মারণ গ্রুপের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী

বিয়ার ক্যান আর বিপক্ষের লাথি সামলে ব্রাজিলে এল ইংল্যান্ড

ঝড়ের তাণ্ডবে ম্যাচ আধ ঘণ্টা পিছিয়ে গিয়েছিল। প্রকৃতির রোষ থামলে মাঠে শুরু হয় আর এক ঝড়। হন্ডুরাসের ফুটবলারদের ট্যাকলের। মায়ামিতে শনিবার ইংল্যান্ড আর হন্ডুরাসের (০-০ ড্র) প্রস্তুতি ম্যাচে গোল ছাড়া সব কিছুই হল। বিপজ্জনক ট্যাকল, বুকে লাথি, লাল কার্ড, দর্শকদের বিয়ারের ক্যান ছোড়া ইত্যাদি ইত্যাদি। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার পর তাই যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন স্টিভন জেরার। ভাগ্যিস কারও চোট লাগেনি! রেফারিকেও তুলোধোনা করেন তিনি। রুনিদের কোচ রয় হজসন যদিও এই নিয়ে ‘স্পিকটি নট’।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৪ ০৪:১৩
Share:

বিশ্রী ট্যাকল হজম করে চরম বিরক্তি। প্রীতি ম্যাচে জেরার।

ঝড়ের তাণ্ডবে ম্যাচ আধ ঘণ্টা পিছিয়ে গিয়েছিল। প্রকৃতির রোষ থামলে মাঠে শুরু হয় আর এক ঝড়। হন্ডুরাসের ফুটবলারদের ট্যাকলের। মায়ামিতে শনিবার ইংল্যান্ড আর হন্ডুরাসের (০-০ ড্র) প্রস্তুতি ম্যাচে গোল ছাড়া সব কিছুই হল। বিপজ্জনক ট্যাকল, বুকে লাথি, লাল কার্ড, দর্শকদের বিয়ারের ক্যান ছোড়া ইত্যাদি ইত্যাদি। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার পর তাই যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন স্টিভন জেরার। ভাগ্যিস কারও চোট লাগেনি! রেফারিকেও তুলোধোনা করেন তিনি। রুনিদের কোচ রয় হজসন যদিও এই নিয়ে ‘স্পিকটি নট’।

Advertisement

এ দিনই ব্রাজিলে পা দিল ইংল্যান্ড। ইতালির সামনে পড়ার আগে কি শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে সহ্যশক্তিরই পরীক্ষা দিলেন ইংল্যান্ডের ফুটবলাররা? সঙ্গে শারীরিক সক্ষমতারও? বলা যেতেই পারে। জেরারকে দিয়েই শুরু। ড্যানিয়েল স্টারিজকেও কম দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। লিভারপুলের স্ট্রাইকারকে কড়া কড়া ট্যাকল, সরাসরি গায়ে বলের আঘাত তো সহ্য করতেই হল, সঙ্গে বুকে লাথিও। এভার্টনের ডিফেন্ডার লেইটন বেইনসও কম নাকাল হননি। সে তো নয় গেল। তবে এ সবের পরও হজসনের টিমকে সমালোচনার তিরও সহ্য করতে হচ্ছে খুব বেশি গোলের সুযোগ তৈরি করতে না পারার জন্য। তার থেকেও বেশি কটাক্ষ উড়ে আসে ৬৫ মিনিটে লাল কার্ড দেখার পর ১০ জনের হন্ডুরাসকেও রুনিরা কাত করতে না পারায়। হজসনের ট্যাকটিক্স নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলে দেন।

অবশ্য ম্যাচের পর সমালোচনার থেকেও অভিযোগ নিয়েই সুর বেশি চড়া ছিল ইংল্যান্ড ক্যাপ্টেনের। “একটা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে বিশ্বকাপের এক সপ্তাহ আগে ভয়ঙ্কর সব ট্যাকল সামলাতে হল। আমি তো কোনওমতে চোটের হাত থেকে বেঁচেছি। একটা প্লেয়ারের বুকে সরাসরি বল মারা হচ্ছে অথচ রেফারি কিছুই বলছে না। ব্যাপারটা আমার বোধগম্য হয়নি। ওটা পরিষ্কার লাল কার্ড। প্রথমার্ধেই যদি এই সিদ্ধান্তগুলো রেফারি নিতেন ম্যাচটা অন্য রকম হতে পারত।” প্রায় ফুঁসতে ফুঁসতেই বলে দেন জেরার।

Advertisement

‘হন্ডুরাস আতঙ্ক’ কোনওমতে কাটালেও মায়ামি অভিযানে ইংল্যান্ডের জয়ের মুখ দেখা হল না। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ইকুয়েডরের সঙ্গে ২-২ ড্র করার পর ফের ড্রয়ে জেরারের এখন মনে হচ্ছে টিমের আরও উন্নতি প্রয়োজন। “ম্যাচে আমরা যে গোলের সুযোগগুলো তৈরি করেছিলাম, খারাপ ছিল না। তবে আমাদের এই পরিস্থিতিতেও আরও ভাল খেলতে হবে। আরও কঠিন প্রতিপক্ষের মুখে পড়ার জন্য তৈরি থাকতে হবে।”

আর হজসন? হন্ডুরাসের খেলার স্টাইল নিয়ে ইংল্যান্ড বস শুধু বলেন, “ওরা খুব গুঁতোগুঁতি করে খেলছিল।” তবে টিমের পারফরম্যান্সে হতাশা গোপন করেননি তিনি। “এত হতাশাজনক ম্যাচ বহু দিন দেখিনি। এত লম্বা স্টপেজ টাইম পেয়েও লাভ হল না। ভেবেছিলাম ম্যাচটা জিতব। দ্বিতীয়ার্ধে তো ম্যাচটা শুধু আক্রমণ আর রক্ষণের যুদ্ধই থেকে গেল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন