ফাইনালের আগে যুবভারতীতে বাকি দু’ম্যাচ। আর সেই ম্যাচ জোড়া নিয়ে নতুন আশঙ্কা আটলেটিকো দে কলকাতা কোচ হাবাসের অলিন্দে। আশঙ্কার নেপথ্যে যুবভারতীর মাঠ। কলকাতায় খেলতে এসে যার সারফেসের পাল্লায় পড়ে এক দিকে যেমন এটিকের নাভিশ্বাস উঠেছে, তেমনই প্রতিপক্ষও খাবি খেয়েছে।
এ বার ব্যাপারটা অন্য রকম। যুবভারতীতে শুক্রবারের মুম্বই সিটি ম্যাচের পর ডাবল লেগ সেমিফাইনালের হোম ম্যাচ। এই দুই ম্যাচে গ্যাভিলান, দ্যুতি, হিউমরা যেন মাঠের বদান্যতায় ফের চোট না পান, সেটাই চিন্তা কোচের। টিমের সাপোর্ট স্টাফের কাছে সে রকম আশঙ্কাই ব্যক্ত করেছেন হাবাস।
লিগ টেবলের শীর্ষে থেকে শেষ করার চ্যালেঞ্জ রয়েছে এটিকের। আর সেমিফাইনালের হোম অ্যাডভান্টেজ কাজে লাগিয়ে জেতার শপথ। ভয়টা এখানেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এটিকে প্লেয়ার এ দিন বললেন, ‘‘চোট-আঘাত নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। তাই শুরুর দিকে ভুগেছি। কিন্তু এখন টিমের ফিটনেস লেভেল ভাল। সামনের দু’টো হোম ম্যাচে যেন কেউ চোট না পায়, সেটাই এখন বড় চিন্তা।’’ ফাইনালে উঠলে অন্তত চোটে সেই চূড়ান্ত ম্যাচে কাউকে হারাতে চাইছে না কলকাতা।
শেষ পাঁচ ম্যাচে অপরাজিত কলকাতা। পস্টিগার সার্ভিস না পাওয়ায় আর জাভি লারা দেশে ফিরে যাওয়ায় হাবাসের তিন প্রধান অস্ত্র দ্যুতি, গ্যাভিলান, হিউম— গোল করেন বা করান। চতুর্থ বিন্দু বোরহা মাঝমাঠে বিপক্ষের থেকে বল কাড়তে বড় ভরসা। কোচ তাই কোনও মতেই চাইছেন না পস্টিগাহীন আটলেটিকোর এই বিকল্প শক্তিতে যুবভারতীর মাঠের জন্য চোট লেগে সামান্যতমও দুর্বল হয়ে পড়ুক।
শেষ চারে গোয়া: কেরল ব্লাস্টার্সকে ৫-১ হারিয়ে সেমিফাইনালে গোয়া। হ্যাটট্রিক করলেন রেনাল্ডো।