নতুন মরসুমের প্রস্তুতি। ইন্ডোরে মনোজ-লক্ষ্মী। ছবি: উৎপল সরকার
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে দুর্গাপুজো শেষ হয়ে গেলেও উৎসবের রেশ থেকে যাবে বাংলার ক্রিকেটে। অক্টোবরেই দেড়শো বছর পূর্ণ করতে চলেছে ইডেন উদ্যান। সেই উৎসবের পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে সিএবি-তে।
নবনিযুক্ত যুগ্ম-সচিব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এখন বিদেশে থাকলেও অন্যান্য কর্তারা প্রাথমিক ভাবে উৎসবের খসড়া তৈরি শুরু করেছেন। অক্টোবরে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ান ডে ইডেনেই। সেই ম্যাচকে উৎসবের অঙ্গ করে তোলার কথাও ভাবা হচ্ছে। ম্যাচের আগে-পরে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেড়শো বছর উদযাপন হবে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ওয়ার্কিং কমিটির সভায় এই নিয়ে যাবতীয় প্রস্তাব আলোচনা হবে। সিএবি কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে বললেন, “১৮৬৪ অক্টোবরের শেষ দিক থেকে ইডেনে ক্রিকেট খেলা শুরু হয়। সঠিক তারিখ পাওয়া যায়নি। আমরা তাই অক্টোবরের শেষ সপ্তাহকেই ইডেনে খেলার সূচনার সময় ধরে নিয়ে এ বছর সেই মাসেই দেড়শো বছর পূর্তির উৎসব পালন করব।” অন্যতম যুগ্ম-সচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়ও বললেন, “দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠান তো হবেই। সেই সঙ্গে আমরা ব্যস্ত কল্যাণী ক্রিকেট অ্যাকাডেমি উদ্বোধন নিয়েও।” ১৭ অগস্টের সেই অনুষ্ঠানে বর্তমান ও প্রাক্তন সিএবি প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া ও বিশ্বনাথ দত্তকে একই মঞ্চে আনার চেষ্টা চলছে। সুস্থ থাকলে বিশ্বনাথবাবু কল্যাণীতে যাবেন বলে নাকি কথাও দিয়েছেন। এ ছাড়াও সিএবি-র প্রাক্তন জীবিত প্রেসিডেন্ট ও সচিবদের কল্যাণীতে থাকার আমন্ত্রণ জানাচ্ছে সিএবি।
এ দিকে, এ দিন বুচিবাবু ট্রফির জন্য বাছা বাংলা দলের ক্রিকেটারদের অনুশীলন শুরু হল ইডেনের ইন্ডোরে। মনোজ তিওয়ারি অনুশীলনে এসে জানিয়ে দেন, তিনি এই টুর্নামেন্টে যাবেন। প্র্যাকটিসের পর বলছিলেন, “গত মরসুমটা চোট-আঘাত নিয়েই কেটেছে। এ বার আশা করি পুরো মরসুম খেলতে পারব। বোলিং ও ফিল্ডিংয়েও সমান গুরুত্ব দিচ্ছি, যাতে ভারতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা বাড়ে। ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফর ভাল হয়েছে। বুচিবাবুতে যাব কারণ টানা ক্রিকেটে থাকতে চাই।”