‘স্টেইন গান’ও থেমে গেল এবি-র তাণ্ডবে

‘এবি অ্যাবসোলিউটলি ব্রিলিয়ান্ট!’ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনের বিরাট লেখাটাই রবিবার রাতে বলে দিচ্ছিল আইপিএল-সাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু-র প্রথম ঘরের মাঠের ম্যাচের ক্যাচলাইন। সাইরাইজার্স হায়দরাবাদ আটের কাছাকাছি আস্কিংরেট দিয়ে বিপক্ষ দলের কাছে ৪ উইকেটে হারেনি, হেরেছে এক জনের কাছে। তিনি এবি ডেভিলিয়াসর্।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৪ ০৩:০৭
Share:

ডেভিলিয়ার্স: ৪১ বলে অপরাজিত ৮৯

‘এবি অ্যাবসোলিউটলি ব্রিলিয়ান্ট!’ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনের বিরাট লেখাটাই রবিবার রাতে বলে দিচ্ছিল আইপিএল-সাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু-র প্রথম ঘরের মাঠের ম্যাচের ক্যাচলাইন।

Advertisement

সাইরাইজার্স হায়দরাবাদ আটের কাছাকাছি আস্কিংরেট দিয়ে বিপক্ষ দলের কাছে ৪ উইকেটে হারেনি, হেরেছে এক জনের কাছে। তিনি এবি ডেভিলিয়াসর্। প্রায় হারা ম্যাচ একাই জিতিয়ে দিলেন কোহলির দলকে। বাইশ গজে নিজে বিরাট হয়ে উঠে। সানরাইজার্সের ১৫৫-৬ তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ভুবনেশ্বরের বলে ফিরে গিয়েছেন পার্থিব পটেল (৩) ও কোহলি (০)। বেঙ্গালুরু মহাতারকা অধিনায়কের এ বার আইপিএলে ৬ ম্যাচে মোট রান ১০৫। গড় ২১। স্ট্রাইকরেট ১১০.৫২। কয়েক ওভার পরে গেইল-ও (২৭) বিপজ্জনক হয়ে ওঠার মুখেই আউট। শেষ সাড়ে ন’ওভারে একশোর কাছাকাছি রান দরকার এই পরিস্থিতিতে ডেভিলিয়ার্স স্বমূর্তি ধরলেন। অন্য প্রান্তে যুবরাজ (১৪)-রা কী করলেন, না করলেন তাতে তাঁর যেন কিছু আসে-যায়নি! প্রয়োজনীয় রানের নব্বই ভাগ নিজেই করলেন এবি (৪১ বলে ৮৯ নটআউট), হাফডজন বাউন্ডারির সঙ্গে আট-আটটা ছক্কা হাঁকিয়ে। ডারেন স্যামির ১৬তম ওভারে উঠল ১৯। টার্নিং পয়েন্ট অবশ্য বিশ্বের এক নম্বর বোলার, দেশোয়ালি পেসার ডেল স্টেইনের ১৯তম ওভারে ২৪ রানের অত্যাচার। যার মধ্যে ২৩ রানই ডে’ভিলিয়ার্সের ব্যাটের তাণ্ডবে। ম্যাচের শেষ ওভারে এক বল বাকি থাকতে ইরফান পাঠানকে উইনিং স্ট্রোকের বাউন্ডারিটাও মারেন এবি-ই।

“এবি বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান। এই মুহূর্তে বাকিদের চেয়ে অনেক এগিয়ে,” আইসিসি-র সেরা ব্যাটসম্যানের র্যাঙ্কিংয়ে তাঁর তীব্রতম প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে ম্যাচ শেষে দরাজ সার্টিফিকেট ডেভিলিয়ার্সের ক্যাপ্টেন কোহলির। আর স্বয়ং এবি বলে দিলেন, “এক-একটা দিন থাকে, যে দিন নিজের সব কিছুই ঠিক হয়। এ দিন ম্যাচের আগে বাবা-মার সঙ্গে একটা সংক্ষিপ্ত মিটিং করেছিলাম। আইপিএল-টা এ বার ভাল যাচ্ছিল না। কিন্তু বাবা বলল, আজ কারও একটা লাক কাজ করবে। সেটা তুমিও হতে পারো। স্টেইন প্রথম সেট জিতেছিল। আমি দ্বিতীয় সেট-টা। ১৭ ওভারে তিন রান দিয়েছিল। ১৯ ওভারে নিলাম ২৩। ম্যাচ শেষে ও যখন আমার পিঠ চাপড়ে দিয়ে হেলমেটে চুমু খেয়ে গেল, আমার সাউথ আফ্রিকান টিমমেটের জন্য মনে মনে একটু খারাপও লাগছিল!”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন