ইংল্যান্ডকে যে ভাবে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই গুঁড়িয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া, তার পর ওদের নিয়ে আতঙ্কে ভুগবে অন্য টিমগুলো। ব্যাটিং যেমন, বোলিং তেমন, ফিল্ডিংও ঠিক ততটাই ভাল। ব্যাট করে ইংরেজ বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে সাড়ে তিনশোর কাছে তুলে দিল। আবার বল করতে নেমে মিচেল মার্শরা পুরো পঞ্চাশ ওভারও বাঁচতে দিল না মর্গ্যানের টিমকে। কেন মারাত্মক দেখাচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে? নীচে তুলে দিলাম:
‘মানব-বোমা’দের ভিড়: ফিঞ্চ, ওয়ার্নার, ম্যাক্সওয়েল, ওয়াটসসন, বেইলি, মিচেল মার্শ কে নেই! যে কোনও দু’জনকে যদি কোনও টিম পায়, কাউকে দাঁড়াতে দেবে না। আর এরা কিনা সবাই একসঙ্গে অস্ট্রেলিয়া। আজ দু’জন খেলল। ফিঞ্চ আর ম্যাক্সওয়েল। রানটা কত? না, ৩৪২!
ব্যাটিং-গভীরতা: ন’নম্বর পর্যন্ত ব্যাট করার লোক আছে ওদের। এর পর মাইকেল ক্লার্ক ঢুকবে, জেমস ফকনার ঢুকবে। পরপর উইকেট গেলে ক্লার্ক ধরে নেবে। আবার শেষ পাঁচ ওভারে আশি তুলে দেবে ফকনার! ওপেনিং জুটিটাই তো মারাত্মক। ওয়ার্নার-ফিঞ্চ। দু’জন থাকলে ম্যাচ প্রথম অর্ধেই শেষ।
দুর্ধর্ষ ফিল্ডিং: মিচেল স্টার্ক পাঁচ উইকেট নিল আজ। কিন্তু ওর বলে বাটলারের ক্যাচটা কী নিল স্টিভ স্মিথ! এই টিমটা তো ফিল্ডিংয়েই গোটা ষাট-সত্তর বাঁচাবে!
ঘরের মাঠে কাপ: এটা আর একটা কারণ। উইকেটের গতি বা বাউন্স কেমন হবে, সেটা ওদের চেয়ে ভাল আর কেউ জানবে না। প্লাস দর্শক সমর্থন। সেটাও তো ক্লার্কদের পকেটে থাকছে।
অলরাউন্ডার এক নয়, একাধিক: আবার নামগুলো করতে হবে। মার্শ, ওয়াটসন, ফকনার, ম্যাক্সওয়েল। সত্যি বলতে এত অলরাউন্ডার দক্ষিণ আফ্রিকারও নেই। টিমে বেশি অলরাউন্ডার থাকলে অটোমেটিক প্রধান ব্যাটসম্যান বা বোলারের উপর পারফর্ম করার অসহ্য চাপ অনেকটাই কমে যায়।
পেস-আক্রমণ: এটাও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে। জনসন ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটারে বল করবে। স্টার্ক পেসের সঙ্গে সুইং মেশাবে। হ্যাজলউড সুইং বোলিংটা পারে। মিচেল স্টার্ক আজ ঘণ্টায় একশো চল্লিশ প্লাসে বল করে পাঁচটা নিল। এর পরেও একটা ওয়াটসন, একটা ম্যাক্সওয়েল। ব্রিসবেন-মেলবোর্নে এই বোলিং খেলবে কে?