মিশরে ইতিহাস গড়ে বিশ্বখেতাব আডবাণীর

বিলিয়ার্ডস এবং স্নুকারে ছোট আর বড় দুই ফরম্যাটে-ই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে ইতিহাস গড়লেন ভারতের পঙ্কজ আডবাণী। দু’ধরনের কিউ স্পোর্টসের দুই ফরম্যাটেই বিশ্ব খেতাব জয়ের কৃতিত্ব বিশ্বের আর কারও নেই। ইতিহাস গড়ে উচ্ছ্বসিত পঙ্কজ এ দিন বলেন, “স্বপ্নের মতো লাগছে! কোনও প্রত্যাশা ছাড়াই নেমেছিলাম। কারণ, গত দু’মাস শুধুই বিলিয়ার্ডস নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তা সত্ত্বেও স্নুকারের ছোট ফরম্যাটে বিশ্চ্যাম্পিয়নশিপে নেমেই জেতাটা দারুণ ব্যাপার হল। বলতে পারেন অবিশ্বাস্য কাণ্ড!”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শার্ম আল-শেখ শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৪ ০৪:৩০
Share:

বিলিয়ার্ডস এবং স্নুকারে ছোট আর বড় দুই ফরম্যাটে-ই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে ইতিহাস গড়লেন ভারতের পঙ্কজ আডবাণী। দু’ধরনের কিউ স্পোর্টসের দুই ফরম্যাটেই বিশ্ব খেতাব জয়ের কৃতিত্ব বিশ্বের আর কারও নেই।

Advertisement

ইতিহাস গড়ে উচ্ছ্বসিত পঙ্কজ এ দিন বলেন, “স্বপ্নের মতো লাগছে! কোনও প্রত্যাশা ছাড়াই নেমেছিলাম। কারণ, গত দু’মাস শুধুই বিলিয়ার্ডস নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তা সত্ত্বেও স্নুকারের ছোট ফরম্যাটে বিশ্চ্যাম্পিয়নশিপে নেমেই জেতাটা দারুণ ব্যাপার হল। বলতে পারেন অবিশ্বাস্য কাণ্ড!”

রবিবার মিশরে আইবিএসএফ ওয়ার্ল্ড ৬-রেড চ্যাম্পিয়নশিপে পোল্যান্ডের ক্যাসপার ফ্লিলপিয়াককে একেবারে একপেশে লড়াইয়ে ৬-১ হারালেন পঙ্কজ। বেঙ্গালুরুর আঠাশ বছরের তারকার এটা কিউ স্পোর্টসে নবম বিশ্ব খেতাব। পঙ্কজের সংগ্রহে বিলিয়ার্ডসের সাতটি বিশ্ব খেতাব রয়েছে। স্নুকার খেলা শুরু করার পর চিনে স্নুকারের বড় ফরম্যাটে আইবিএসএফ বিশ্ব স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম নেমেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। মিশরেও ছোট ফরম্যাটে প্রথম নেমেছিলেন এ বার এবং একই ভাবে জিতলেন।

Advertisement

এই সাফল্যের পরেও অবশ্য নিজেকে কিউ স্পোর্টসে ভারতের সর্বকালের সেরা বলতে নারাজ বেঙ্গালুরুর ছেলে। এই নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে এ দিন বলেন, “আমার বয়সটা মাত্র আঠাশ। এখনও আরও অনেক বছর বিলিয়ার্ডস আর স্নুকার খেলে যাওয়াটাই প্রধান লক্ষ্য। তার পরে না হয় এ সব ভারী ভারী তকমা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা যাবে।”

পঙ্কজ জানিয়েছেন, তাঁর এই সাফল্যে কোচ অরবিন্দ সাভুর এবং পরিবারের ভূমিকাটা বিশাল, চ্যাম্পিয়নের কথায়, “অরবিন্দ স্যরের কাছ থেকে আজও শিখে চলেছি। এর সঙ্গে আছে মায়ের প্রেরণা আর আমার দাদা শ্রী-র মানসিক শক্তি বাড়ানোর ট্রেনিং। আমি সত্যিই ভাগ্যবান যে এই তিন জনকে পাশে পেয়েছি। না হলে আমি এতদূর আসতে পারতাম না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন