মহেশ ভূপতি আগেই জানিয়েছিলেন, ডেভিস কাপে তাঁকে পাওয়া যাবে। এখন লিয়েন্ডার পেজও আসন্ন সার্বিয়া টাই খেলতে ইচ্ছা প্রকাশ করায় ফাঁপরে ভারতীয় টেনিস ফেডারেশন। এআইটিএ সচিব সঙ্গে সঙ্গে বিবৃতি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, বল নির্বাচকদের কোর্টে।
সচিব ভরত ওঝা বলেছেন, “জাতীয় নির্বাচন কমিটিতে নির্বাচকেরা ছাড়াও নন প্লেয়িং ক্যাপ্টেন আনন্দ অমৃতরাজ আর কোচ জিশান আলি আছেন। সবাই মিলেই সিদ্ধান্ত নিক যে, আমরা পিছন ফিরে তাকাব, না কি যে তরুণ দল দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ভাল করেছে তাদের উপর আস্থা রাখব।” ফেডারেশনের পরিষ্কার ইঙ্গিত, ওয়ার্ল্ড গ্রুপে ওঠার প্লে-অফ টাইয়ে তারা লি-হেশে আস্থা রাখতে অরাজি।
লিয়েন্ডার গোটা ২০১৪ দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন না (যার মধ্যে ডেভিস কাপ বাদেও এশিয়াড, কমনওয়েলথ গেমস আছে) বলার পর হঠাৎ একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে জানিয়েছেন, সার্বিয়া টাই গুরুত্বপূর্ণ, যদি তিনি সুযোগ পান দেশের হয়ে খেলবেন। এর পরই টেনিসমহলে প্রশ্ন উঠছে, যে তরুণরা চিনা তাইপেকে ৫-০ হারানোর পর এই প্রথম কোরিয়ার মাঠে কোরিয়াকে হারানোর শ্রেয় ভারতকে এনে দিয়েছেন, সেই দল পাল্টানো কি উচিত? লিয়েন্ডার এ-ও জানান, প্রয়োজনে ক্যাপ্টেন, প্লেয়ার বা যে কোনও ভূমিকায় তিনি দলকে সাহায্য করতে প্রস্তুত। এই মন্তব্যেও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, আনন্দ ও জিশান তো যথাক্রমে অধিনায়ক ও কোচ হিসাবে আছেনই। লিয়েন্ডার তা হলে ঠিক কী বোঝাতে চাইছেন!
জিশান ব্যাঙ্ককে ছুটি কাটাচ্ছেন। মঙ্গলবারই দেশে ফেরার কথা। তবে ঘনিষ্টমহলে বলেছেন, তিনি দল পরিবর্তনের পক্ষে নন। ডেভিস কাপে লি-হেশের অবদান অনস্বীকার্য, কিন্তু বর্তমান তরুণ দলের পারফরম্যান্সও ধারাবাহিক ভাল। সিনিয়রদের দিকে পিছন ফিরে তাকালে তরুণদের প্রতি অবিচার করা হবে। প্রাক্তন নন প্লেয়িং ক্যাপ্টেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ও একই দল রেখে দেওয়ার পক্ষপাতী। সঙ্গে অবশ্য যোগ করছেন, “সাকেত-বোপান্না জুটি শেষ দুটো ডেভিস কাপ ডাবলস ভাল খেলে জিতেছে। কিন্তু মহেশ-বোপান্না আরও শক্তিশালী জুটি হবে। তবে সিঙ্গলসে এখন যা আছে তার চেয়ে ভাল প্লেয়ার তো আর লিয়েন্ডার-মহেশের দলে অন্তর্ভুক্তিতে ভারত পাবে না! তা হলে একটা ফর্মে থাকা দল পাল্টে আর কী হবে?”
অন্য দিকে, এআইটিএ সচিব বলেছেন, যে-হেতু বর্তমান টিমের ছেলেরা হার্ডকোর্টে খেলতে সবচেয়ে পছন্দ করে সে জন্য সেপ্টেম্বরে ভারতে হার্ডকোর্টেই ফেলা হবে জকোভিচদের। দল গঠন জুলাইয়ে।