শেষ হল প্রো কবাডি লিগের কলকাতা-পর্ব। টিমের সঙ্গে অভিষেক বচ্চন। শনিবার। ছবি: উৎপল সরকার
খবরের কাগজ আর টিভির সৌজন্যে জেনেছিলেন প্রো-কবাডি লিগের জনপ্রিয়তার কথা। শেষ পর্যন্ত শনিবার নেতাজি ইন্ডোরে কলকাতার দল ‘বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স’-এর ম্যাচ দেখতেই চলে এলেন ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন ফুটবল অধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়া।
ম্যাচে ইউ মুম্বইয়ের কাছে বাংলার যোদ্ধারা ২৯-৩৮ চূর্ণ হলেও হঠাৎ কবাডির জনপ্রিয়তায় মুগ্ধ ‘পাহাড়ি বিছে’। এবং তাঁর আশা, ফুটবলের ইন্ডিয়ান সুপার লিগ’ (আইএসএল)-ও এ রকমই দেশ জোড়া জনপ্রিয়তা পাবে। বললেন, “প্রো-কবাডি লিগ থেকে অনেক কিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছি। আইএসএল শুরু হতে দিন। তখন ফুটবলকে নিয়েও দেশের মানুষের উচ্ছ্বাস আরও বেশি করে টের পাওয়া যাবে।”
ভাইচুংয়ের বঙ্গ যোদ্ধারা হারলেও এ দিন ফের জিতল অভিষেক বচ্চনের দল ‘জয়পুর পিঙ্ক প্যান্থার্স’। ‘পাটনা পাইরেটস’ অভিষেকের দলের কাছে হারল ১৮-৪০। এ দিনও খেলা শুরুর আগে দলের ট্র্যাকস্যুট চাপিয়ে ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আসেন অভিষেক। ঐশ্বর্যা আসার কথা থাকলেও এ দিন আসেননি। কেন তিনি আসতে পারলেন না সে ব্যাপারে জানতে চাইলে জুনিয়র বচ্চনের রসিকতা, “ঐশ্বর্যার এখানে আসার খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু মেয়ে আরাধ্যা খুব ছোট। তাই ঘরে ওর সঙ্গেই একটা কবাডি ম্যাচ খেলছে আমার স্ত্রী!”
এমনকী নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম নিয়ে নিজের পারিবারিক নস্ট্যালজিয়াও এ দিন গোপন করেননি অভিষেক। বলেছেন, “এই স্টেডিয়ামেই ইয়ারানার শু্যটিং করে গিয়েছিলেন আমার বাবা। তাই বৃহস্পতিবার প্রথম ম্যাচ জিতেই ফোন করেছিলাম ওঁকে। এতে ড্যাড এতটাই উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছিলেন যে সে দিন রাতেই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আমার দলের জয় নিয়ে আস্ত একটা ব্লগই লিখে ফেলেন।”
এ দিনও ম্যাচের পর দর্শকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন অভিষেক। ভাইচুংয়ের সঙ্গেও অল্প আড্ডা মেরে যান জুনিয়র বচ্চন।
এ দিনই শেষ হল প্রো-কবাডির কলকাতা পর্ব। পাঁচ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে ইউ মুম্বই। অভিষেক জয়পুর তৃতীয় স্থানে। কলকাতার দল বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে চতুর্থ স্থানে। রবিবার থেকে শুরু টুর্নামেন্টের দিল্লি পর্বের খেলা।