ছত্রিশেও খিদে কমার কোনও লক্ষণ নেই! উল্টে আট বছর পর ফের সোনার ট্রফি হাতে তুলতে মরিয়া। দেশের জার্সিতে ১৩৯ ম্যাচে খেলে ফেলেছেন। যেটা জাতীয় রেকর্ড। ব্রাজিল বিশ্বকাপের পরই কি কেরিয়ারে ইতি টানবেন? সটান জবাব এল, “মনে হয় না।” তিনি-- জিয়ানলুইগি বুফোঁ। ইতালির দুর্গ রক্ষার দায়িত্ব যাঁর কাঁধে।
ব্রাজিলের মিডিয়ায় বিশ্বকাপ নিয়ে যাঁর সাফ কথা, “আমি ভবিষ্যদ্বাণী করি না। এটা বিশ্বকাপ। যা খুশি হতে পারে। সবার জন্য খুব কঠিন একটা টুর্নামেন্ট। মাত্র মাসখানেকই যুদ্ধ করার সুযোগ পাওয়া যায়। সব নির্ভর করে টিম, সূচি, প্লেয়ারদের ফিটনেস, পরিবেশ, তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া-- এ সবের উপর। তাই বলছি যে কোনও ফলই হওয়া সম্ভব।”
পাঁচ নম্বর বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হলেও মাঠের যুদ্ধটা যে চালিয়ে যাবেন, সেটা পরিষ্কার করে দিচ্ছেন বুফো।ঁ “আগেও বলেছি, ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত খেলাটা চালিয়ে যেতে চাই। অবশ্যই যদি তত দিন শরীর সঙ্গ দেয়। তবে ২০১৮ বিশ্বকাপেও নামতে চাই। তাই অবসর নিয়ে এই মুহূর্তে কোনও ভাবনা নেই।”
আর ইতালি? সাম্বার দেশে কত দূর যেতে পারে তাঁর টিম? “আমাদের দলটা ভাল। ক্রমশ উন্নতি করছি। কোচ সিজার প্রান্দেলিকে তাই ধন্যবাদ। আগেই বললাম, আগে থেকে কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করা খুব কঠিন।” সঙ্গে বুফোঁ যোগ করেন, “গ্রুপ ডি-তে ইংল্যান্ড, উরুগুয়ে, কোস্তা রিকার বিরুদ্ধে খেলতে হবে। তাই পরের রাউন্ডে উঠতে গেলে আমাদের প্রচুর খিদে নিয়ে নামতে হবে। আশা করছি সেটা পারব শেষ পর্যন্ত।”
আট বছর আগে ইতালিকে চ্যাম্পিয়ন করতে বুফোঁর বিরাট অবদান ছিল। গোটা টুর্নামেন্টে রেকর্ড করেছিলেন সাত ম্যাচে মাত্র দুটো গোল খেয়ে। তাও একটা আত্মঘাতী আর একটা পেনাল্টি থেকে। চলতি মরসুমেও দুরন্ত ফর্মে আছেন ‘গিগি’। সেরি আ-তে গোটা মরসুমে ২৩টি গোল খেয়েছেন। তাই বিশ্বকাপ অভিযানের প্রসঙ্গে ইতালির ক্যাপ্টেনের মুখে আত্মবিশ্বাস ঝরে পড়ছে। “বিশ্বকাপে অন্য সব দলকে হারানোটা কঠিন। তেমনই আমাদের হারানোটাও সোজা নয়। আমরা ফ্রি-তে কিছু দেব না।”