বকেয়া আংশিক মিটতেই দৌড় শুরু।
সাড়ে চার মরসুমের খরা কাটিয়ে ট্রফি-ফুল ফোটাতে বাগানে কিছুটা শান্তির জল ছেটালেন কর্তারা!
মরসুমের শেষ টুর্নামেন্ট আই লিগ শুরুর আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে তাই ক্লাব কর্তারা নিজেদের পকেট থেকে অর্থ দিয়ে কোচ-ফুটবলারদের বকেয়া বেতন সমস্যার কিছুটা হলেও সুরাহা করলেন শুক্রবার।
এ দিন বিকেলে ক্লাব তাঁবুতে কার্যকরী সমিতির বৈঠকের পর সচিব অঞ্জন মিত্র জানান, “আই লিগের আগে ফুটবলারদের বকেয়া কিছুটা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য টুটু বসুর কাছে আবেদন জানানোর পর তিনি বিদেশ থেকে অর্থ পাঠিয়েছেন। সহ-সভাপতি রথীন চক্রবর্তী আর কার্যকরী কমিটির আর এক সদস্যও বেশ কিছু টাকা দিয়েছেন। যা দিয়ে ফুটবলারদের এক মাসের বেতন মেটানো হয়েছে।” কাতসুমি-লালকমলদের বেতন বকেয়া ছিল তিন মাসের। ক্লাবের পদত্যাগী প্রেসিডেন্ট ও সহ-সভাপতিদের উদ্যোগে ফুটবলারদের এক মাসের বেতনের সুরাহা হলেও সমস্যা থেকেই যাচ্ছে, মেনে নেন ক্লাব সচিবও।
অঞ্জনের কথায়, “আর্থিক সমস্যা রয়েছেই। চুক্তি সত্ত্বেও স্পনসর ম্যাকডাওয়েল এখনও বকেয়া পাঁচ কোটি টাকা দেয়নি। আগামী সপ্তাহের শুরুতে এ ব্যাপারে স্পনসর সংস্থার কলকাতা দফতরের প্রধান আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক হবে। তার পর পরবর্তী পদক্ষেপ।” তবে সেই পদক্ষেপ আইনি কি না তা নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেননি বাগান সচিব। এ দিনের কার্যকরী সমিতির সভায় হাজির ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ এক মেয়র পারিষদ। ক্লাবের এই আর্থিক সমস্যায় তাঁদের কাছ থেকে যদিও প্রতিশ্রুতির বেশি কিছুই মেলেনি। বরং তাঁদের মধ্যে এক জন বৈঠকে প্রশ্ন তোলেন, “দল গঠনের সময় আমাদের ডাকা হয় না। এখন আর্থিক সমস্যায় পড়ে আমাদের ডাকা হচ্ছে।” এ দিনই ফুটবল টিমের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাদের উপর দায়িত্ব আগামী পাঁচ মাস ফুটবল টিম চালানোর। তবে সেই কমিটির মধ্যে দু’জন ছাড়া কারও কাছ থেকে আর্থিক ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।
ফুটবলাররা অবশ্য বকেয়ার কিছুটা সমাধান হওয়ায় কর্তাদের উপর খুশি। রবিবার আই লিগে বাগানের প্রথম ম্যাচ খালিদ জামিলের মুম্বই এফসি-র বিরুদ্ধে। তার আগে শুক্রবার সকালে যুবভারতীতে এই খবর পেয়ে হাসি মুখেই মাঠ ছাড়তে দেখা যায় সনি নর্ডি-পিয়ের বোয়াদের। যাঁরা গত এক মাসে এ ব্যাপারে অসন্তোষ গোপন রাখেননি। এ দিন আবার ছিল বোয়ার জন্মদিন। অনুশীলন সেরে বাড়ি যাওয়ার আগে বাগানের মার্কি ফুটবলার বলে যান, “জন্মদিনে কোনও সেলিব্রেশন নয়। সেলিব্রেট করব আই লিগে গোল করে।”