হুঙ্কার দিচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজও

মিসবা তাতছেন ভারত ম্যাচের শেষ পাঁচ ওভারে

হ্যাগলে ওভালের এই লড়াইটা পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দু’দলের কাছেই মরণপণ। ভারতীয় সময় রাত সাড়ে তিনটেয় শুরু হওয়ায় প্রভাতী সংবাদপত্র হাতে পাওয়ার সময় ক্রিকেটউৎসাহীর কাছে অর্ধেক পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা, ক্রাইস্টটার্চের আকাশ কার কাছে আলো, কার কাছে অন্ধকার দাঁড়াতে চলেছে? মিসবা-উল-হক, না জেসন হোল্ডারের? দুই প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দেশের কাছেই শনিবারের ম্যাচ এ বারের বিশ্বকাপ নক আউটে তাদের টিকিট পাওয়ার ব্যাপারে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:৩৬
Share:

ফুটবলার গেইল। পাকিস্তান ম্যাচের আগের দিন। ছবি: এএফপি।

হ্যাগলে ওভালের এই লড়াইটা পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দু’দলের কাছেই মরণপণ। ভারতীয় সময় রাত সাড়ে তিনটেয় শুরু হওয়ায় প্রভাতী সংবাদপত্র হাতে পাওয়ার সময় ক্রিকেটউৎসাহীর কাছে অর্ধেক পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা, ক্রাইস্টটার্চের আকাশ কার কাছে আলো, কার কাছে অন্ধকার দাঁড়াতে চলেছে? মিসবা-উল-হক, না জেসন হোল্ডারের? দুই প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দেশের কাছেই শনিবারের ম্যাচ এ বারের বিশ্বকাপ নক আউটে তাদের টিকিট পাওয়ার ব্যাপারে খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে কাপ-যুদ্ধের প্রাক্কালে পাক অধিনায়ক মিসবা যদি খুব হালকা করে তাঁর কয়েক জন ব্যাটসম্যানের সমালোচনা করে থাকেন, তা হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অন্যতম অভিজ্ঞ সদস্য ডারেন স্যামির বিশ্বাস, ক্যারিবিয়ানরা এখনও ক্ষমতা রাখে দরকারের সময় ঠিকঠাক খেলার।

Advertisement

পাক ব্যাটিং কিংবদন্তি জাভেদ মিয়াঁদাদ মনে করছেন, ভারত ম্যাচের মতো শনিবারও তাঁর দেশের টিম ম্যানেজমেন্ট উমর আকমলের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের দ্বৈত ভূমিকার উপর ভরসা রাখে তা হলে মহাভুল করবে। “যত তাড়াতাড়ি সরফরাজ আহমেদের কথা ভাবা হয়, বোধহয় ততই ভাল,” বলেছেন মিয়াঁদাদ। যদিও মিসবা স্বদেশের বিখ্যাত প্রাক্তনীর দাবি একটু ঘুরিয়ে নস্যাৎ করে দিয়েছেন। বলেছেন, “ক্রিকেট খেলাটার খুব সাধারণ দর্শন হল, আগের ম্যাচে যারা ভাল করতে পারেনি, তারা পরের দিন ভাল করার করতে মুখিয়ে থাকবে। আর সেই সুযোগটা কাজে লাগাবে তার টিম। তা ছাড়া আমাদের দলের যারা এই মুহূর্তে ভাল পারফর্ম করতে পারছে না, আমরা জানি আসলে তারা যথেষ্ট দক্ষ প্লেয়ার আর পরের ম্যাচগুলোতেই মাঠে পার্টি করতে পারে।”

তবে অভিজ্ঞ অফস্পিনার সঈদ আজমলের অভাব যে বিশ্বকাপে পাকিস্তান অনুভব করছে সেটা মিসবা স্বীকার করে নিয়েছেন। “ও ওয়ার্ল্ড ক্লাস বোলার। ম্যাচ উইনার। তিন-চার বছর টানা ওকে সেই ভাবে পাওয়ার পর আচমকা বিশ্বকাপের মতো সর্বোচ্চ মঞ্চে আজমলের সাহায্য হারানোটা একটু সমস্যার বইকী!” তা সত্ত্বেও অ্যাডিলেডে ভারতকে তিনশো করতে দেওয়া পাক বোলিং নিয়ে আশা ছাড়তে নারাজ পাক ক্যাপ্টেন। “মনে রাখবেন, সে দিন শেষ পাঁচ ওভারে আমরা ওদের মাত্র ২৭ রান তুলতে দিয়ে চারটে উইকেট কেড়ে নিয়েছিলাম। যার থেকে অনেক পজিটিভ দিক পাওয়া গিয়েছে। যেগুলোর ফায়দা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে তোলার চেষ্টা করব। শুধু বিপক্ষের গোটা ইনিংসে আমাদের নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট তোলার চেষ্টা করতে হবে আর নিজেদের খুব ভাল ব্যাট করতে হবে,” বলছেন মিসবা।

Advertisement

মিয়াঁদাদ অবশ্য দমবার পাত্র নন। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ম্যাচের আগে নিজের কলামে লিখেছেন, ‘এত দুর্বল কোনও পাকিস্তান টিমের কথা আমি তো মনেই করতে পারছি না। এমন নয় যে, প্রতিপক্ষ দলগুলো আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। বরং আসলে আমরাই আরও ভাল প্লেয়ারদের বিশ্বকাপে পাঠাইনি। শোয়েব মালিক, আজহার আলি, জুলফিকার বাবরকে বিশ্বকাপ টিমে না দেখে আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি!’ মাঠে মিয়াঁদাদের এক সময়কার সতীর্থ, পাক কোচ ওয়াকার ইউনিস অবশ্য গর্জন তুলছেন, তাঁর দল বিশ্বকাপে কামব্যাক করবেই। “এবং সেটা দ্বিতীয় ম্যাচেই,” বলে দিচ্ছেন ওয়াকার। যার জবাবে ডারেন স্যামির যেন পাল্টা হুঙ্কার, “ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের এখনও ক্ষমতা আছে বড় লড়াইয়ে ঠিকঠাক কাজগুলো করে দেখানোর। আসলে আয়ারল্যান্ডকে হারাবই ধরে নিয়েছিলাম আমরা, যার দামও চুকোতে হয়েছে। কিন্তু তা বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে বিশ্বকাপ শেষ যেন কেউ না ধরে নেয়!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন