মেয়েদের ফাইনালে পেত্রা কিভিতোভার ঘাসের কোর্টের ঔজ্জ্বল্যেকে চ্যালেঞ্জ জানাবে ইউজেনি বুশার্ডের বেপরোয়া প্রতিভা!
বুশার্ডের গত এক মাস দুর্দান্ত যাচ্ছে। প্যারিসের ক্লে কোর্টের ফর্মকে উইম্বলডনের ঘাসের কোর্টেও সমান হারে বজায় রাখতে পারার জন্য ওকে কৃতিত্ব দিতে হবে। মনে রাখা দরকার, ও এই অসাধারণ স্কিলটা দেখিয়েছে কুড়িতে পড়ার আগেই। কোর্টে অনবদ্য টেনিস আর কোর্টের বাইরে ওর স্বাভাবিক সৌন্দর্যের জন্য কানাডিয়ান মেয়েটি নিঃসন্দেহে মেয়েদের সার্কিটের নতুন পোস্টার-বালিকা হয়ে উঠতে চলেছে। সেরেনা আর শারাপোভার পরে ইউজেনির মধ্যেই নতুন আইকনের সন্ধান করছে টেনিস-বিশ্ব। যদিও সেমিফাইনালে বুশার্ডকে আমি একটু ভাগ্যবতীই বলব। ওর প্রতিপক্ষ, ফরাসি ওপেন ফাইনালিস্ট সিমোনা হালেপ প্রথম সেটেই চোট লাগিয়ে বসেছিল। তবে বুশার্ড দেখিয়েছে খুব ভাল সার্ভিস করার পাশাপাশি কোর্টের সর্বত্র যে কোনও বল খুব ভাল তাড়া করতেও পারে।
কিভিতোভার উইম্বলডন ফাইনাল খেলা আর চ্যাম্পিয়ন হওয়া, দু’টো অভিজ্ঞতাই আছে। এ বার মেয়েদের পুরো ড্রয়ে কিভিতোভা ও সেরেনাই গ্রেট গ্রাস কোর্ট প্লেয়ার। তার উপর কিভিতোভা বাঁ-হাতি হওয়ায় আজ ফাইনালে ওর সার্ভিসের ‘অ্যাঙ্গেল’ বুশার্ডের কাছে একটা বড় ফ্যাক্টর। কিভিতোভার র্যাকেট থেকে ছিটকে বেরনো বাড়তি ‘অ্যাঙ্গেল’-এর সার্ভিসগুলো জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেলতে নামা বুশার্ড কী ভাবে সামলায়, দেখতে আমি খুব আগ্রহী। ছ’ফুটের চেক মেয়েটি কিন্তু নিঃশব্দে হলেও বেশ কঠিন পথ পেরিয়ে ফাইনালে উঠেছে। এবং আজ ফাইনালে কিভিতোভা-ই আমার ফেভারিট। কোনও সন্দেহ নেই, বুশার্ড মারাত্মক প্রতিদ্বন্দ্বী। ফাইনালে ওর কিছু হারাবার নেই। এবং এই মানসিকতার প্লেয়াররা সব সময় ভয়ের কারণ। তবে কিভিতোভার পাওয়ার গেম-ই সম্ভবত সেটা সামলানোর যোগ্য।