স্বস্তির জয় মারের। বুধবার উইম্বলডনে। ছবি: এপি।
ভেনাস উইলিয়ামসের সঙ্গে পাঁচ ফুটি জাপানি কুরুমি নারা-র ম্যাচে টেনিসের চেয়ে বক্সিংয়ের তুলনা বেশি হওয়ার জোগাড় উইম্বলডনের তৃতীয় দিনে! প্রাক্তন উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে পাক্কা ১৩ ইঞ্চি লম্বা। ওজনেও বিরাট তারতম্য। ‘ফেদারওয়েটে’র সঙ্গে লড়াইয়ে ‘লাইট মিডল ওয়েট’ জিতবেন না তো কী? কিন্তু তেত্রিশ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গী আমেরিকানের দু’বছর আগেও বিরল স্নায়ু রোগে (যাতে মুখের ভেতরটা একদম শুকিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি গোটা শরীরের জয়েন্টে তীব্র যন্ত্রণা হত সেরেনা উইলিয়ামসের দিদির) ভোগান্তির কথাকে মাথায় রাখলে ভেনাসের বুধবার ৭-৬ (৭-৪), ৬-২ জিতে তৃতীয় রাউন্ডে ওঠার বাড়তি তাত্পর্য থাকছে। ভেনাসও তো জিতে উঠে বলেছেন, “টাইব্রেকার মানে সেই সময় যে যত বেশি ধারাবাহিক আর আক্রমণাত্মক থাকবে, সে-ই জিতবে। এই ম্যাচে সেটা পারফেক্ট করতে পেরে আত্মবিশ্বাস বাড়ল। আমি কিন্তু এসডব্লিউ নাইনটিনে একটু বেশি সময় থাকব বলেই এসেছি। তাড়াতাড়ি এখানকার পাততাড়ি গোটানোর কোনও ইচ্ছে নেই।”
অ্যান্ডি মারে আবার হাসতে হাসতে ৬-১, ৬-১, ৬-০ জিতে তৃতীয় রাউন্ডে ওঠার পর বাড়তি বিনয়ী। সাতাত্তর বছর পর কোনও ঘরের ছেলেকে খেতাব অটুট রাখার লড়াইয়ে নামতে দেখার বিরল সুযোগ ঘটায় স্কট টেনিস তারকার প্রতিটা রাউন্ডে এ বার উইম্বলডনে সাত থেকে সত্তর, সব বয়সী ইংরেজদের বাড়তি ভিড়। স্লোভাকিয়ার ব্লাজ রোজা-র পেশাদার টেনিস জীবনে এটাই প্রথম গ্রাস কোর্ট মরসুম। সদ্য কলেজ থেকে বেরিয়েছেন এবং বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম একশোয় ঢুকেছেন। দ্বিতীয় সেটে ১-৫ করার পর সেন্টার কোর্টে বজ্রমুষ্টি আকাশে তুলে ম্যাচ জয়ীর নকল ভঙ্গিও করেন। কিন্তু তাতেও চটেননি মেজাজি মারে। কোর্টেই বিবিসি-র টেনিস প্রতিবেদককে বলে দেন, “ছেলেটার ঘাস জিনিসটার অভিজ্ঞতা একেবারেই নেই। তা-ও যথেষ্ট লড়েছে। উত্থানের অনেক সময় ওর সামনে পড়ে আছে। তবে আমি তাড়াতাড়ি জেতায় খুশি। এতে পরের দিকের ম্যাচগুলোর জন্য এনার্জি বাঁচিয়ে রাখা যায়। ফরাসি ওপেনে বড্ড কাহিল হয়ে পড়েছিলাম। এমিলি-ও (ব্যক্তিগত মহিলা কোচ মরেসমো) ব্যাপারটা আমাকে বুঝিয়েছে। এর পর ওর সঙ্গে আলোচনায় বসব, বিশ্রাম নেব পরের ম্যাচের জন্য তৈরি হওয়ার জন্য।”