বক্তা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাত্তির সাড়ে এগারোটা নাগাদ তাঁকে প্রথম একটু ফাঁকায় পাওয়া গেল। তখনই তাঁর অধিনায়কত্বে টানা আট বিশ্বকাপ ম্যাচ জেতার রেকর্ড ভঙ্গকারী মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ক্যাপ্টেন্সি সম্পর্কে বললেন আনন্দবাজারকে...
বিশ্বকাপে এ বারের উজ্জীবিত নেতৃত্ব: নিজে ভাল খেলছে। প্লাস খুব চনমনে ভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে। দারুণ লিড করছে এ বারের ওয়ার্ল্ড কাপে ও।
অধিনায়ক হিসেবে গুণ: সবচেয়ে বড় গুণ খেলাটা সম্পর্কে অগাধ জানা। ওয়ান ডে আর টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটটাকে ও প্রায় গুলে খেয়েছে। তা ছাড়া নিজে এই দু’টো ফর্ম্যাটে পারফর্মার হিসেবে খুব কনফিডেন্ট। সেই কনফিডেন্সটা ক্যাপ্টেন্সিতে এলেই টিমেরও চেহারা বদলে যায়।
বিশেষ করে আইসিসি ট্রফিতে ভাল অধিনায়কত্ব: এটা আমার কাছেও রহস্য যে কী করে আইসিসি অনুমোদিত প্রতিযোগিতা এলেই ওর ক্যাপ্টেন্সি এত ক্ষুরধার হয়ে যায়। আর মধ্যিখানে মিডিওকার ক্যাপ্টেন্সি করে। জানি না, এর উত্তর ধোনি নিজেই একমাত্র দিতে পারবে।
ওয়ান ডে-তে ধোনির সেরা কিছু মুভ: এ ভাবে বলতে পারব না। তবে ক্যাপ্টেন হিসেবে ও খুব ভাল। কাজেই বেশির ভাগ সময় ঠিক সিদ্ধান্ত নেয়।
শীতল মাথা সাফল্যের বড় কারণ: হতে পারে কিন্তু আমার মনে হয় মাথা আর সবার মতো ধোনিরও গরম হয়। ও হয়তো সেই গরম হওয়াটাকে দারুণ ম্যানেজ করতে পারে। তবে ভাল ক্যাপ্টেন মানেই সে বরফশীতল হবে, মাথা গরম করবে না এই থিওরিতে আমি বিশ্বাস করি না। পুরোটাই নির্ভর করছে কী টিম আপনার হাতে আছে। তারা কী ভাবে আপনাকে রেসপন্ড করে তার ওপর।
বৈশিষ্ট্য হিসেবে টিম মিটিংয়ের কখনও তোয়াক্কা না করা: যতটা বলা হয় তোয়াক্কা করে না, ততটা বলা ঠিক কি? আমি তো ওর আন্ডারে যে সামান্য সময় খেলেছি তাতে মনে হয়েছে আমাদের মতোই ধোনি টিম মিটিং করে। তবে থিওরি নিয়ে পাগল হয়ে যায় না। প্র্যাকটিক্যাল দিকটাকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আর সেটাই তো হওয়া উচিত।
তাৎক্ষণিকতাকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া: যে কোনও ভাল ওয়ান ডে ক্যাপ্টেন সেটা করবে। আর তাৎক্ষণিকতার ওপর নির্ভরশীল হওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
গাঙ্গুলি আর ধোনির মধ্যে ওয়ান ডে ক্যাপ্টেন হিসেবে যে কোনও এক জনকে বাছতে হলে: এটা আমি কী করে বলব যেখানে আমি নিজেই ইনভলভ্ড? তবে আমার মনে হয় উত্তর হওয়া উচিত ধোনি। গাঙ্গুলি দেশকে বিশ্বকাপ দিতে পারেনি। ধোনি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করিয়েছে।