বাগানে বিশ্বকাপ ঢুকতে দিতে চান না সুভাষ

নিজে এবং ফুটবলাররা বিশ্বকাপ দেখবেন, সেই কারণ দেখিয়ে অনুশীলনের তারিখ পিছিয়েই চলেছেন আর্মান্দো কোলাসো। ঠিক উল্টো পথে হাঁটা শুরু করলেন সুভাষ ভৌমিক। ইস্টবেঙ্গলে যখন প্রাক মরসুম প্রস্তুতি কবে শুরু হবে সেই সিদ্ধান্ত ঝুলে, তখন মোহনবাগানে শুরু হয়ে গেল অনুশীলন। সোমবার সকালেই। সেখানে আবার ব্রাজিল বিশ্বকাপের প্রবেশও ‘নিষিদ্ধ’। সামনের সপ্তাহেই যে ক্লাব তাঁবুতেই আংশিক আবাসিক শিবির শুরু করে দু’বেলা অনুশীলন করাবেন ঠিক করে ফেলেছেন সুভাষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৪ ০৩:৪৫
Share:

অধিনায়ক শিল্টন পালের সঙ্গে টিডি সুভাষ ভৌমিক। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।

নিজে এবং ফুটবলাররা বিশ্বকাপ দেখবেন, সেই কারণ দেখিয়ে অনুশীলনের তারিখ পিছিয়েই চলেছেন আর্মান্দো কোলাসো।

Advertisement

ঠিক উল্টো পথে হাঁটা শুরু করলেন সুভাষ ভৌমিক। ইস্টবেঙ্গলে যখন প্রাক মরসুম প্রস্তুতি কবে শুরু হবে সেই সিদ্ধান্ত ঝুলে, তখন মোহনবাগানে শুরু হয়ে গেল অনুশীলন। সোমবার সকালেই। সেখানে আবার ব্রাজিল বিশ্বকাপের প্রবেশও ‘নিষিদ্ধ’। সামনের সপ্তাহেই যে ক্লাব তাঁবুতেই আংশিক আবাসিক শিবির শুরু করে দু’বেলা অনুশীলন করাবেন ঠিক করে ফেলেছেন সুভাষ।

“আমি বিশ্বকাপ দেখব না। ফুটবলারদেরও দেখার দরকার নেই। বিশ্বকাপ নয়, মোহনবাগানই আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছে। কেউ দেখতে চাইলে দুপুরে দেখুক,” বলে দিলেন বাগান টিডি। দু’দিন বাদেই ব্রাজিল নেমে পড়বে। ব্রাজিল থেকে শহরে পা দেওয়া ফিজিও গার্সিয়াও ক্লাব তাঁবুতেই টিডিকে উপহার দিয়েছেন নেইমার-ফ্রেডদের জার্সি। এই আবহেও অনুশীলন দেখতে সাত-সকালে হাজির কয়েকশো সদস্য-সমর্থক। কেউ গায়ে বাগান পতাকা জড়িয়ে, কারও সবুজ-মেরুন জার্সি।

Advertisement

কিন্তু প্রথম দিনের অনুশীলনের মেনুতে যে, মাঠে নামার কথাই নেই। ফলে অপেক্ষমাণ সমর্থকরা হতাশ। একমাত্র কাতসুমি নিজের ইচ্ছেয় কিছুটা দৌড়োদৌড়ি করলেন। বাকি যা হল সব তাঁবুর মধ্যে। শিল্টন পাল, লালকমল ভৌমিক, জেজেদের রক্ত পরীক্ষা থেকে নানা পরীক্ষা। আজ মঙ্গলবারও মাঠে নেমে অনুশীলন নেই। তবে শৃঙ্খলার জন্য কী কী করতে হবে তা জানিয়ে দেবেন সুভাষ। তাঁর কথায়, “আমি কী চাইছি তা বলব।” সোমবার থেকে মাঠে নামার কথা কাতসুমিদের। শুরু হয়ে যাবে গার্সিয়ার ফিজিক্যাল ট্রেনিং।

বাগানে এত দিন রীতি ছিল ঘটা করে মঞ্চ বেঁধে কোচ ও ফুটবলারদের নাম ঘোষণা করা। তা তো হয়ইনি। টিডির জন্য ফুলের স্তবক বা উত্তরীয়ও আসেনি। ফুটবল সাব কমিটির এক সদস্য নিজের উদ্যোগে ফুলের স্তবক এনেছিলেন একটা! চার বছরের ট্রফি না পাওয়া ক্লাবে সবই শুরু হয়ে গেল নিঃশব্দে। যদি এটা পয়মন্ত হয় এই আশায় হয়তো!

বাগানে এ বার পুরোপুরি চার্চিল-মডেল এনেছেন সুভাষ। গত বারের নয় জন ফুটবলার রেখে বাকি সবই সাধারণ মুখ। চনমনে, তরুণ। জেজে-লালকমলের বাইরে তাই ইন্টারভিউ নেওয়ার লোক পেলেন না সাংবাদিকরা। দু’জনেই ট্রফি দিতে মরিয়া জানিয়ে গেলেন! “বড় নাম পার্থক্য গড়ে দেয় না। তরুণরাই সেটা করে। চার্চিলে সেটাই দেখিয়েছি। দেখি এ বার বাগান সমর্থকদের জন্য তাই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি।” বিশ্বকাপ হয়ে গেলে তাঁর যে পরীক্ষা শুরু সুভাষের চেয়ে এটা কে-ই বা ভাল জানে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement