সেন্টার কোর্টে শুক্রবারের বার্তা খুব পরিষ্কার। টেনিসের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। কিন্তু সেটা এখনই এসে পড়েনি। জকোভিচ আর ফেডেরার দু’জনকেই সেমিফাইনালে খুব প্রতিভাবান, উৎসাহী দুই তরুণের চ্যালেঞ্জ সামলাতে হয়েছে। এবং দুই পোড়খাওয়া তারকাই যথেষ্ট কর্তৃত্ব আর স্টাইলের সঙ্গে সেটা সামলেছে।
আজ কী হবে? জকোভিচের সমস্যাটা মজার। ও ফাইনালে উঠেছে মানে ভাল খেলছে। কিন্তু গত ইউ এস ওপেন আর এ বার ফরাসি ওপেন ফাইনালে দু’টো হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচকে ও নিজের অনুকূলে শেষ করতে পারেনি। দু’টো ফাইনালেই ওর কাছে জেতার সুযোগ এসেছিল। আমার মতে, রবিবার ও যদি ট্রফি জিততেই হবে-র চাপটা ঘাড় থেকে নামিয়ে খেলতে পারে, হয়তো একটা দুর্দান্ত ফাইনাল দেখব আমরা।
আর কেনই বা দেখব না? জকোভিচের উল্টো দিকে যে থাকছে, সে টেনিসের জীবন্ত কিংবদন্তি! ফেডেরারকে গত বছর দেখে মনে হয়েছিল, ওর ভেতরের সেই বিখ্যাত আগুন আর মোটিভেশন চলে গেছে। কিন্তু ওর কোচিং টিমে স্তেফান এডবার্গের যোগদান রজারকে যেন পুনর্জন্ম দিয়েছে! তেত্রিশে পা দেওয়ার মুখে তেইশের সমান ক্ষুধার্ত দেখাচ্ছে।
এডবার্গ সার্ভ আর ভলি গেমের একটু-আধটু জানে! ফেডেরারের মধ্যে ও নতুন-নতুন কিছু শট নেওয়ার ইচ্ছেটা বাড়িয়ে তুলেছে। আর দেখা যাচ্ছে, গ্রেট চ্যাম্পিয়ন নেটের সামনে আরও বেশি আসছে। উইম্বলডনে গত দু’বছর ফেডেরারের খেলায় যেটা ছিল না, সেই আক্রমণাত্মক স্টাইল ফিরে এসেছে।
ফাইনালটা নিয়ে অনেকে ফেসবুকে আমার সঙ্গে এডবার্গের লড়াইয়ের তুলনা টেনেছেন। এডবার্গকে আমি বিশ্বের অন্য সব টেনিস প্লেয়ারের চেয়ে বেশি সম্মান করি। আমরা ভাল বন্ধু আর রবিবারও লকার-রুমে বন্ধুত্বপূর্ণ আদানপ্রদানই চলবে আমাদের মধ্যে। ফাইনালটা মোটেই বেকার বনাম এডবার্গ হচ্ছে না। জকোভিচ বনাম ফেডেরার হচ্ছে। এবং রেজাল্ট যা-ই হোক না কেন, রবিবার সন্ধেয় এডবার্গ আর আমি একসঙ্গে বসে বিয়ার খাবই!