দিয়োগোর (ডানদিকে) গোলের জবাব দিয়ে নেইমারের হুঙ্কার।
আটলেটিকো ১ (দিয়েগো)
বার্সেলোনা ১ (নেইমার)
বিপক্ষের সেরা অস্ত্র দিয়েগো কোস্তা চোট পাওয়ায় ৩০ মিনিটের বেশি মাঠে থাকতে পারেননি। তবু চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটের যুদ্ধে ন্যু কাম্পে আটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে ১-১ আটকে গেল বার্সেলোনা। আর এক দিয়েগোর রকেটে। যা দেখে বার্সেলোনার কোচ টাটা মার্টিনোই প্রশংসায় প্রায় লাফিয়ে উঠতে যাচ্ছিলেন। শেষে বার্সেলোনাকে বাঁচান নেইমার।
এল ক্লাসিকোর পর লিও মেসিদের পারফরম্যান্স গ্রাফ যে ভাবে উঠছিল তাকে এ ভাবে মঙ্গলবার আটলেটিকো থামিয়ে দেবে সেটা বোধহয় সমর্থকরাও আন্দাজ করতে পারেননি। একে ঘরের মাঠে খেলা তার উপর দুরন্ত ফর্মে ‘বার্সার রাজপুত্র’। উপরি পাওনা হিসেবে যোগ হয় ৩০ মিনিটে দুর্ধর্ষ ফর্মে থাকা কোস্তার চোট। কিন্তু মেসিরা সে সুযোগ নিতে পারলেন কোথায়! উল্টে অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা পেয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় পর্বে ঘরের মাঠে আটলেটিকোকেই এগিয়ে রাখছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে বার্সেলোনার ব্যর্থতার থেকেও লা লিগার এক আর দু’নম্বর টিমের লড়াইয়ে আলোচনার কেন্দ্রে ব্রাজিলের দিয়েগো রিবাস দ্য কুনহার দুরন্ত গোল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বক্সের ডান দিক থেকে ২৫ গজের বাঁকানো শটে জাল কাঁপিয়ে দেন তিনি। বার্সা কোচ মার্টিনো ম্যাচের পর বলেন, “অসাধারণ গোল। আমি তো প্রায় উৎসব করতে যাচ্ছিলাম।” আটলেটিকোর কোচ আর এক দিয়েগো (সিমেওনে) আবার তৃপ্তির হাসি নিয়ে বলছেন, “যখনই দিয়েগো শটটা নিল তখনই জানতাম ওটা গোল। মনটা আনন্দে ভরে গিয়েছিল। দিয়েগো কী করতে পারে এতেই পরিষ্কার। আরও বেশি আনন্দ হচ্ছে ওর এত দিনের পরিশ্রম সার্থক হওয়ায়। ও প্রচণ্ড খাটে কিন্তু নিঃশব্দে।”
ড্রয়ের পর বিষণ্ণ মেসি।
দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি ইনিয়েস্তার ডিফেন্স চেরা পাস থেকে নেইমার কোনও রকমে হার বাঁচালেও দলের পারফরম্যান্সে খুশি বার্সা কোচ। মার্টিনো বলেন, “গত দু’বছরে এটা অন্যতম কঠিন ম্যাচ ছিল। আমাদের আরও একটা গোল পাওয়া উচিত ছিল। তবে যে ভাবে আমরা লড়াই করেছি তাতে আমি গর্বিত। আমি নিশ্চিত, সমর্থকরাও সেটা অনুভব করছেন।” সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “আটলেটিকোর গোটা টিমটা হৃদয় নিংড়ে খেলে। কখনও হাল ছেড়ে দেয় না। সেটা প্রথম পর্ব হোক বা দ্বিতীয় পর্ব। আমার কাছে যেটা দারুণ ব্যাপার। তবে একটা কথা বলতে পারি আমরা যে ভাবে খেলেছি, বজায় রাখলে আমাদের কেউ রুখতে পারবে না।”
আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে দুই টিমেরই চিন্তা চোট। কোস্তা হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট সারিয়ে ঘরের মাঠে খেলতে পারবেন কি না নিশ্চিত নয়। বার্সেলোনার চিন্তা আবার পিকের চোট। ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন পিকে। যে চোটে মাসখানেকের জন্য মাঠের বাইরে চলে গিয়েছেন তিনি বলে নিশ্চিত করেছে বার্সা।
ছবি: রয়টার্স।