রাজস্থান ক্রিকেট সংস্থার (আরসিএ) নির্বাচনের ফল ঘোষণা ৬ মে। বুধবার এই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ ওই দিনই সম্ভবত ললিত মোদীর ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনে ফিরে আসার দিন। তবে আদালতের এই নির্দেশে যেমন স্বস্তি পেলেন মোদী, তেমনই ভারতীয় বোর্ড তাদের নিয়ম অনুযায়ী আরসিএ-র বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার অনুমতি পেয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতেও পড়লেন। বোর্ড রাজনীতিতে ফেরার লড়াইয়ে যে তিনি এখনই পুরোপুরি সফল হচ্ছেন না, তা এ দিন বুঝে নিয়ে প্রাক্তন আইপিএল কমিশনারের প্রতিক্রিয়া, “এ বার আর একটা লড়াই শুরু হতে চলেছে।”
গত ১৯ ডিসেম্বর আরসিএ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ললিত মোদী ৩৩টির মধ্যে ২৬টি ভোট পান বলে দাবি করেন। বোর্ডও আদালতে কার্যত মেনে নিয়েছে সেই দাবি। যদিও ব্যালটগুলি মুখবন্ধ খামে সুপ্রিম কোর্টে জমা রয়েছে। আদালত নিযুক্ত দুই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতেই নির্বাচন হয় আরসিএ-তে। আগামী মঙ্গলবার জয়পুরে তাঁদেরই একজন এন এম কাসলিওয়ালকে সেই মুখবন্ধ খাম খুলে ফল ঘোষণার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অনিল দাভে ও বিচারপতি শিবা কীর্তি সিংহ।
ললিত মোদীকে প্রেসিডেন্ট পদে বসালে আরসিএ-কে নির্বাসন দেওয়ার হুমকি আগেই দিয়ে রেখেছে বোর্ড। কারণ তিনি চিরনির্বাসনে রয়েছেন। বোর্ডের এই সম্ভাব্য পদক্ষেপে যে আদালতের কোনও আপত্তি নেই, তাও এ দিন জানিয়ে দেন বিচারপতি দাভের বেঞ্চ। রাজস্থান সরকারের ক্রীড়া আইন ২০০৫-এর দৌলতে আরসিএ নির্বাচনে প্রার্থী হন মোদী। এই আইনের ফলে বিসিসিআই মোদীকে নির্বাচনে লড়া থেকে আটকাতে না পারলেও তিনি আরসিএ প্রেসিডেন্ট হলে বোর্ড সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে।
বোর্ড যে এমনই করতে চলেছে, তা যেন আন্দাজ করে নিয়েই মোদী এ দিন তাঁর টুইটারে লেখেন, “সুপ্রিম কোর্টের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আরসিএ নির্বাচনের ফলের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। এ বার চূড়ান্ত পর্ব। সেখানেও জিততে হবে।”