গত সপ্তাহে আইপিএলে বেশ কিছু নতুন মুখ উঠে এসেছে। প্লে-অফ লড়াইয়ে ঢুকে পড়েছে নতুন কিছু টিম। দিল্লির বিরুদ্ধে জিতে শেষ চারের জায়গা প্রায় পাকা রাজস্থানের। তবে চতুর্থ স্থানের জন্য কলকাতা, হায়দরাবাদ আর বেঙ্গালুরুর লড়াইটা একদম শেষ ম্যাচ পর্যন্ত চলবে।
এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে কলকাতা। ওরা শেষ তিনটে ম্যাচ জিতেছে বলেই নয়। হালফিলে ওরা যে ভাবে খেলছে, তাতে এই মুহূর্তে তিনটে টিমের মধ্যে কলকাতারই প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ওদের বোলিংকে তো দুর্ধর্ষ দেখাচ্ছে। সুনীল নারিনের জাদু এখনও অটুট। দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি যে, ওকে বড় শট মারার রাস্তা এখনও বের করতে পারেনি ব্যাটসম্যানরা। এটা নারিনের টেম্পারামেন্ট আর মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতার দারুণ একটা উদাহরণ। তবে কলকাতার ভাগ্য পরিবর্তন ঘটিয়েছে গৌতম গম্ভীর আর রবিন উথাপ্পার ব্যাটিং। উথাপ্পাকে তো দারুণ দেখাচ্ছে। ইচ্ছেমতো বল মাঠের বাইরে পাঠানোর ক্ষমতা ওর রয়েছে। এখন জাক কালিস নিয়মিত খেলছে না। তাই পরের চারটে ম্যাচে এই দু’জনের পারফরম্যান্স খুব গুরুত্বপূর্ণ।
আর একটা জিনিস দেখে খুব ভাল লাগছে যুবরাজ সিংহের দুর্দান্ত ফর্ম। ও কত রান করল সেটাই শুধু নয়। যুবরাজ যে ভাবে ব্যাট করছে, সেটা সত্যিই অসাধারণ। নিজের সেরা ছন্দে থাকলে যুবি কী হতে পারে, সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে ওর ব্যাটিং। এ রকমই অনায়াস স্ট্রোক খেলত যুবি। যা সত্যিই অপূর্ব দৃশ্য। যুবরাজ যদি এ ভাবেই খেলতে পারে, তা হলে আগামী দশ মাসে ও জাতীয় দলের অন্যতম শক্তি হয়ে উঠতে পারবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের পর ওকে নিয়ে যা সমালোচনা হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে এই ফর্ম যুবরাজের কাছে নিশ্চয়ই আরও তৃপ্তির। এখন যুবরাজ যে ভাবে খেলছে, সেটাই ওর চারিত্রিক দৃঢ়তা আর মানসিক শক্তির পরিচয়।