ফিফার সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা ফুটবল বিশ্বে। সবচেয়ে বেশি অসন্তোষ ছড়াল ব্রিটিশ ফুটবলে।
যে ৪২ পাতার রিপোর্টে বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের আয়োজক রাশিয়া আর কাতারের উপর আনা দুর্নীতির অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে তা হাস্যকর। এমনটাই বলছেন খোদ এফএ প্রধান গ্রেগ ডাইক। রিপোর্টে শুধু বিশ্বকাপের দুই আয়োজক দেশকে ছাড়পত্র দেওয়াই নয় তার সঙ্গে ব্রিটিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে বিশ্বকাপের বিডের নিয়ম ভাঙা আর ফিফার দুর্নামের চেষ্টা করার জন্যও দায়ী করা হয়েছে।
যাতে ব্যাপক চটেছে ইংরেজ ফুটবল মহল। সবচেয়ে বড় কথা ফিফার রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার চার ঘণ্টার মধ্যেই তদন্তকারী মাইকেল গার্সিয়া নিজেই বলে দেন রিপোর্ট ভুল। এর বিরুদ্ধে তিনি আবেদন করবেন। দু’বছর তদন্ত চালানোর পর খোদ ফিফার তদন্তকারীই যদি এই দাবি তোলেন তা হলে রিপোর্টের সত্যতা কতটা সেটা প্রশ্নের মুখে পড়তে বাধ্য। তাই ব্রিটিশ মিডিয়াও তুলোধোনা করে ছেড়েছে ফিফাকে। এফএ চেয়ারম্যান গ্রেগ ডাইক আবার বলে দেন, “আমরা তো আশ্চর্যই হয়ে গিয়েছি। আমি নিশ্চিত বাকি অনেকেরও একই অবস্থা। তদন্তকারীই যদি বলে দেন যে তিনি যেটা বিশ্বাস করেন তার প্রতিফলন রিপোর্টে পড়েনি তা হলে ফিফার গোটা প্রক্রিয়াটাই তো হাস্যকর হয়ে যায়।” পাশাপাশি তিনি গার্সিয়ার গোটা রিপোর্টটাই প্রকাশ করার দাবি তোলেন, “আমরা সব সময়ই চেয়েছি পুরো রিপোর্টটাই প্রকাশ করা হোক। গার্সিয়াও তো সেটাই চান। এখন সেটাও পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।”
তবে তদন্ত রিপোর্টের সমালোচনা করলেও ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটারের এর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ আছে সেটা মনে করেন না এফএ কর্তা। “আমার মনে হয় না এর সঙ্গে সেপ ব্লাটারের কোনও সম্পর্ক রয়েছে। তবে এটা কিন্তু মানতেই হবে গোটা ব্যাপারটাই হাস্যকর হয়ে গেল।”