশা প্রায় নেই বললেই চলে। অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্ল অবশ্য আশা ছাড়ছেন না। সন্ধেয় গাজিয়াবাদ থেকে ফোনে বলছিলেন, “কালকের দিনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর এই ম্যাচ থেকে যদি এক পয়েন্টও পাই, তা হলেও পরের দুটো ম্যাচ জিতে আমরা কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারি। জানি না আমাদের শেষ আটে যাওয়া নিয়ে কাদের মনে এত অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে। টিমের উপর আমার অন্তত পুরো আস্থা আছে।”

লক্ষ্মী যা-ই বলুন না কেন, বাংলার রঞ্জি-আশা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসছে। গ্রুপ ‘এ’-র যা অবস্থা, তাতে মাত্র ৫ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে কর্নাটক বাকি টিমের ধরাছোঁয়ার বাইরে। ডব্লিউ ভি রামনের তামিলনাড়ুও এ দিন মুম্বইকে বোনাস পয়েন্ট-সহ হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে। ৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৩। লড়াই এখন তিন নম্বর টিম হিসেবে শেষ আটে যাওয়ার। যে লড়াইয়ে বাংলার (৫ ম্যাচে ১০) চেয়ে আপাতত এগিয়ে বরোদা (৫ ম্যাচে ১৫), মুম্বই (৬ ম্যাচে ১১) এবং জম্মু-কাশ্মীর (৬ ম্যাচে ১১)। উত্তরপ্রদেশ ম্যাচের পর বাংলার হাতে পড়ে আর দুটো ম্যাচ রেলওয়েজ এবং মধ্যপ্রদেশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন