ট্রফির সঙ্গে খুলল গুপ্তধনের দরজা

ওস্তাদের মার শেষ রাউন্ডে! যা দিয়ে ইউরোপীয় ট্যুরে নিজের প্রথম খেতাব ছিনিয়ে নিলেন অনির্বাণ লাহিড়ী! রবিবাসরীয় দুপুরে নাটকীয় এক শটের ব্যবধানে মেব্যাঙ্ক মালয়েশিয়া ওপেন ট্রফি মুঠোয় পুরলেন ভারতীয় তারকা। ধারে এবং ভারে যা এ পর্যন্ত অনির্বাণের সবচেয়ে বড় সাফল্য। “এই রকম বড় জয়ের স্বপ্ন দেখতাম। বিশ্বাস করতে পারছি না সেটা সত্যি হয়েছে!” উচ্ছ্বসিত অনির্বাণ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:৫৬
Share:

ইউরোপীয় ট্যুরে প্রথম জয় অনির্বাণের। ছবি: এএফপি

ওস্তাদের মার শেষ রাউন্ডে! যা দিয়ে ইউরোপীয় ট্যুরে নিজের প্রথম খেতাব ছিনিয়ে নিলেন অনির্বাণ লাহিড়ী!

Advertisement

রবিবাসরীয় দুপুরে নাটকীয় এক শটের ব্যবধানে মেব্যাঙ্ক মালয়েশিয়া ওপেন ট্রফি মুঠোয় পুরলেন ভারতীয় তারকা। ধারে এবং ভারে যা এ পর্যন্ত অনির্বাণের সবচেয়ে বড় সাফল্য। “এই রকম বড় জয়ের স্বপ্ন দেখতাম। বিশ্বাস করতে পারছি না সেটা সত্যি হয়েছে!” উচ্ছ্বসিত অনির্বাণ।

ট্রফির সঙ্গে যাঁর জন্য গুপ্তধনের দরজাও যেন চিচিং-ফাঁক এ দিন। পাঁচ লক্ষ ডলারের বিজয়ীর চেকটা (ভারতীয় মুদ্রায় তিন কোটি দশ লক্ষ টাকার কিছু বেশি) সাতাশ বছরের তারকাকে এক ধাক্কায় বিশ্বের ৭৩ নম্বর থেকে পৌঁছে দিতে পারে সেরা চল্লিশে। সোমবার প্রকাশ হবে নতুন র্যাঙ্কিং। যার অর্থ, এপ্রিলে আগাস্টা মাস্টার্সে সরাসরি নামার যোগ্যতা সম্ভবত পেয়ে যাচ্ছেন বেঙ্গালুরুর বাঙালি। এ বারের প্রেসিডেন্টস কাপ দলে ঢোকার এবং ২০১৭ পর্যন্ত ইউরোপীয় ট্যুরে খেলার যোগ্যতাও অর্জন করলেন। এগিয়ে গেলেন এশীয় অর্ডার অব মেরিটের দৌড়েও।

Advertisement

অনির্বাণ অবশ্য বলছেন সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি সেরাদের হারানোর আনন্দটা। “বরাবর চাইতাম এমন মঞ্চে জিততে যেখানে টক্করটা হবে সেরাদের সঙ্গে। এখানে সেটাই হল।” কুয়ালা লামপুর গল্ফ ক্লাবে লড়াইয়ে ছিলেন মাস্টার্সের আসরে দু’বার রানার্স, লি ওয়েস্টউডের মতো মহাতারকা। ছিলেন ইউরোপ এবং এশিয়ার সেরারা। অনির্বাণের কথায়, “আরও পাঁচটা খেতাব জিতেছি। কিন্তু সত্যিকারের বড় জয় বলতে এটাই।” জয়ের থেকে পুরো পাঁচ শট দূরে দাঁড়িয়ে দিন শুরু করেন অনির্বাণ। কিন্তু শেষ রাউন্ডে নাটকীয় বাজিমাত করবেন, এটাই যেন রীতি! অস্ট্রিয়ার বার্নড ওয়াইসবার্গারের সঙ্গে লড়াই গড়াল শেষ হোল পর্যন্ত।

অনির্বাণ শুরুতেই প্রথম পাঁচ হোল-এ চারটি বার্ডি করেন। ফিরতি নয়ে আরও দু’টি। স্কোর ৬৮, মোট স্কোর ১৬-আন্ডার ২৭২। তবে সতেরো নম্বর হোল-এ চল্লিশ ফুট দূর থেকে অনির্বাণের তাক লাগানো বার্ডি শটই সম্ভবত ফারাকটা গড়ে দেয়। অন্য দিকে জোড়া বার্ডি দিয়ে শুরু করে চাপের মুখে ক্রমশ ভেঙে পড়েন ওয়েইসবার্গার। শেষ হোল অস্ট্রীয় বার্ডি করলে প্লে অফে গড়াবে লড়াই, এই অবস্থায় ভুল করে বসেন ওয়েইসবার্গার। খেতাবও অনির্বাণের হয়ে যায়! পাশাপাশি টুর্নামেন্টে দশ নম্বরে শেষ করলেন এসএসপি চৌরাসিয়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন