কেরলে জাতীয় গেমসে বাংলার টিম পাঠানোর কী হবে?
অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হতে যাওয়া যুবভারতীর সংস্কারের কাজ কি ঠিকঠাক এগোবে?
চেয়ারম্যানবিহীন রাজ্য ক্রীড়াপর্ষদ চলবে কী করে? কী ভাবে চলবে ক্রীড়াস্কুলগুলো? কোচেদের কাজ?
দুঃস্থ খেলোয়াড়রা সমস্যায় পড়লে কার কাছে গিয়ে সাহায্যের হাত পাতবেন? দুঃস্থ ক্রীড়াসংস্থাগুলো টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য সাহায্য চাইবেন কার কাছে? কে দেবে সাহায্য?
সারদা কাণ্ডে ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র গ্রেফতার হওয়ায় ক্রীড়াজগতে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে এ রকম নানা প্রশ্ন।
সবথেকে বিপদে বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা! পয়লা জানুয়ারি থেকে ‘ভারতের অলিম্পিক’জাতীয় গেমস শুরু হচ্ছে। ফুটবল-সহ বাইশটি খেলায় বাংলার টিম পাঠাতে হবে কেরলে। রাজ্য সরকারের ক্রীড়া দফতর বরাবরই নানাভাবে সাহায্য করে ক্রীড়াবিদদের। ট্রেনের টিকিট থেকে গেমস ভিলেজে থাকার খরচের অনেকটাই দেয় রাজ্য। অ্যাথলেটিক্স, তিরন্দাজি, সাঁতারের মতো ‘দরিদ্র’ খেলার জন্য নানা ভাবে সাহায্য করতেন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। এখন কী হবে ভেবে চিন্তায় বিওএ। প্রেসিডেন্ট অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলছিলেন, “ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গেই আলোচনা চলছিল। সমস্যা তো হবেই। উনি তো সাহায্য করবেন বলেছিলেন। এখন ক্রীড়া সচিবের সঙ্গে কথা বলতে হবে।”
ক্রীড়ামন্ত্রী হিসাবে হয়তো সার্বিক ভাবে খেলার দারুণ কিছু উন্নতি করতে পারেননি মদনবাবু। যুবভারতী বাদ দিয়ে বাকি স্টেডিয়ামগুলোর হাল ভাল নয়। তবে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডানের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন নিজের দফতর থেকে। স্পনসর এনে দেওয়ার ক্ষেত্রেও সাহায্য করেছেন। কোচ ও ক্রীড়াবিদদের জন্য পুরস্কার চালু হয়েছে তাঁর আমলেই। ক্রীড়া দফতরের খবর এ বার কাদের ‘রত্ন’ দেওয়া হবে তার তালিকাও তৈরি করছিলেন মদনবাবু। আগামী ১০ জানুয়ারি প্রতিবারের মতো রাজ্যের ক্লাবগুলোকে পরিকাঠামো উন্নয়নের সাহায্য করার কথা ছিল ক্রীড়া দফতরের। ফলে পুরো ঘটনায় হতভম্ব ক্রীড়াজগত।
অর্থলগ্নী সংস্থা নিয়ে ঝামেলা। গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ফলে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলছেন না এ ব্যাপারে। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে প্রায় সবাই স্বীকার করছেন, মদনবাবু ক্রীড়ামন্ত্রী হিসাবে যেভাবে সাহায্য করতেন বা মিশতেন তাতে একটা বড় শূণ্যতা সৃষ্টি হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন ক্রীড়ামন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেননি। জানিয়ে দিয়েছেন, গ্রেফতার হওয়া মদনবাবুকে সরাচ্ছেন না। দফতর তিনি নিজেই দেখবেন। ফলে কে চালাবে মন্ত্রীর কাজ তা নিয়ে সংশয়ে সব ক্রীড়াসংস্থাই। আর মন্ত্রী না থাকলে আমলাদের কাছে লাল ফিতের ফাঁসে আটকে যাওয়া ফাইল কী ভাবে ছাড়ানো হবে তা নিয়ে এখনই তাদের রাতের ঘুম ছুটেছে।