ফিক্সাররা সামলে, হুঁশিয়ারি মোদীর

প্রয়োজনে গরমের ছুটিতেও চলতে পারে আইপিএল-মামলা

এক দিকে সুপ্রিম কোর্ট হলে অন্য দিকে ললিত মোদী। মঙ্গলবার সকাল থেকেই একের পর এক বাউন্সারে বিব্রত নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন। এ দিন সকাল সকাল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা শ্রীনির বোর্ডের তিন দফা দাবিকে নস্যাৎ তো করে দিলেনই, উল্টে ইঙ্গিত দেওয়া হল, শ্রীনিদের ‘ডিলে স্ট্র্যাটেজি’-ও সম্ভবত আর কাজ করবে না! ক্রিকেট ও আইনজীবী মহলের কেউ কেউ আশঙ্কা করছিলেন যে, পরের পর শুনানির দিন সংগ্রহ করে যতটা সম্ভব মামলাকে টানতে চাইছে বোর্ড।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৪ ০২:৫৪
Share:

এক দিকে সুপ্রিম কোর্ট হলে অন্য দিকে ললিত মোদী। মঙ্গলবার সকাল থেকেই একের পর এক বাউন্সারে বিব্রত নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন।

Advertisement

এ দিন সকাল সকাল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা শ্রীনির বোর্ডের তিন দফা দাবিকে নস্যাৎ তো করে দিলেনই, উল্টে ইঙ্গিত দেওয়া হল, শ্রীনিদের ‘ডিলে স্ট্র্যাটেজি’-ও সম্ভবত আর কাজ করবে না! ক্রিকেট ও আইনজীবী মহলের কেউ কেউ আশঙ্কা করছিলেন যে, পরের পর শুনানির দিন সংগ্রহ করে যতটা সম্ভব মামলাকে টানতে চাইছে বোর্ড। কারণ, আগামী মে মাস থেকে আদালতে গরমের ছুটি পড়ে যাচ্ছে। আদালত ফের বসতে বসতে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ। তার মধ্যে আবার আইপিএল মামলার অন্যতম মুখ্য বিচারপতি এ কে পট্টনায়েকও অবসর নিয়ে ফেলবেন! বলা হচ্ছিল, কোনও মতে এপ্রিল মাসটা কাটিয়ে দিতে পারলে লাভ শ্রীনির। কারণ ছুটির পর আইপিএল মামলা পড়বে নতুন বেঞ্চের হাতে। যেখানে নতুন করে সব কিছু বিবেচনা করে দেখা অসম্ভব নয়।

কিন্তু বিহার ক্রিকেট সংস্থার সচিব আদিত্য বর্মার কথা অনুযায়ী, শ্রীনিদের সে আশা পূর্ণ নাও হতে পারে। আদিত্যর কথায়, প্রয়োজন মনে করলে গরমের ছুটিতেও আদালতের স্পেশ্যাল বেঞ্চ খোলা রাখা হবে, শুনানি চলবে এমন ইঙ্গিতই নাকি এ দিন পাওয়া গিয়েছে। আদিত্য এও বলছেন, বিচারপতি পট্টনায়েক নাকি চাইছেন অবসরে যাওয়ার আগে আইপিএল মামলার চূড়ান্ত রায় দিয়ে যেতে।

Advertisement

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের গতিপ্রকৃতি দেখে উচ্ছ্বসিত প্রাক্তন আইপিএল কমিশনার ললিত মোদী। আদালতে শুনানির পরপরই তিনি টুইট করেন, ‘দেখে ভাল লাগছে যে বিচারপতি মুদগলকে তদন্ত শেষ করার জন্য বলল মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট। একদম সঠিক সিদ্ধান্ত।’

এখানেই থামেননি মোদী। বোর্ডে শ্রীনি-সমর্থকদেরও একহাত নিয়ে রেখেছেন। এ বার তাঁর টুইট, ‘বোর্ডের যদি কোনও কিছু লুকোনোর না-ই থাকে, তা হলে কেন নিরপেক্ষ প্যানেল দিল না? বোর্ড এই কেলেঙ্কারিকে মেটানোর কোনও চেষ্টাই করেনি। যাঁরা শ্রীনিবাসনের সঙ্গে আছেন, তাঁরাও সমান অপরাধী।’ বোর্ডকে তাঁর আরও হুঁশিয়ারি, ‘তোমরা আমার লড়ার প্রচেষ্টাকে কখনও খাটো করে দেখো না। কেউ যদি অপরাধ না করে থাকে, তা হলে সে নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার থাকে। সে চেষ্টা করবে গোটা দুনিয়া যে খেলাটাকে ভালবাসে তার পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি রক্ষা করতে। ফিক্সাররা, এ বার সামলে থেকো।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন