চেতেশ্বর পূজারা কী বল করেন?
স্পোর্টস কুইজ-এর পক্ষেও হয়তো কঠিন প্রশ্ন!
কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতের বর্তমান প্রজন্মের সম্ভবত টেকনিক্যালি সেরা ব্যাটসম্যান এই মুহূর্তে নেটে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংটাও প্র্যাকটিস করছেন। লেগব্রেক বোলিং।
কেন?
ভারতের ওয়ান ডে দলে স্থায়ী জায়গা পেতে!
১৯ টেস্টে ষাটের কাছাকাছি গড়ে দেড় হাজারের বেশি রান, দু’টো ডাবল সেঞ্চুরি-সহ ছ’টা শতরানের ইনিংস খেলা সত্ত্বেও পূজারাকে টিম ইন্ডিয়া একদিনের ফর্ম্যাটে মাত্র দু’টো ম্যাচে ব্যবহার করেছে। সেটাও ধোনির ভারত নয়, কোহলির ভারত। ২০১৩-র অগস্টে, জিম্বাবোয়ে সফরে। কিন্ত সদ্যসমাপ্ত এশিয়া কাপে সেই বিরাট কোহলি-ই যখন গোটা টুর্নামেন্টে পুজারাকে ড্রেসিংরুমে বসিয়ে রাখলেন, এশিয়া কাপ থেকে ভারত ছিটকে যাওয়ার পরে দুর্বল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার ম্যাচেও যখন পূজারার প্রথম একাদশে ঠাঁই হল না, সম্ভবত তখনই সৌরাষ্ট্রের ছাব্বিশ বছর বয়সি ব্যাটসম্যানের এই সিদ্ধান্ত। নেটে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি যথা সম্ভব বোলিং অনুশীলনেরও।
লক্ষ্যও স্থির করে ফেলেছেন পূজারা আসন্ন আইপিএল-সাতে ব্যাটিংয়ের সঙ্গে-সঙ্গে ভাল বোলিংটাও করে নতুন রূপে জাতীয় নির্বাচকদের নজরে পড়া। যাতে, ২০১৫ সালে পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে জায়গা করে নিতে পারেন।
“এশিয়া কাপ থেকে ফিরে আমি নেটে বোলিং করা শুরু করেছি। যাতে এর পর যে টুর্নামেন্টে খেলব, সেখানে যেন দলের কাছে আমি ব্যাটসম্যানের পাশাপাশি পার্ট-টাইম বোলার হিসেবেও বিবেচিত হতে পারি,” সংবাদ সংস্থাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন পূজারা। সঙ্গে যোগ করেছেন, “আমি নিজের সার্বিক খেলায় আরও উন্নতি ঘটাতে চাইছি। সে জন্য নিজেকে এমন ভাবে তৈরি রাখতে চাইছি, যাতে ম্যাচে অধিনায়ক চাইলে পার্ট-টাইম বোলার হিসেবেও দলকে সাহায্য করতে পারি।”
জুন-জুলাই মাসে ভারতের পূর্ণাঙ্গ ইংল্যান্ড সফরের আগে পূজারার আপাতত লক্ষ্য আইপিএলে ব্যাটের পাশাপাশি বল হাতেও তাঁর দলকে সাহায্য করা। এ বারের আইপিএলে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ক্রিকেটারটি বলছেন, “আমি যদি আইপিএলে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি পার্ট-টাইম বোলার হিসেবেও নিজেকে প্রমাণ করতে পারি, তা হলে ওয়ান ডে-তেও সফল হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠব। আমার লক্ষ্য ২০১৫ বিশ্বকাপ খেলা।”
পূজারার বোলিং অভিজ্ঞতা অবশ্য যথেষ্ট কম। ১৯ টেস্ট এবং দু’টো ওয়ান ডে, কিংবা ঘরোয়া একদিনের ক্রিকেটে (‘লিস্ট-এ’) বা টি-টোয়েন্টি ম্যাচের কিছুতেই কখনও এক ওভারও বল করেননি। যদিও ৫০ ওভারের ফর্ম্যাটের ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাট হাতে তিনি যথেষ্ট সফল। ৬৮ ম্যাচে পঞ্চান্নর কাছাকাছি গড়ে ২৯৪৭ রান করেছেন। ফলে এখন ঘরোয়া সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বল হাতেও নজর কেড়ে ভারতের একদিনের দলে স্থায়ী জায়গা পেতে নেটে হাত ঘোরানো শুরু করে দিয়েছেন পূজারা।
“আসলে গোটাটাই দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার আর যত বেশি সম্ভব সুযোগ পাওয়ার প্রশ্ন। ওয়ান ডে আর টি-টোয়েন্টির তুলনায় টেস্টে আমি অনেক বেশি সুযোগ পেয়েছি বলে তাতে সফলও বেশি। কিন্তু আমি ক্রিকেটের তিন ফর্ম্যাটেই খেলতে চাই,” বলেছেন পূজারা।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে
৯৩ ম্যাচের ১০ ইনিংসে ২৫.৩ ওভারে ৮৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট, সেরা ৪ রানে ২ উইকেট, গড় ১৬.৬০। ইকনমি ৩.২৫।