মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছে সিএবি

মুম্বই ম্যাচে নিরাপত্তা দেওয়া যাবে না, চিঠি পুলিশের

আইপিএল সেভেনে সচিন তেন্ডুলকরকে না-ও দেখতে পারে ইডেন। বাইশ গজে তিনি নেই। কিন্তু নিয়মিত মুম্বই ডাগআউটে থাকছেন সচিন। কিন্তু সেই দৃশ্য দেখা থেকেও বঞ্চিত হতে পারে কলকাতা। কারণ, ১৪ মে শহরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচ হঠাৎই অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। নির্বাচন কমিশন এবং কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে এ দিন সিএবি-কে জানিয়ে দেওয়া হল, ১৪ মে ম্যাচের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে পারবে না তারা। ১৬ মে গোটা দেশে ভোট গণনা চলবে, তার দু’দিন আগে তাই পুলিশ দেওয়া সম্ভব নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৪ ০২:৫০
Share:

আইপিএল সেভেনে সচিন তেন্ডুলকরকে না-ও দেখতে পারে ইডেন। বাইশ গজে তিনি নেই। কিন্তু নিয়মিত মুম্বই ডাগআউটে থাকছেন সচিন। কিন্তু সেই দৃশ্য দেখা থেকেও বঞ্চিত হতে পারে কলকাতা। কারণ, ১৪ মে শহরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচ হঠাৎই অনিশ্চিত হয়ে পড়ল।

Advertisement

নির্বাচন কমিশন এবং কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে এ দিন সিএবি-কে জানিয়ে দেওয়া হল, ১৪ মে ম্যাচের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে পারবে না তারা। ১৬ মে গোটা দেশে ভোট গণনা চলবে, তার দু’দিন আগে তাই পুলিশ দেওয়া সম্ভব নয়।

আইপিএল সেভেনে ভারতের পর্বের সূচি তৈরির পরপরই ৭ এপ্রিল সিএবি চিঠি দিয়ে মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, কলকাতা পুলিশ এবং ক্রীড়া দফতরকে জানিয়ে দেয়, তারা চারটে ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে। যার মধ্যে ১৪ মে ম্যাচের উল্লেখও ছিল। ৮ এপ্রিল ক্রীড়া দফতরের কাছ থেকে সম্মতিসূচক চিঠি আসে। কয়েক দিন পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়, ১৬ মে যেহেতু নেতাজি ইন্ডোরে ভোট গণনা আছে, তাই সে দিনের ম্যাচ নিয়ে সিএবি যেন কলকাতা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে। ১ মে লালবাজার থেকে তিনটে শর্ত জানিয়ে দেওয়া হয় সিএবি-কে। এক, এগারো এবং বারো নম্বর গেট দিয়ে দর্শকরা ঢুকতে পারবেন না। দুই, ‘জি’ এবং ‘এইচ’ ব্লক খালি রাখতে হবে। এবং তিন, ১২ মে-র আগে কোনও টিম শহরে ঢুকতে পারবে না। সম্মতি জানিয়ে ৪ মে চিঠি পাঠিয়ে দেয় সিএবি। দুটো টিমের শহরে আসা পিছিয়ে দেওয়া হয়। পিডব্লিউডি-র পর্যবেক্ষণ, পুলিশের ওয়াচ-টাওয়ার বসানো এবং ম্যাচ আয়োজনের বাকি কাজকর্মও নিয়মমাফিক এগোচ্ছিল।

Advertisement

হঠাৎই মঙ্গলবার রাতে কলকাতা পুলিশ জানিয়ে দেয়, ১৪ মে-র জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তা দেওয়া যাবে না। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ এবং বিরক্ত সিএবি কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে বলে দিচ্ছেন, “এটা অনেক আগেই ভাবা উচিত ছিল। এত কম সময়ে যদি ম্যাচ বাতিল হয়, তা হলে সেটা শহরের বদনাম। আর ম্যাচ সরলে সূচিও পাল্টাবে। সে ক্ষেত্রে ইডেনে আইপিএলের বাকি তিনটে ম্যাচও অনিশ্চিত হয়ে যাবে।” আপাতত ঠিক হয়েছে, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করা হবে যাতে ম্যাচ বাতিল না হয়। যদি একান্তই ম্যাচ করতে না পারে সিএবি, তা হলে কটক বা রাঁচিতে ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement