আরব সাগরের তীরে রবিবাসরীয় বোর্ড-বৈঠকের বাকি আর আটচল্লিশ ঘণ্টা। এবং তার আগে আরও সক্রিয় হয়ে উঠল শ্রীনি-বিরোধী গোষ্ঠী!
শুক্রবার দিনটা যেমন নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন আইনজ্ঞদের সঙ্গে কাটালেন বোর্ড বৈঠকের মারপ্যাঁচ থেকে উতরোনোর। তেমনই অপসারিত বোর্ড প্রেসিডেন্টের বিরোধী-শিবির দিনভর ডুবে থাকল, ঠিক কোন কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায় শ্রীনির বিরুদ্ধে, তা নিয়ে। রীতিমতো বোর্ড সংবিধান ঘেঁটে।
যা খবর, তাতে রবিবাসরীয় বৈঠকে টানটান উত্তেজনার আবহ থাকছে। বেশ কিছু চমক দেখা যেতে পারে। শ্রীনিকে কেন্দ্র করে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে যেতে পারে। অতীতে বোর্ড বৈঠকে দেখা গিয়েছে হেভিওয়েট সদস্যরা থাকলে বাকিরাও সে দিকে সমর্থন করতে শুরু করেন। সে দিক থেকে আসন্ন রবিবার যে শ্রীনিবাসনকে কড়া যুদ্ধের মুখে পড়তে হবে, তাতে সন্দেহ নেই। কারণ বৈঠকে শশাঙ্ক মনোহর, আইএস বিন্দ্রা, জগমোহন ডালমিয়ার মতো হেভিওয়েট প্রতিপক্ষরা থাকছেন। এবং মনে করা হচ্ছে শ্রীনিবাসনের সবচেয়ে বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে স্বয়ং তাঁকে ঘিরেই! কারণ আদালতের নির্দেশে বোর্ড বৈঠকে শ্রীনির থাকার কোনও রাস্তা নেই।
শোনা গেল, এ দিন গোটা দিনটাই শ্রীনি কাটিয়েছেন নিজ-আইনজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে। তিনি চাইছেন, যে কোনও উপায়ে বোর্ড বৈঠকের ফাঁস কেটে বেরোতে। কোনও ভাবে রবিবার দিনটা উতরে দিতে। ১৬ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট শুনানির পরপরই বোর্ডের অন্দরমহল থেকে শ্রীনি-বিরোধী আওয়াজ উঠতে শুরু করে। জরুরি ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠক ডাকার দাবি উঠতে থাকে। সর্বপ্রথম যে প্রস্তাব দেয় ললিত মোদী প্রভাবিত রাজস্থান ক্রিকেট সংস্থা। তার পর একে একে ওই একই দাবি তোলে মুম্বই, মহারাষ্ট্র, গোয়া, বিদর্ভ, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশের মতো হেভিওয়েট ক্রিকেট সংস্থারা। যা খবর, তাতে রবিবাসরীয় বৈঠকের সভাপতিত্ব করতে চলেছেন শিবলাল যাদব। আইপিএল বাদে অন্যান্য বোর্ড প্রশাসন সংক্রান্ত ব্যাপারে বর্তমানে মুখ্য যিনি।