গুগলির মুখে শ্রীনি-রাজ

সাম্রাজ্য পতনের মুখেও বিরোধীরা প্রায় নির্বাক

ম্যাচটা কি ফাইনাল ছিল? মাঠের অ্যাঙ্কর কি দ্বিধাহীন ভাবে ঘোষণা করে দিতে পারেন, একপেশে ফাইনাল হেরে গিয়ে পনেরো বছর পর নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের ক্রিকেট-সাম্রাজ্য শেষ? নাকি বৃহস্পতিবারেরটা ছিল বেস্ট অব থ্রি ফাইনালের প্রথমটা? এখনও সিরিজে কামব্যাক হতে পারে? এখনও বিজয়ীর নাম ঘোষণা করার সময় আসেনি? সুপ্রিম কোর্টের রায় পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের পর আইনজীবী মহলের একাংশ নিশ্চিত, প্রথমটাই ঠিক।

Advertisement

গৌতম ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৫ ০৪:০৩
Share:

ম্যাচটা কি ফাইনাল ছিল? মাঠের অ্যাঙ্কর কি দ্বিধাহীন ভাবে ঘোষণা করে দিতে পারেন, একপেশে ফাইনাল হেরে গিয়ে পনেরো বছর পর নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের ক্রিকেট-সাম্রাজ্য শেষ?

Advertisement

নাকি বৃহস্পতিবারেরটা ছিল বেস্ট অব থ্রি ফাইনালের প্রথমটা? এখনও সিরিজে কামব্যাক হতে পারে? এখনও বিজয়ীর নাম ঘোষণা করার সময় আসেনি?

সুপ্রিম কোর্টের রায় পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের পর আইনজীবী মহলের একাংশ নিশ্চিত, প্রথমটাই ঠিক। অন্তত ভারতীয় ক্রিকেটে শ্রীনিবাসন এখন ইতিহাস। রায়ের ১৩৬ পাতায় বিচারপতিরা বলেছেন, শ্রীনি বোর্ড প্রেসিডেন্ট পদে একমাত্র তখনই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন, যখন বিসিসিআইয়ে তাঁর বাণিজ্যিক স্বার্থ থেকে তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ মুক্ত করতে পারবেন। তিনি দায়মুক্ত হয়েছেন কি না, সেটা খতিয়ে দেখবে সর্বোচ্চ আদালত নিযুক্ত তিন সদস্যের কমিটি। যতদিন না কমিটি বাণিজ্যিক স্বার্থের অভিযোগ খতিয়ে দেখে নিদান দেয়, তত দিন এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। কমিটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শ্রীনিই যদি নিজেকে দায়মুক্ত বলে ঘোষণা করেন, তা হলেও তাঁর ছাড় নেই। আগে কমিটির সিদ্ধান্ত হবে, তার পর ছাড়ের প্রশ্ন আসছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবারের এই ঐতিহাসিক রায়ে যাঁর ভূমিকা কাঠবেড়ালির চেয়ে অনেক অনেক বেশি সেই বিচারপতি মুকুল মুদগলকে ধরা গেল জয়পুর লিটারারি ফেস্টিভ্যালের ফাঁকে। কোন ব্যাখ্যাটা ঠিক, প্রশ্নের সরাসরি জবাব দিতে চান না মুদগল। শুধু ঘুরিয়ে বলেন, “রায়ের টেকনিক্যাল দিকের সঙ্গে রায়ের উদ্দেশ্যটাও খতিয়ে দেখুন। না বলেও কী বলতে চাওয়া হচ্ছে।” সাহিত্য উৎসবে ফের ডুবে যাওয়ার আগে মুদগল এটাও বলে গেলেন, “ছ’সপ্তাহ খুব কম সময়। ছ’সপ্তাহের মধ্যে কমিটি বসে রায় দিয়ে দেবে, এই মারাত্মক তাড়াহুড়োটা করা হবে তো?”

ঘুরিয়ে বললেন যে, মাত্র ছ’সপ্তাহের শ্রীনি ছাড় পাবেন না। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আর হবে না।

সবিস্তার জানতে উপরে ক্লিক করুন।

মুদগল যা-ই মনে করুন, গোটা শ্রীনি-অধ্যায়ের অবসানে যাঁর ভূমিকা ভগীরথের মতো, সেই এ সি মুথাইয়া চেন্নাইয়ে বসে যা-ই ভাবুন, ক্রিকেটমহল এখনও মনে করছে না শ্রীনি ইতিহাস হয়ে গিয়েছেন। গুরুনাথ মইয়াপ্পন ও রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে বেটিংয়ের অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। তাঁদের শাস্তির মাত্রা ঠিক করবে তিন সদস্যের কমিটি। গুরুনাথ আর কুন্দ্রাকে ধরেই নেওয়া হচ্ছে বাতিলের খাতায়। আইপিএল সিইও সুন্দর রামনকেও ইতিহাস ধরে নেওয়া হচ্ছে।

কিন্তু শ্রীনির বেলায় সবাই অসম্ভব সাবধানী। অতীতে এত সব ঝড়-ঝাপটা থেকে তিনি নিজেকে বাঁচিয়ে এনেছেন যে, ‘কই মাছের প্রাণ’ কথাটাও তাঁর বেলায় শিশুসাহিত্য!

সর্বোচ্চ আদালতের এমন প্রভাবশালী রায় ভারতীয় ক্রিকেটের তিরাশি বছরের ইতিহাসে নেই। যে রায়ের মূল সুর নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। শোনা যাচ্ছিল, রায় পরিষ্কার শ্রীনির বিরুদ্ধে যাবে। আদিত্য বর্মা যখন সকালে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ফোন করে বিশেষ একটা মোমবাতি আজকের পুজোয় চড়াতে বলেন, তখন তিনি নিশ্চিত, জিতে যাচ্ছেন। বোর্ড মহলে অন্যরাও বলতে থাকেন, এ বার হয় সিএসকে যাবে, নইলে বোর্ড যাবে। শ্রীনি-রাজ ঝড়ের মধ্যে পড়বে এ দিন।

অথচ ঝড় এসে যখন শ্রীনি-সাম্রাজ্য ভূপতিত হওয়ার পথে, তখন বিপ্লবের কোনও ইঙ্গিতই নেই। শরদ পওয়ার এবং আইএস বিন্দ্রা বাদ দিলে কেউ প্রকাশ্যে কোনও বিবৃতি দেননি। পওয়ার-বিন্দ্রা এখনকার বোর্ডে সক্রিয় ভাবে নেই-ও। যাঁরা আছেন, তাঁরা সেই মূক ও বধির।

নাগপুর থেকে শশাঙ্ক মনোহর বললেন, “রায়ের কপি পাই। তার পর কথা বলব।” কলকাতায় জগমোহন ডালমিয়া বললেন, “রায়ের কপি পাই। তার পর কথা বলব।”

এটা কি বিশ্বাসযোগ্য যে আজকের ই-মেলের দিনে যেখানে চ্যানেলে-চ্যানেলে কাগজে-কাগজে রায়ের প্রিন্ট আউট ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেখানে এঁরা কপি পাননি?

আসলে এখনও কেউ ক্রিজের বাইরে আসতে চাইছেন না। বছরের পর বছর একচ্ছত্র ক্ষমতা ভোগ করে এখনও শ্রীনি এমনই আতঙ্ক যে, ‘রাইগর মর্টিস’ শুরু না হলে কেউ ডেথ সার্টিফিকেট লিখবে না!

বোর্ডের ঘনিষ্ঠ আইনজীবী মহলে এমনও কানাকানি শোনা গেল, বিচারপতি টি এস ঠাকুর এবং বিচারপতি এফ এম আই কলিফুল্লার দেওয়া রায়ে শ্রীনির বিরুদ্ধে তাঁদের যে মনোভাব ফুটে বেরিয়েছে তা অত্যন্ত আক্রমণাত্মক। এর পরেও যদি বোর্ডে ফিরতে চেয়ে তিনি আবেদন করেন, অত্যন্ত অপমানজনক পরিস্থিতি তাঁর জন্য অপেক্ষা করে থাকবে।

কিন্তু যতই কানাকানি হোক, শেষ বল না হওয়া পর্যন্ত শ্রীনির অনুগত বোর্ড সদস্যরা উল্টো দিকে ঘুরতে রাজি নন।

রাজীব শুক্ল অবশ্য পরের প্রেসিডেন্ট হওয়ার উদ্যোগ জারি রেখেছেন।

তাঁর পছন্দের গডফাদার অরুণ জেটলি। যাঁর বরাভয় হস্তে এতদিন শ্রীনি দেশ শাসন করেছেন। সিএবি সচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় আবার বৃহস্পতিবার রাতে এবিপি আনন্দের শো-তে বলে দিয়েছেন, তাঁরা জগমোহন ডালমিয়াকে প্রেসিডেন্ট দেখতে চান। এই কথাটা কোনও ভাবে অনুবাদ হয়ে গিয়ে বাকি ভারতের ক্রিকেটমহলে ছড়িয়ে পড়ে। বাকিরা আদৌ এমন প্রস্তাব শুনে সন্তুষ্ট নন।

আসলে শ্রীনির বিরুদ্ধ-প্রশাসন এমন বিভক্ত হয়ে রয়েছে যে, সর্বজনগ্রাহ্য কোনও নেতা নেই। আর তার চেয়েও বেশি ভয় যে মুখ খুলবে সে লাইনের বাইরে চলে যাবে। যতক্ষণ না স্ট্যাম্প পেপারে সুস্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, লোকটা আর বোর্ডে ঢুকতে পারবে না, ততক্ষণ কেউ ঢাক নিয়ে বার হতে রাজি নয়। ততক্ষণ কেউ বলবে না, ‘দ্য কিং ইজ ডেড। লং লিভ দ্য কিং।’

রাজীবের যাবতীয় তৎপরতাও গোপনে। যেন শ্রীনি খোঁজ না পান। আর শ্রীনি এখন কী কী করতে পারেন, তা নিয়ে বোর্ড সদস্যদের মধ্যে তুমুল জল্পনা। তাঁদের ধারণা, ‘আগুন’ লাগার আশঙ্কায় বস্ ঠিক একটা আপৎকালীন দরজার খোঁজ রেখেছিলেন। এ বার সেটা দিয়ে বরাবরের মতোই নিরাপদে বেরিয়ে যাবেন।

সম্ভাবনা এক, ইন্ডিয়া সিমেন্টসে নিজের শেয়ার ট্রান্সফার বহুদিন শুরু করেছেন। আর ক’দিনে হয়তো পুরোটাই ছেড়ে দেবেন। ছেড়ে দিয়ে আদালতে আবেদন করবেন।

সম্ভাবনা দুই, সিএসকে বিক্রি করে দেবেন অন্য কাউকে। ব্র্যান্ড হিসেবে সিএসকে ইদানীং বিতর্ক-বিক্ষত হলেও চেন্নাই এবং বিদেশে বসবাসকারী তামিল সম্প্রদায়ের কাছে অসম্ভব জনপ্রিয়। সিএসকে বিক্রি করে দিলে আদালতকে বলা যাবে, স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগটাই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল।

সম্ভাবনা তিন, শ্রীনি প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়ালেন না। রাজীব শুক্লর সঙ্গে বোঝাপড়া করে তাঁকে ভারতীয় বোর্ড ছেড়ে দিলেন। বিনিময়ে রাজীব তাঁকে আইসিসি-তে ঘাঁটাবেন না। শ্রীনির বরাবরই ভয়, হাতের লোক বোর্ড প্রধান না হলে তাঁর আইসিসি চেয়ারম্যান পদে থেকে যাওয়া হবে না।

সম্ভাবনা চার, নিজে প্রেসিডেন্ট হলেন না। কিন্তু রিমোটে তিনিই বোর্ড চালালেন। ফলে সুপ্রিম কোর্ট যা-ই বলুক, ক্ষমতা তাঁর হাতেই রইল।

সম্ভাবনাগুলো নিয়ে এতই বেশি আলোচনা হল আর জঘন্য পিচে আত্মরক্ষা করতে করতে শ্রীনি এমনই ভাবমূর্তি করে ফেলেছেন যে, এমন রায়ের পরেও ক্রিকেটমহল তাঁর ‘শেষ’ মেনে নিতে রাজি নয়। বরং প্রচণ্ড ভীতি। আজকের দিনে কিছু বলে ফেললে প্রতিহিংসাপরায়ণ শ্রীনি হয়তো বিরাট ক্ষতি করে দেবেন।

ক্রিকেট-ভাষ্যকার ও প্রাক্তনদের মধ্যে তাই বিষেণ সিংহ বেদী ছাড়া কেউ মুখ খোলেননি। গাওস্কর না, কপিল না, শাস্ত্রী না। ক্রিকেট ভাষ্যকারদের মধ্যে দিনে পাঁচ-ছ’টা করে যাঁরা টুইট করেন, ‘অমুক জায়গায় পৌঁছলাম’, ‘আপেল খেলাম’, ‘নৌকো চড়লাম’— তাঁদের টুইটার এমন ঐতিহাসিক দিনে সম্পূর্ণ নীরব।

প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্টদের কেউ কেউ অবশ্য বৃহস্পতিবারটাকে নিছকই শ্রীনির কালো দিন হিসেবে দেখছেন না। তাঁরা মনে করেন, শ্রীনি নিজে তো গেলেনই। বোর্ডের এত দিনকার সযত্নলালিত স্বয়ংশাসিত ক্ষমতাও নিয়ে চলে গেলেন। শ্রীনির নানা অনাচারে ক্ষুব্ধ সর্বোচ্চ আদালত এ দিন বলেই দিল, রিট জুরিসডিকশনের ২২৬ ধারা বোর্ডের ক্ষেত্রেও এ বার প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ, বোর্ড আর বলতে পারবে না, ‘আমরা স্বশাসিত সংস্থা। আমাদের সংবিধান নিজেদের সংবিধান।’ আদালত বলল, তাদের পাবলিক বডি হিসেবে ধরা হবে। এতেই প্রমাদ গুনছেন প্রাক্তন কোনও কোনও বোর্ড কর্তা। একজন বললেন, “কোর্ট কেস এখন থেকে হতেই থাকবে বোর্ডে। যে কোনও কেউ তথ্যের অধিকার নিয়ে আদালতে চলে যাবে। তুচ্ছ যে কোনও ব্যাপারে। উত্তরপ্রদেশের কোনও ক্রিকেটার হয়তো বলল, গুজরাত থেকে তিনটে রঞ্জি টিম গুজরাত-সৌরাষ্ট্র-বরোদা। অথচ আয়তনে অনেক বড় উত্তরপ্রদেশ থেকে মাত্র দু’টো রঞ্জি টিম। এর ফলে আমাদের উত্তরপ্রদেশের ছেলেদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার সম্ভাবনা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তখন সেটাও সরাসরি আদালতের বিবেচ্য বিষয় হয়ে যাবে।”

এই মুহূর্তে অবশ্য বোর্ডে কী পরিমাণ মামলা-মোকদ্দমা বাড়বে তার চেয়েও অনেক বড় প্রশ্ন, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি কী ভাবে নেবেন বৃহস্পতিবারের রায়কে? এমনিতেই ভারত বিশ্বকাপের আগে টলমল করছে। তার ওপর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ছ’সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।

তার মানে ৬ মার্চ পারথে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টিম নিয়ে নামার আগেই ধোনি জেনে যাচ্ছেন, তাঁর নতুন জুড়ি কে। ধোনি-শ্রীনি তো আর থাকছে না!

ফেরার কথা ভুলে নিজেকে শুধরোও শ্রীনি

...যে ভাষায় মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট শ্রীনিবাসনের নিন্দা করল, তাতে এর পর আর কোন মুখে ক্রিকেট প্রশাসনে থাকার কথা ভাবছে, জানি না। পরিষ্কার বলছি, ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে শ্রীনি আজকের পর শেষ হয়ে গেল। আর কোনও ভাবে ফিরে ও আসতে পারবে না। আর সাঙ্গপাঙ্গরাও পারবে না। যারা ওর দুর্নীতিকে সমর্থন করে চলত।

আর বৃহস্পতিবারই শ্রীনির লজ্জার শেষ, এমন নয়। তিন সদস্যের কমিটির রায়ে আরও কত কেলেঙ্কারি ফাঁস হয় দেখতে চাই। এদের মানসিকতা কতটা নোংরা হলে সস্তার প্রচার পেতে বোর্ডের বার্ষিক রিপোর্টে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির ছবি ছাপাতে পারে! আমি তো রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছি এটা নিয়ে।

নিজের লড়াই নিয়ে একটাই কথা বলব। শ্রীনির বিরুদ্ধে লড়ছিলাম বলে আমাকে কম হুমকি শুনতে হয়নি। কম ঝুঁকিও নিতে হয়নি। আজ লড়াই শেষ। এ বার ঝাড়খণ্ড ক্রিকেটের দুর্নীতিকে শেষ করতে হবে। বিহার ক্রিকেট সংস্থার স্বীকৃতি আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। আর শ্রীনিবাসনকে আজ আমি একটাই বার্তা দিতে চাই।

ভারতীয় ক্রিকেটের অনেক ক্ষতি করেছো তুমি। আর করতে এসো না। বরং চেষ্টা করো নিজেকে শুধরোনোর... আদিত্য বর্মা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন