ভারতের আইসিসি নীতি নিয়ে ক্ষুব্ধ ইমরান

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১৮:৩০
Share:

বিশ্ব ক্রিকেটে ক্ষমতা দখলের চেষ্টায় অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের সঙ্গে যে ভাবে জোট বেঁধেছে ভারত, তা মোটেই পছন্দ নয় ইমরান খানের। পাকিস্তানের কিংবদন্তি এই অলরাউন্ডার টুইটার মারফত তাঁর ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার ইমরান টুইট করেন, “বিগ থ্রি-র এই ভাবনাটা ক্রিকেট বিশ্বকে ভেঙে দেবে। আমার মনে আছে, ’৯৩ সালে আইসিসি-তে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছিলাম। সেখানে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের কথা এখনও ভুলিনি।”

Advertisement

এতেই শেষ নয়, ইমরান আরও লিখেছেন, “আর এখন শুধু আর্থিক শক্তির জন্য ভারত এই ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার দলে ভিড়ছে। অথচ ’৯৩ সালে ভারত আমাদের সঙ্গেই ছিল। এই নতুন প্রস্তাবের সঙ্গে আমি একেবারেই একমত নই।”

এক দিকে যখন ইমরান খানের মতো প্রাক্তনরা সরব হচ্ছেন ‘তিন প্রধানের’ এই নীতির বিরুদ্ধে, তখন অন্য আশঙ্কাও দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

Advertisement

আইসিসি-তে আমূল বদলের এই প্রস্তাব নিয়ে উদ্বিগ্ন এক আন্তর্জাতিক দুর্নীতিদমন সংস্থা। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টি আই) নামক ওই সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সঠিক এবং সুশাসনের অভাব হলে কিন্তু ক্রিকেট দুনিয়ায় দুর্নীতি আরও বাড়বে।

এই সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “বিগ থ্রি-র হাতে বিশাল ক্ষমতা তুলে দেওয়ার একটা বড় ঝুঁকি থেকে যায়। এতে ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করার আশঙ্কা থাকে। কাউকে প্রশ্ন করারও আর জায়গা থাকে না।” এর আগে আইসিসি নিজেই বিশ্ব ক্রিকেটের পরিচালনা কী ভাবে নিখুঁত করা যায়, তা নিয়ে লর্ড উলফ কমিশন গঠন করেছিল। যে কমিশন তার রিপোর্ট জমাও দেয় আইসিসি-র কাছে। কিন্তু সেই রিপোর্ট নিয়ে আইসিসি কোনও মতামত জানায়নি। টি আইয়ের পক্ষ থেকে এখন বলা হয়েছে, আগে উলফ কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে মতামত জানাক আইসিসি। তার আগে যেন গঠনতন্ত্রে কোনও রকম বদল না আনা হয়।

• সব সদস্য দেশেরই সব ধরনের ক্রিকেট খেলার অধিকার থাকবে দক্ষতা অনুযায়ী।

• অবনমনের আওতায় তিন প্রধানও (ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া) থাকছে।

• এ বার থেকে চালু হবে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতাভিত্তিক এফটিপি চুক্তি।

• ২০১৪-র জুনে শুরু হবে এগজিকিউটিভ কমিটি (এক্সকো) ও কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটির (এফঅ্যান্ডসিএ) কাজ। যাতে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ছাড়াও থাকবে আরও দুই দেশের বোর্ডের প্রতিনিধি।

• জুন থেকে দু’বছরের জন্য আইসিসি বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন ভারতীয় বোর্ডের প্রতিনিধি, এক্সকো-র প্রধান হবেন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি এবং এফঅ্যান্ডসিএ-র প্রধান ইংল্যান্ডের প্রতিনিধি।

• বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বদলে বহাল থাকছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন