আর দু-তিন বছর খেলবেন বলে ঠিক করেছেন। এই সময়টা কারও কাছে কিছু প্রমাণ করার জন্য নয়, খেলবেন নিজের জন্য, জানিয়ে দিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার বীরেন্দ্র সহবাগ।
রঞ্জি ট্রফিতে যাঁর এ মরসুমে ১৩ ইনিংসে ২৩৪ রান, গড় মাত্র ১৯.৫, তাঁর ভারতীয় দলে জায়গা হবে কী করে? সহবাগের এই পারফম্যান্সের পর দিল্লি ডেয়ারডেভিলসও এ বার তাদের ছ’বারের সঙ্গীকে দলে রাখতে রাজি হয়নি। একশোর বেশি টেস্ট ও দু’শোর বেশি একদিনের আন্তর্জাতিক খেলা ভারতীয় তারকার ঘোর দুঃসময় ও রানের খরা কাটানোর উপায় তাঁর কাছে একটাই। আইপিএলে কারও জন্য না খেলে শুধু নিজের জন্য খেলে যাও। বললেন, “কাউকে কিছু দেখানোর বা প্রমাণ করার নেই। আর ২-৩ বছর খেলব হয়তো। এ বার শুধু নিজের ও কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের জন্য খেলব। নির্বাচক বা ভক্তদের কথা ভাবলে ভাল খেলা সম্ভব নয়।”
১৫ বছর ধরে ক্রিকেট বিশ্ব কাঁপানোর পর এমন দশার জন্য দুঃখ না পেলেও দিল্লি ডেয়ারডেভিলস এ বার তাঁকে না নেওয়ায় হতাশ হয়েছেন। বীরু বলেন, “হতাশ হয়েছিলাম। ছ’বছর ওদের সঙ্গে ছিলাম। তবে ব্যাপারটা তো আর ব্যক্তিগত নয়, পেশাগত। তাই মেনে নিতেই হয়েছে। ওরা হয়তো নতুনদের নিয়ে দল গড়তে চাইছে। এ রকম হতেই থাকে। এই মরসুমটা ভাল যায়নি। কারণ, আমাদের সবুজ স্যাঁতস্যাঁতে উইকেটে খেলতে হয়েছে। তাই বড় রান করতে পারিনি। আশা করি আইপিএলে রান পাব। ফর্মে ফিরব। টেস্টে দু’টো তিনশো আছে আমার, ছ’টা ডাবল সেঞ্চুরি আছে। বড় রান কী করে করতে হয় জানি। একটা বড় ইনিংস খেলার পরই আশা করি রানে ফিরে আসব।”
২০১৫ বিশ্বকাপও সে ভাবে তাঁর ফোকাসে নেই। বলেন, “বিশ্বকাপে খেলতে পারি, আবার নাও পারি। মোদ্দা ব্যাপারটা হল, খেলাটাকে উপভোগ করা। সেটা করতে পারাটাই আমার কাছে এখন সবচেয়ে বড় ব্যাপার।” আইপিএলে নিজের লক্ষ্য নিয়ে সহবাগ বলেন, “ভাল খেলাটাই সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। এ ছাড়া তরুণদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নিতে চাই। ভারতীয় দলেও তাই করেছি।” ভারতীয় দলের তরুণ ব্রিগেডকে নিয়ে তাঁর ধারণা, “ওদের সময় দিতে হবে। তার পর দেখবেন, ওরা ঠিক বিদেশে সফল হবে।”
দিল্লির অধিনায়ক পিটারসেন
নিজস্ব প্রতিবেদন
সাড়ে একুশ কোটি টাকা দিয়ে কেনা জুটিই আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে চালাবে মাঠে। ক্যাপ্টেন কেভিন পিটারসেন ও তাঁর সহকারী দীনেশ কার্তিক। যাঁকে আবার ক্রিকেটমহল ডাকে ডিকে বলে। আর বাইরে থেকে তাঁদের ক্রিকেট-বুদ্ধি জোগাবেন ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচ গ্যারি কার্স্টেন। নিলামে পিটারসেনকে ‘রাইট টু ম্যাচ’ কার্ড ব্যবহার করে ন’কোটি দিয়ে ও কার্তিককে সাড়ে বারো কোটি টাকা দিয়ে কেনে দিল্লির ফ্র্যাঞ্চাইজি। মঙ্গলবার এঁদের দু’জনকেই দল চালানোর দায়িত্ব দিল মহম্মদ শামিদের দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। আইপিএলে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে সদ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে আসা পিটারসেনকে। ২০০৯-এ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ক্যাপ্টেন ছিলেন তিনি। নেতৃত্বের দায়িত্ব পাওয়ার পর কেপি টুইটারে লিখেছেন, “দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের ক্যাপ্টেন হওয়ার খবরটা দারুণ। পরিশ্রম ও আনন্দ দুটোই একসঙ্গে করা যাবে, এমন পরিবেশ চাই আমরা।” অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার টি টোয়েন্টি ক্যাপ্টেন জর্জ বেইলিকে তাদের দলের ক্যাপ্টেন করার সিদ্ধান্ত নিল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব।