ম্যাচ গড়াপেটা চক্রে নিউজিল্যান্ডের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের জড়িত থাকা নিয়ে এক দিকে যখন আইসিসি তদন্ত চালাচ্ছে, তখন সর্ষের মধ্যেই ভূত থাকার অভিযোগ উঠল বাংলাদেশ থেকে!
বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দাদের উদ্ধৃত করে সে দেশের প্রচারমাধ্যম দাবি করেছে, অতনু দত্ত নামে বুকির সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে আইসিসি-র দুর্নীতি দমন শাখার এক উচ্চপদস্থ কর্তার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় ফোনে আড়ি পেতে উপমহাদেশের আঞ্চলিক নিরাপত্তা ম্যানেজারের পদে থাকা ওই কর্তার সঙ্গে বুকি অতনুর কথোপকথনের অডিও রেকর্ডিং সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। যার ভিত্তিতে বুকিকে জেরা করে ম্যাচ গড়াপেটা সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে।
অভিযোগ নিয়ে আইসিসি অবশ্য এখনও নীরব। দুর্নীতি দমন শাখার কয়েক জন কর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা মন্তব্য এড়িয়ে গিয়ে জানান, এ ব্যাপারে কিছু বলার থাকলে সেটা আইসিসি-ই বলবে।
বাংলাদেশের একটি প্রথম সারির কাগজ আর টিভি চ্যানেলের খবর, কলকাতার রিজেন্ট পার্কের বাসিন্দা অতনুকে গত ২১ মার্চ মিরপুরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়াম থেকেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল বাংলাদেশ পুলিশ। কিন্তু আইসিসি-র দুর্নীতি দমন শাখার ওই কর্তার হস্তক্ষেপে তাঁকে ছেড়ে দিতে হয়। অতনু তাঁর হয়ে গুপ্তচরের কাজ করেন বলে নাকি জানিয়েছিলেন ওই কর্তা। এর পরেই নাকি টেলিফোনে আড়ি পেতে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা শুনতে পান, অতনুকে যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশ ছাড়ার নির্দেশ দিচ্ছেন ওই কর্তা। এ-ও বলছেন, ফের ধরা পড়লে তাঁর পক্ষে অতনুকে আর ছাড়িয়ে আনা সম্ভব হবে না।
টিভি চ্যানেলে শোনানো অডিও রেকর্ডিংয়ের ট্রানসক্রিপ্ট অনুযায়ী, ওই কর্তা অতনুকে বলছেন, “যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশ ছাড়ার চেষ্টা করো। ওরা তোমার মুখ দেখে নিয়েছে, তোমাকে যে কোনও জায়গায় খুব সহজেই চিহ্নিত করে ফেলবে... কেউ চিনে ফেলার আগেই ওখান থেকে কেটে পড়ো।” এই রেকর্ডিংয়ের ভিত্তিতে এপ্রিলে ফের গ্রেফতার হন অতনু। কাগজের খবর, ৩১ মার্চ ভিসা ফুরিয়ে যাওয়ার পরেও বেআইনি ভাবে বাংলাদেশে ছিলেন বুকি। কিন্তু বেনেপোল দিয়ে লুকিয়ে ভারতে ফিরতে গিয়ে অভিবাসন কর্তাদের হাতে ধরা পড়েন। মিরপুর পুলিশের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়।