এশিয়া কাপে পেসারদের ফর্মে না থাকাই ডোবাল ভারতীয় দলকে, বৃহস্পতিবার শহরে ফিরে ব্যর্থতার এই ব্যাখ্যাই দিলেন মহম্মদ শামি। তাঁর বক্তব্য, “আমাদের পেসাররা ফর্মে ছিল না বলে ঠিক মতো বলই করতে পারল না। আমি উইকেট পেয়েছি ঠিকই। কিন্তু অন্যরা যদি ফর্মে থাকত, তা হলে আমাদের বোধহয় এ ভাবে ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হত না।”
এশিয়া কাপের চারটি ম্যাচে মহম্মদ শামি যেখানে ন’টি উইকেট পেয়েছেন, সেখানে ভুবনেশ্বর কুমার তিনটির বেশি উইকেট নিতে পারেননি। বরুণ অ্যারন একটি ম্যাচে সুযোগ পেয়ে মাত্র একটি উইকেট পান। সেখানে দুই স্পিনার অশ্বিন (৯) ও জাডেজা (৭) দু’জনে মিলে ১৬টি উইকেট পান। ভারতীয় দলের অন্য পেসারদের এই ব্যর্থতাকেই এ দিন ফাইনালে উঠতে না পারার কারণ হিসেবে দায়ী করেন শামি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ শহরে ফেরেন ২৩ বছর বয়সি এই পেসার। শেষ ওভারে শাহিদ আফ্রিদির পরপর দু’ বলে দু’টি ছয় মেরে ভারতকে হারানোর প্রসঙ্গ ওঠায় বলেন, “পেসারদের চেয়ে স্পিনারদের বল ওভাবে উড়িয়ে দেওয়া অনেক সোজা। তাই আফ্রিদি দারুণ কোনও কাজ করেছে বলে মনে করি না আমি। ওই ওভারে আমাদের কোনও পেসার বল না করলে এটা হত কি না, সন্দেহ আছে।” সে দিন অবশ্য অশ্বিন ছাড়া দলের অন্য বোলারদের ওভারের কোটা শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই এ ছাড়া ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির আর কিছু করারও ছিল না বলে মনে করেন শামি।
বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব নিয়ে অবশ্য কোনও অভিযোগ নেই তাঁর। তবে ধোনিকে সবার আগে রাখতে চান শামি। বলেন, “কোহলি ভাল ক্যাপ্টেন। তবে মাহিভাই কি বাতহি অলগ হ্যায়।” ডেথ বোলিংয়ে প্রচুর রান দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, “কী আর করা যাবে? স্লগ ওভারে তো সেই আমাকেই বল করতে হচ্ছে। সেই জন্যই তো বললাম, দলের অন্য পেসাররা ফর্মে থাকলে এমন হত না।” তবে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আর এ সব ভুল হবে না বলে মনে করেন শামি। বললেন, “বিশ্বকাপে এই ভুলগুলো আমরা শুধরে নিয়েই নামব। তাই ওখানে এই ভুলগুলো হওয়ার সম্ভাবনা কম।”