নাইটদের পাশে দাঁড়িয়েছেন শনিবারই। তার আগে পাকিস্তানে স্ত্রী শানেইরার সান্নিধ্যে। ছবি টুইটার
এক জন পরিষ্কার বলে দিচ্ছেন, কেকেআরকে ভারতীয় টিমে ফেরার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করার কোনও ইচ্ছে তাঁর নেই। বরং তিনি আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে আইপিএল যুদ্ধে নামবেন কলকাতার কথা ভেবে। কলকাতাবাসীর উত্তুঙ্গ আবেগের মর্যাদা দিতে।
অন্য জন আবার শুনিয়ে রাখছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর পরের দিকে না খেলাটা আদতে শাপে বরই হল! কেকেআরের হয়ে অন্তত তিনি সম্পূর্ণ ফিট এবং ঝরঝরে হয়ে নামতে পারবেন। এবং দেশবাসীকেও বোঝাবেন, তাঁকে নিয়ে এত প্রশ্ন ওঠা উচিত নয়।
এক জন ভারতীয়। টিমের অধিনায়ক। অন্য জন দক্ষিণ আফ্রিকান। টিমের এক নম্বর পেস-ভরসা।
গৌতম গম্ভীর এবং মর্নি মর্কেল।
আগামী ১৬ এপ্রিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে আইপিএলের উদ্বোধনী যুদ্ধে নামছে কেকেআর। শনিবার আবু ধাবি ওভালে নাইটদের প্র্যাকটিসে বেশ কিছু অভিনবত্বের খোঁজও পাওয়া গেল। প্রথমত, টিমের বোলিং পরামর্শদাতা ওয়াসিম আক্রম কেকেআর শিবিরে যোগ দিলেন। তার উপর মর্নি মর্কেলদের আবার নেটে দু’টো বল রেখে ওয়াইড ইয়র্কার এবং লেংথ ইয়র্কার দেওয়া প্র্যাকটিস করানো হল। যে অস্ত্র টি-টোয়েন্টি যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি কাজে আসে বলে মনে করা হয়।
এবং প্র্যাকটিস শেষে মর্কেল বলেও দিলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝপথে বাদ পড়ে যাওয়ায় এক দিক থেকে তাঁর ভালই হয়েছে। “নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটা খারাপ ম্যাচের পরই আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে। একটা ম্যাচ খারাপ যাওয়া বড় ব্যাপার নয়। কিন্তু তার পর আমাকে আর বাছা হয়নি। ভালই হল। কেকেআরের জন্য অনেক ঝরঝরে ভাবে নামতে পারব,” এক সাক্ষাৎকারে পরে বলেছেন মর্কেল। সঙ্গে সংযোজন, “বলতে গেলে, কেকেআরের জার্সিতে নেমে পড়ার জন্য এখন আমি তৈরি। দেশের লোকদের যদি জবাবটা দেওয়া যায়, তা হলে ভালই হবে। চ্যালেঞ্জটা নিয়ে কিন্তু আমি উত্তেজিত।”
মর্কেলের মতো তাঁর বর্তমান আইপিএল অধিনায়কেরও জায়গা হয়নি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ টিমে। কিন্তু গৌতম গম্ভীর কেকেআরকে ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করতে চান না। তাঁর কারও কাছে কিছু প্রমাণ করারও নেই।
অধিনায়কের তাস
“আমি কখনওই সেটা করিনি,” বলে দিয়েছেন গম্ভীর। “আমার লক্ষ্য, কেকেআর ও তার সমর্থকদের জন্য ভাল করা। আমাদের কঠিন সময়ে সমর্থকরা আমাদের পাশে ছিলেন। আশা করছি এ বার আমরা ভাল করতে পারব। আর আমি কখনওই কামব্যাকের জন্য খেলি না। সেটা হওয়ার হলে এমনিই হবে।”
যা খবর, তাতে আবু ধাবির উইকেট ইডেনের চেয়ে আলাদা কিছু হওয়ার সম্ভাবনা কম। মনে করা হচ্ছে, সাধারণ উপমহাদেশীয় উইকেটের মতোই হবে সেখানকার পিচ। একটু স্লো-ও হতে পারে। নাইট সংসারের অধিকাংশ যোদ্ধা বা অধিনায়কের এর আগে আমিরশাহিতে খেলার অভিজ্ঞতা না থাকলেও মর্কেলের আছে। মনে করা হচ্ছে, তিনি নিজ-অভিজ্ঞতা দিয়ে টিমকে সাহায্যও করে দিতে পারবেন। আর মুম্বই ইন্ডিয়ান্স? আইপিএলে নাইটদের প্রথম প্রতিপক্ষ? তাদের বিরুদ্ধে কী হবে?
গম্ভীর বলে দিচ্ছেন, “ওদের হারাতে পারলে সেটা টিমকে খুবই আত্মবিশ্বাস দেবে। প্রথম ম্যাচ থেকে পালস্টা পাওয়া খুব জরুরি।” তবে উদ্বোধনী যুদ্ধের আগে নাইট অধিনায়ককে একটা ব্যাপার স্বস্তিতে রাখছে।
দেশে থাকলে কেকেআরের এটা অ্যাওয়ে ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। অন্তত ওয়াংখেড়ের দর্শকের বিরুদ্ধে তাঁকে নামতে হচ্ছে না!
আমার লক্ষ্য, কেকেআর ও তার সমর্থকদের জন্য ভাল করা। আমাদের কঠিন সময়ে সমর্থকরা আমাদের পাশে ছিলেন। আশা করছি এ বার আমরা ভাল করতে পারব। আর আমি কখনওই কামব্যাকের জন্য খেলি না। সেটা হওয়ার হলে এমনিই হবে।
গৌতম গম্ভীর