লিখিত ক্ষমা চেয়েছিলেন। সেটা গৃহীতও হয়েছিল। তবু এশিয়ান গেমসে পদক কেলেঙ্কারিতে জড়ানোয় বিশ্ব বক্সিং সংস্থার কোপের হাত থেকে বাঁচলেন না লইশরাম সরিতা দেবী। সাসপেন্ড করা হল মণিপুরের মহিলা বক্সারকে।
শুধু সরিতাই নন, বিশ্ব বক্সিং সংস্থা সরিতার কোচ গুরবক্স সিংহ সান্ধু, ইগলেসিয়াস ফার্নান্ডেজ ও সাগরমাল দয়ালের পাশাপাশি ইনচিওন এশিয়াডে ভারতের শেফ দ্য মিশন আদিল সুমারিওয়ালাকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। এআইবিএ নোটিস না দেওয়া পর্যন্ত সাসপেন্ড হওয়া কেউই কোনও পর্যায়ের বক্সিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না। ফলে নভেম্বরের গোড়ায় কোরিয়ায় মেয়েদের বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে সরিতা, তিন কোচ ও সুমারিওয়ালা যেতে পারবেন না। তবে সরিতাদের সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নয়। গোটা ঘটনা নতুন করে ভেবে দেখার জন্য এআইবিএ শৃঙ্খলারক্ষা কমিশনের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ইনচিওন এশিয়াডে সেমিফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার জি না পার্কের কাছে হারার পর বিতর্কিত রেফারিং নিয়ে তুমুল প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সরিতা ও ভারতীয় দল। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য আবেদনও করা হয়েছিল। কিন্তু তা বিফলে যায়। ২৯ বছরের বক্সারের ক্ষোভ সেখানেই থেমে থাকেনি। পোডিয়ামে ব্রোঞ্জ পদক নিতে প্রথমে অস্বীকার করেন সরিতা। কান্নায় ভেঙে পড়েন। শেষ পর্যন্ত প্রথামত গলায় না পরে হাতে গ্রহণ করেন ব্রোঞ্জ পদক আর তুলে দেন পাশে দাঁড়ানো ‘অন্যায় সুবিধে পাওয়া’ কোরীয় বক্সার জি না পার্কের হাতে।
ঘটনায় মারাত্মক চটে গেলেও এআইবিএ পরে সরিতার লিখিত নিঃশর্ত ক্ষমা মেনে নিয়েছিল। কিন্তু তার পরেও এতটা কড়া মনোভাব কেন দেখানো হল সেটাই অবাক করছে অনেককে। সরিতা যদিও প্রতিক্রিয়ায় এখনও এই নিয়ে কিছু না জানার কথাই বলছেন, “এআইবিএ-র তরফে এখনও এই ব্যাপারে আমায় কিছু জানানো হয়নি। চিঠিটা পেয়ে পরবর্তী পদক্ষেপের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।” গোটা ঘটনাকে অনেকেই মেয়েদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের আগে ভারতের কাছে বড় ধাক্কা হিসেবে ধরলেও ভারতীয় কোচ গুরবক্স সান্ধু যদিও বলছেন, “এআইবিএ আমাদের একটা নোটিস পাঠিয়েছে। যার জবাব সাত দিনের মধ্যে দিতে হবে। আমরা জবাবটা তৈরি করছি। আশা করছি ব্যাপারটা দ্রুত মিটে যাবে।”
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালও সরিতার সাসপেনসনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে। তিনি বলেন, “সরিতার সাসপেনশন তোলার জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে বিষয়টি নিয়ে যেতে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”