পাকিস্তানের প্রধান কোচ হতে চলেছেন ওয়াকার ইউনিস। এই খবরে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ বঙ্গ ক্রিকেটের আকাশে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বাংলায় ক্রিকেট প্রতিভা আবিষ্কারের প্রকল্প ভিশন ২০২০-র সঙ্গে তিনি আর থাকতে রাজি হবেন কি না, এই নিয়েই প্রশ্ন উঠল রবিবার। যার উত্তরে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই বললেন, “ওকে নিয়ে সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।”
পাক দলের প্রধান কোচের পদের জন্য আবেদন করেন ওয়াকার নিজেই। আবেদন পাঠানোর পর সংবাদসংস্থাকে বলেন, “পাক কোচ হওয়াটা অবশ্যই সম্মানের। বোর্ড চাইলে অন্য কাজের চেয়ে এই দায়িত্বকেই বেশি প্রাধান্য দেব।” ফলে সিএবি-তে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সৌরভের প্রকল্পের সঙ্গে আদৌ তিনি আর থাকবেন কি না।
রবিবার রাতে এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সৌরভ আনন্দবাজার-কে বলেন, “খবরটা আগেই শুনেছি। আগে তো পাকিস্তানের কোচ হোক। তার পর দেখা যাবে। আইনত ও এই প্রকল্পের দায়িত্ব ছাড়তে পারবে কি না, তা ওর চুক্তিপত্র না দেখে ঠিক বলতে পারব না। তবে সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।” সঙ্গে অবশ্য সৌরভ বলেন, “এই নিয়ে ওর সঙ্গে আমার কথা হয়নি। তবে কথা নিশ্চয়ই হবে। তখন জানতে চাইব ও কী চায়।” সিএবি-র কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে বলেন, “চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আমরা আগে থেকে জানিয়ে ওকে ছেড়ে দিতে পারি। কিন্তু ওয়াকার দায়িত্ব ছেড়ে যেতে পারবে না। তবে জাতীয় দলের দায়িত্ব পালন করতে আমাদের প্রকল্পে জড়িত থাকতে না চেয়ে অনুরোধ করলে বোধহয় ওকে আটকে রাখা উচিত হবে না। সিদ্ধান্তটা অবশ্য আমাদের সবাই মিলে নিতে হবে।”
গত মাসে ভিশন ২০২০-র প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে ওয়াকার বলেন, “জানি না পাক বোর্ড আমাকে আদৌ কোনও দায়িত্ব দেবে কি না। তেমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলে ভেবে দেখব। তবে মনে হয় না এখানকার কাজে সমস্যা হবে।” কিন্তু পাক বোর্ডের এক কর্তাকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা জানাচ্ছে, ওয়াকার না কি চেয়ারম্যান নজাম শেট্টিকে জানিয়েছেন, পাক বোর্ড তাঁকে পূর্ণ দায়িত্ব দিলে তিনি সিএবি-র দায়িত্ব ছেড়ে দিতেও রাজি।
ভিশন ২০২০-তে পেসারদের প্রকল্পে ওয়াকারের সহকারী রণদেব বসু জানান, “এই প্রকল্পের কাজ কেমন এগোচ্ছে, ওয়াকার তার নিয়মিত খোঁজখবর নেয়। প্রায়ই ই-মেল করে আমাকে জানাতে হয় খুঁটিনাটি সব কিছুই। এই তো সে দিনই প্র্যাকটিসের ভিডিও চেয়ে পাঠিয়েছে। সেগুলো ই-মেল করে পাঠাতে হবে ওকে। এর পরও দায়িত্ব ছেড়ে দেবে কি না, জানি না। এটা ওর ব্যাপার।”